ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

দ্রুত কোটিপতি হওয়ার মানসিকতায় পণ্যের মান খারাপ হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৫:০৫, ২৭ মে ২০১৬

দ্রুত কোটিপতি হওয়ার মানসিকতায় পণ্যের মান খারাপ হচ্ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ব্যবসায়ী ও শিল্প মালিকদের দ্রুত কোটিপতি হওয়ার মানসিকতায় পণ্যের মান খারাপ হচ্ছে মন্তব্য করে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা ধরে রাখতে তাদের এ ধরনের তৎপরতা পরিহারের আহ্বান জানিয়েছেন। বিশ্ব ওজন দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি বলেন, অনেকে তাড়াতাড়ি কোটিপতি হয়ে যেতে চায়। তখন তারা পণ্যের মান খারাপ করা, ওজনে কম দেয়াসহ এ ধরনের দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে থাকে। কিছু ব্যবসায়ীর এ ধরনের কর্মকা- শুধু তাদের নিজেদের নয়, দেশ ও জাতির জন্যও ক্ষতিকর। এ সময় তিনি ব্যবসায়ীদের অসাধুতার উদাহারণ হিসাবে চারদলীয় জোট সরকারের সময় ইউরোপের বাজারে চিংড়ি রফতানি বন্ধ হওয়ার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, চারদলীয় জোট সরকার আমলে চিংড়ি মাছে লোহা ভরে ওজন বাড়িয়ে ইউরোপে বিক্রি করেছিল এদেশের কিছু ব্যবসায়ী। ফলে ছয় বছর এদেশ থেকে চিংড়ি মাছ নেয়নি তারা (ইউরোপ)। এতে দেশের সঙ্গে সঙ্গে চিংড়ি ব্যবসায়ীদেরও ক্ষতি হয়েছে। সরকার বিএসটিআইএর উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে জানিয়েছে শিল্পমন্ত্রী বলেন, এসব উদ্যোগের ফলে উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে পণ্যের মান ধরে রাখা (চেন অব স্ট্যাবিলিটি) সম্ভব হচ্ছে। ইতোমধ্যেই ভারতে বাংলাদেশের ২৭টি পণ্য এ্যাক্রিডিটেশন লাভ করেছে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি ৩৫৭ কোটি ডলার অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ৩৫৭ কোটি মার্কিন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চ মেয়াদে ভারত থেকে ৪০৬ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৩ প্রান্তিকে ৪৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকার পণ্য ভারতে রফতানি করা হয়েছে। বাংলাদেশের আমদানি পণ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎস ভারত। ওই দেশ থেকে তুলা, গাড়ি, রড এবং প্লাস্টিক আমদানি করে বাংলাদেশ। অন্যদিকে বাংলাদেশের ২৫টি পণ্য ছাড়া অন্যসব ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত প্রবেশ সুবিধা দেয় ভারত। তবু দেশটিতে বাংলাদেশের পণ্য রফতানি বাড়ছে না। গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ৫২ কোটি ৭১ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য ভারতে রফতানি করেছিল বাংলাদেশ। ইপিবির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ভারতে পণ্য রফতানি করে ৪৫ কোটি ৬৬ লাখ ডলার আয় করেছিল বাংলাদেশ। ২০১২-১৩ অর্থবছরে এই রফতানি আয়ের পরিমাণ ছিল ৫৬ কোটি ৩৯ লাখ ডলার।
×