ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

বুধবার সারাদেশে বাশিসের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ০৬:১৭, ৯ জুলাই ২০১৭

বুধবার সারাদেশে বাশিসের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বেসরকারী শিক্ষক কর্মচারীদের কাছ থেকে অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টের চাঁদা ৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ চাঁদা গ্রহণের সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক নেতারা। ১০ শতাংশ চাঁদা গ্রহণের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আগামী বুধবার সারাদেশে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচীর ঘোষণাও দিয়েছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বাশিস)। ওইদিন বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ছাড়াও রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচী পালন করবেন শিক্ষকরা। শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচী ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষক সমিতির নেতারা। লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন সমিতির সভাপতি মুহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আবুল কাশেম, সহ-সভাপতি রঞ্জিত কুমার সাহা, অধ্যক্ষ বজলুর রহমান মিয়া, আলী আসগর হাওলাদার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ কাওছার আলী শেখ, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ ছিদ্দিকুর রহমান শামীম, প্রকাশনা সম্পাদক মণি হালদার, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক বেগম নুরুন্নাহার, সাংস্কৃতিক সম্পাদক হেনা রাণী রায়, দফতর সম্পাদক ইকবাল হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, অধ্যাপক আবু জামিল মোঃ সেলিম প্রমুখ শিক্ষক। শিক্ষক সমিতির নেতারা জানান, দীর্ঘদিনের নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের কারণে বেসরকারী শিক্ষক-কর্মচারীদের ‘বার্ষিক ৫ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি, বৈশাখী ভাতা, পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা ও বাড়িভাড়াসহ মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণে’র দাবি নিয়ে সরকারী ও বেসরকারী বিভিন্ন পর্যায়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। সরকারের নীতি নির্ধারণী মহলও দাবিসমূহ পূরণের জন্য ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছেন। কিন্তু প্রকৃত শিক্ষক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই আমলাতান্ত্রিক মারপ্যাঁচে ফেলে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে তথাকথিত শিক্ষক সংগঠনের কোন কোন নেতার প্ররোচণায় বেসরকারী শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তন করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় পৃথক দু’টি গেজেট প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত গেজেটে অতিরিক্ত ৪ শতাংশ প্রদান করে ভবিষ্যতে অতিরিক্ত কি সুবিধা পাবেন সে বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত উল্লেখ না থাকায় হতাশা প্রকাশ করে সংবাদ সম্মেলনে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়, শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি মেনে নেয়া না হলে সারাদেশে অবিরাম ধর্মঘট ও আমরণ অনশনের মতো কঠোর কর্মসূচী দেয়া হবে। অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টের ষড়যন্ত্রের কারণেই শিক্ষকদের ওপর বাড়তি চাঁদা চাপানো হয়েছে। এর ফলে সারাদেশের শিক্ষকদের সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন বলেও অভিযোগ করেন শিক্ষক সমিতির নেতারা।
×