ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

সৈয়দপুরে রেলের জমিতে ফের অবৈধ মার্কেট

প্রকাশিত: ০৬:১৮, ৮ জানুয়ারি ২০১৬

সৈয়দপুরে রেলের জমিতে ফের অবৈধ মার্কেট

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে সৈয়দপুরে রেলের জায়গা উদ্ধারের পর উদ্ধারকৃত জায়গার এবার নতুনভাবে অবৈধ মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ও বিরোধীদলীয় হুইপ শওকত চৌধুরীর নাম ভাঙ্গিয়ে রেল বিভাগের সৈয়দপুরে কর্মরত সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী ( আইডব্লিউ) তহিদুল ইসলাম রেলের জায়গায় ওই মার্কেট নির্মাণের সাথে সরাসরি জড়িয়ে পড়েছেন। এ ঘটনায় সৈয়দপুরজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। সৈয়দপুর রেলের একটি সূত্র জানায়, গত বছরের ১৮ ও ১৯ মার্চ সৈয়দপুরে দুই দিনব্যাপী রেলের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম চালানো হয়। এর পর সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনের সামনে এবং পেছনের জায়গায় পিডব্লিউ কর্মকর্তা আব্দুল মতিনকে ও সৈয়দপুর শহরের ক্যান্টনমেন্ট রোডে ১১০ নম্বর বাংলোর সামনে এবং ডানের জায়গা বুঝিয়ে দেয়া হয় আইডব্লিউ কর্মকর্তা তহিদুল ইসলামকে।। জায়গাগুলো সুরক্ষিতভাবে ঘিরে রাখা হয়েছে। কিন্তু ১১০ নম্বর বাংলোর সামনের বাসাবাড়ির জায়গাগুলো ধীরে ধীরে ফের অবৈধ দখলদারদের হাতে চলে যাচ্ছে। সেখানে ধীরে ধীরে গড়ে উঠছে একের পর এক মার্কেট। সেখানে কয়েকদিন ধরে বৈধ দখলদাররা পাকাঘর নির্মাণ করেছে।। বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকরা সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী (আইডব্লিউ) তহিদুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য বিরোধীদলীয় হুইপ শওকত চৌধুরীর নির্দেশে তারা দোকানপাট নির্মাণ করছেন। এ জন্য সংসদ সদস্য মুঠোফোনে তাকে এ নিয়ে চুপ থাকতে বলেছেন। অপরদিকে সংসদ সদস্য ও বিরোধীদলীয় হুইপ শওকত চৌধুরী সাংবাদিকদের কাছে ঘটনাটি অস্বীকার করে বলেন, আমি কাউকে অবৈধভাবে রেলের জায়গায় মার্কেট নির্মাণ করতে অনুমতি দেইনি এবং আইডব্লিউকে আমি চিনি না। বিএম কলেজে শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ বিএম কলেজের শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে আগুন জালিয়ে বিক্ষোভ করেছে রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা রসায়ন ভবনের নীচ তলার বিএম কলেজ ডিবেটিং ক্লাব ও রেড ক্রিসেন্ট ক্লাবের সাইনবোর্ড টানানো দুটি কক্ষে ভাংচুর চালায়। পরে কলেজ অধ্যক্ষ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের শান্ত করেন। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, রসায়ন বিভাগের একাডেমিক ভবনে কক্ষ সঙ্কট থাকা সত্ত্বেও এ ভবনের একের পর এক রুম দখল করে নিচ্ছে বিভিন্ন সংগঠন। সর্বশেষ বিভাগের দায়িত্বশীল কাউকে কিছু না জানিয়ে রেড ক্রিসেন্ট ক্লাবের নামে বিভাগের ল্যাবরেটির একটি রুম দখল করা হয়। এ সময় ওই সংগঠনের সদস্যরা রসায়ন বিভাগের কয়েক লাখ টাকার মালামালের ক্ষতিসাধন করে। এ বিষয়ে শিক্ষকদের জানানো হলেও তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। ফলে তারা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। কলেজ অধ্যক্ষ ড. স ম ইমানুল হাকিম বলেন, এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর ক্লাব সরানোর বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
×