ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

শুল্ক জটিলতায় বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যে উন্নতি হচ্ছে না

প্রকাশিত: ০৩:৫৮, ৩০ জানুয়ারি ২০১৭

শুল্ক জটিলতায় বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যে উন্নতি হচ্ছে না

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ শুল্ক সংক্রান্ত জটিলতার কারণে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্পর্কের আশানুরূপ উন্নতি হয়নি বলে মনে করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। সম্প্রতি এই ইস্যুতে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পণ্য রফতানি অনেকটা কমেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এই অবস্থার উত্তরণের জন্য দুই দেশের মধ্যে জরুরী একটি বৈঠক হওয়া দরকার বলে মনে করেন মন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশী বড় রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের প্রতি বাংলাদেশের প্রত্যাশা অনেক। পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি করা সম্ভব। উভয় দেশ আলোচনায় বসলে চলমান সমস্যাগুলো নিরসন করা সম্ভব। তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ আশা করছে আলোচনার মাধ্যমে বাণিজ্য জটিলতাগুলো দূর করা সম্ভব হবে। এজন্য ভারতকে এগিয়ে আসতে হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত শনিবার রাতে ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স এবং ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় আয়োজিত অন্ধ্রপ্রদেশের ভিশাখাপাটনামে অনুষ্ঠিত পার্টনারশিপ সামিটের দ্বিতীয় দিনে বক্তৃতার সময় এ সব কথা বলেন মন্ত্রী। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিশ্ব বাজারে পণ্য রফতানিতে সক্ষমতা অর্জন করেছে। পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশে বাংলাদেশের তৈরি পণ্যের বেশ চাহিদা রয়েছে। ফলে রফতানি দিনদিন বাড়ছে। ভারত বাংলাদেশের ঘনিষ্ট বন্ধু রাষ্ট্র। ভারত অনেক বড় রাষ্ট্র, বাজারও অনেক বড়। ভারত বাংলাদেশকে তামাক ও মদ ছাড়া সকল পণ্যে ডিউটি ও কোটা ফ্রি রফতানির সুবিধা প্রদান করেছে। কিন্তু শুল্ক সংক্রান্ত জটিলতার কারণে বাংলাদেশ আশানুরূপ রফতানি করতে পাচ্ছে না। মন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশী বড় রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের প্রতি বাংলাদেশের প্রত্যাশা অনেক। পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি করা সম্ভব। উভয় দেশ আলোচনায় বসলে চলমান সমস্যাগুলো নিরসন করা সম্ভব। বাংলাদেশ আশা করছে আলোচনার মাধ্যমে বাণিজ্য জটিলতাগুলো দূর করা সম্ভব হবে। এজন্য ভারতকে এগিয়ে আসতে হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ ২৫টি পণ্য ৬৮টি দেশে রফতানি করে যে বাংলাদেশ আয় করত মাত্র ৩৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমানে ১৯৬টি দেশে ৭২৯টি পণ্য রফতানি করে আয় হচ্ছে ৩৪.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আগামী অর্থবছরে রফতানি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হবে ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। মন্ত্রী জানান, দেশের ৫০ বছর পূর্তিতে ২০২১ সালে রফতানি লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আসবে তৈরি পোশাক রফতানি থেকে। বাংলাদেশ শুধু তৈরি পোশাকের উপর সীমাবদ্ধ থাকবে না। সরকার ৭ম পঞ্চম বার্ষিকী পরিকল্পনা মোতাবেক রফতানি পণ্য সংখ্যা বৃদ্ধি এবং বাজার সম্প্রসারণে কাজ করে যাচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন অর্থনৈতিক, সামাজিকসহ সকল ক্ষেত্রে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। কসফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রির সেক্রেটারি জেনারেল চন্দ্রজীত ব্যানার্জীর সভাপতিত্বে এ প্লেনারি সেশনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ভারতের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী নির্মলা সিতারামান, নেপালের বাণিজ্যমন্ত্রী রোমি গোচান ঠাকালী প্রমুখ।
×