পাঠানকোট বিমানঘাঁটিতে হামলার ঘটনায় জঙ্গী সংগঠন জাইশ-ই-মোহাম্মদের কোন সদস্যের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের কোন পদক্ষেপ নেয়ার ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করছে ভারত। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা বলেছে, এ সন্ত্রাসী গ্রুপের প্রধান মাওলানা মাসুদ আজহারকে এখনও আটক করা হয়নি। এ গ্রুপই পাঠানকোটে ভারতীয় বিমানবাহিনীর ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ ভারতের। মোদি সরকার পাকিস্তানের সঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠানে যখন সম্মত হয়েছে তখন এ সন্দেহ পোষণ বাধাগ্রস্ত করতে পারে এ বৈঠককে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
গোয়েন্দা সংস্থার সূত্র বলেছে, জাইশ প্রধান মাসুদ আজহারকে আটক করা হয়নি। পাকিস্তানী মিডিয়ায় তাকে আটক করার যে দাবি করা হয়েছে তার সঙ্গে বৈপরিত্য রয়েছে গোয়েন্দা সংস্থার ঐ সন্দেহ। সত্যিকার অর্থে অস্পষ্ট তথ্য থেকে যে আভাস পাওয়া যায় তা হচ্ছে, পাকিস্তানে জাইশের তিন জঙ্গীকে আটক করা হলেও পাঠানকোট হামলায় জড়িত থাকার কোন প্রত্যক্ষ যোগ নেই। তাদের কাছে শুধুমাত্র জাইশের প্রচারপত্র পাওয়া গেছে। নিরাপত্তা বাহিনীর এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, পাঠানকোট হামলায় কোন প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট দায়ের করা হয়েছে কিনা এ ব্যাপারে পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি এবং যদি তা করা হয়ও তা হলে তাদের দেশের মধ্যে সম্ভাব্য অপরাধীদের বিরুদ্ধে তা করা হয়েছে। তিনি বলেন, পাঠানকোট হামলার ষড়যন্ত্রের জাল তৈরি এবং হামলার প্রশিক্ষণ পাকিস্তানে হয়েছে তার স্বীকৃতির প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে এফআইআর। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে গত সপ্তাহে কিছু রিপোর্টে দাবি করা হয়, পাঠানকোট হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ততার জন্য আজহারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারপরও, পাকিস্তান সরকারের কাছ থেকে কোন সত্যতা প্রকাশ করা হয়নি। পর পাঞ্জাব প্রদেশের আইনমন্ত্রী রানা খানাউল্লাহর উদ্ধৃতি দিয়ে পাকিস্তানের একটি দৈনিক বলেছে, আজহারকে নিরাপত্তামূলক কাস্টডিতে রাখা হয়েছে। তিনি বিষয়টিকে স্পষ্ট করার জন্য বলেন, জাইশ প্রধানকে গ্রেফতার করা হয়নি এবং পাঠানকোট হামলায় তার জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণ হলেই কেবল এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হবে। ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তারা সন্দেহ পোষণ করছেন যে, আজহারকে আটক করার বিষয়টি ভুল তথ্যের চেয়ে অতিরিক্ত কিছু একটা। জাইশ পাকিস্তানে নিষিদ্ধ ঘোষিত একটি সংগঠন হলেও তাদের অব্যাহতভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করে যাচ্ছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)।