ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

মীর কাশেমের ফাঁসির রায় কার্যকর ও সম্পত্তি বাজেয়াফত দাবি

প্রকাশিত: ০৭:৫৫, ২৮ আগস্ট ২০১৬

মীর কাশেমের ফাঁসির রায় কার্যকর ও সম্পত্তি বাজেয়াফত দাবি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যুদ্ধাপরাধী মীর কাশেম আলীর সর্বোচ্চ শাস্তির রায় কার্যকরে বারবার দীর্ঘসূত্রতার প্রতিবাদে শনিবার শাহবাগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে গণজাগরণ মঞ্চ। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং আপীল বিভাগে মৃত্যুদ-ে দ-িত এই যুদ্ধাপরাধীর রিভিউ শুনানি বারবার পিছিয়ে দেয়ার প্রেক্ষিতে এ বিক্ষোভ কর্মসূচী পালিত হয়। সমাবেশে বক্তারা কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর ফাঁসির রায় দ্রুত কার্যকর এবং তার সম্পত্তি বাজেয়াফত করার দাবি জানান। সমাবেশে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেন, কুখ্যাত ছাত্রসংঘ, যা বর্তমানে ছাত্রশিবির নামে পরিচিত, যারা ১৯৭১ সালে আলবদর বাহিনী গঠন করে এ দেশের মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। এই ছাত্রসংঘের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মীর কাশেম আলী। ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সর্বোচ্চ শাস্তির রায় হওয়ার পর দীর্ঘ দুই বছর আপিল বিভাগে এ মামলা চলে। এ বছরের ৮ মার্চ আপীল বিভাগের চূড়ান্ত রায়ে তার মৃত্যুদ- বহাল রাখার পর সাড়ে পাঁচ মাস পার হয়েছে। আপীল বিভাগের চূড়ান্ত রায়ের পর রিভিউ শুনানি শুধুমাত্র একটি আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। এর আগে যেসব যুদ্ধাপরাধীর রায় কার্যকর হয়েছে, কারও ক্ষেত্রেই রিভিউ শুনানিতে এক সপ্তাহের বেশি সময় লাগেনি। অথচ এই কুখ্যাত বিত্তশালী যুদ্ধাপরাধী মীর কাশেম আলীর ক্ষেত্রে বারবার রিভিউ শুনানি পিছিয়ে কালক্ষেপণ করা হচ্ছে। কেন এই ধনকুবের যুদ্ধাপরাধীর রিভিউ শুনানি বারবার পিছিয়ে দেয়া হচ্ছে, এর পেছনে অন্য কোন উদ্দেশ্য আছে কিনা, সে বিষয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন জেগেছে। তিনি বলেন, একদিকে বারবার রিভিউ পিছিয়ে দেয়া হচ্ছে, অন্যদিকে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে যারা আন্তর্জাতিক লবিং করে তারা সক্রিয় হচ্ছে। হঠাৎ করেই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বাংলাদেশে আসার ঘোষণা দিয়েছেন। বিভিন্ন সময়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের বক্তব্য যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে গেছে। এ কারণে মানুষের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ইমরান এইচ সরকার বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, যেটি পুরাতন হাইকোর্ট ভবনে ছিল, সেখান থেকে সেটিকে সরিয়ে দেয়ার জন্য একটি চিঠি দেয়া হয়েছে আইন মন্ত্রণালয়ে। এটি আমাদের কাছে ন্যক্কারজনক মনে হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে সরিয়ে দিয়ে বিচার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টায় মনে হয়, যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরুদ্ধে নতুন ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। তিনি আরও বলেন, যদি যুদ্ধাপরাধের বিচার বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্র অব্যাহত থাকে, কোনভাবে মীর কাশেমকে রক্ষার চেষ্টা করা হয়, তাহলে ২০১৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারির মতো প্রয়োজনে সারাদেশে আমরা আবারও রাজপথে নেমে আসব। সকল ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে। মীর কাশেমের রায় নিয়ে আমাদের শঙ্কার কথা আগেও আমরা কর্মসূচীর মাধ্যমে জানিয়েছি। ২৮ আগস্ট রিভিউর শুনানি রয়েছে। আশা করি, আর কালক্ষেপণ না করে রবিবারই রিভিউ নিষ্পত্তি হবে এবং অতি দ্রুত এই যুদ্ধাপরাধীর রায় কার্যকর হবে।
×