ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৪ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

উত্তাল ফরিদপুর: মহাসড়ক অবরোধ, পুলিশের টিয়ারশেল-গুলি

প্রকাশিত: ১৯:৪৯, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

উত্তাল ফরিদপুর: মহাসড়ক অবরোধ, পুলিশের টিয়ারশেল-গুলি

গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধরা 

মধুখালীর পঞ্চপল্লীতে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন বিক্ষুব্ধ জনতা। 

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে স্থানীয়রা ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে সড়কের প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় স্থানীয় সর্বসাধারণের ব্যানারে আয়োজিত বিক্ষোভ কর্মসূচিতে মধুখালী ঈদগাহ মাঠে প্রায় ১০ হাজার লোকের সমাগম হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা মহাসড়কের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের হটিয়ে দেয়।

পরে সমবেতরা একাধিক ভাগে বিভক্ত হয়ে মালেকা চক্ষু হাসপাতালের সামনে, আড়কান্দি ব্রিজের সামনে, কামারখালী ব্রিজের অদূরে মাঝিবাড়িতে ও বাগাটের ঘোপঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেন। এ সময় অবরোধকারীরা রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ও ইট ফেলে রাস্তা বন্ধ করে দেন।

মহাসড়ক থেকে লোকজনদের সরাতে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপের পাশাপাশি গুলি ছোড়ে। এতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ঘটনায় ১১ পুলিশসহ মোট ২০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। আহত ২ পুলিশ সদস্যসহ তিনজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্যরা মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অবরোধকারীরা মহাসড়কে অবস্থান নিতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল নিক্ষেপের পাশাপাশি শর্টগানের গুলি ছোড়ে। এতে জনতা আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। এরপর মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করে রাখেন তারা। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে রায়টকার মোতায়েন করেছে পুলিশ।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।

জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, পরিস্থিতি থমথমে আছে। নিয়ন্ত্রণে আসতে সময় লাগবে। পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি ঘটনাস্থলে কাজ করছে।

শহিদ

×