ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ঠাকুরগাঁওয়ে তরমুজের দাম আকাশচুম্বি

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও

প্রকাশিত: ১৬:৫৪, ২৯ মার্চ ২০২৪

ঠাকুরগাঁওয়ে তরমুজের দাম আকাশচুম্বি

তরমুজ।

তরমুজ খেলে শরীর ঠাণ্ডা থাকে ও পানির পিপাসাও কম হয়। তাই রমজানে ঠাকুরগাঁওয়ের বাজারে মৌসুমি আগাম জাতের তরমুজের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম অনেক বেশি হওয়ায় ক্রেতারা কিনতে পারছেন না। বিশেষ করে এ ফলটি কেনা নিম্ন ও মধ্যবিত্ততের প্রায় হাতের নাগালের বাইরে চলে গেছে।

জেলা শহরের কালিবাড়ি, কোট চত্বর, পুরাতন বাসষ্ট্যান্ড, সত্যপীর ব্রীজ, গোধুলী বাজার, মন্দিরপাড়া, ঠাকুরগাঁও রোড যুব সংসদ মাঠসহ বেশ কিছু এলাকা ঘুড়ে দেখা যায় তরমুজের অস্থায়ী অসংখ্য দোকান বসেছে।  তবে এসব দোকানে ঠাকুরগাঁও জেলায় উৎপাদনকৃত তরমুজ উঠেনি। 

রমজানকে লক্ষ্য করে ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বড় মাপের তরমুজ ঠাকুরগাঁওয়ে এনে কেজি প্রতি ৬০-৭০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। প্রতিটি তরমুজ ১০ থেকে ১৫ কেজি বা এর চেয়েও বেশি ওজনের। ফলে প্রতিটি ১৫ কেজির তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৯শ’ টাকায় যা নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের ক্রয়ক্ষমতার বাহিরে। ফলে ক্রেতারা খুব বেশি তরমুজ কিনছেন না।

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পিস হিসেবে না বিক্রি করে তরমুজ কেজি হিসেবে বিক্রি করায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে। রমজান মাসেও ঠাকুরগাঁওয়ে কেজি হিসেবে তরমুজ বিক্রির বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা।
 
পৌর শহরের কালিবাড়ী বাজারে তরমুজ কিনতে আসা সাদেকুল ইসলাম বলেন, রমজান মাসে বাচ্চারা তরমুজ খেতে চায়। কিন্তু এখানে দামাদামি করে জানলাম ৯ কেজি ওজনের তরমুজের দাম ৫শ’ ৪০ টাকা। এত টাকা দিয়ে একটি তরমুজ কেনা কি সবার পক্ষে সম্ভব?

পৌর শহরের জমিদারপাড়া মহল্লার খালেসুর রহমান নামে এক ক্রেতা বলেন, তরমুজ কিনতে এসে দাম জেনে হতাশ। একটি মাঝারি মানের তরমুজ ৬-৭শ টাকা দিয়ে কিনতে হবে। তরমুজ কিনবা না, আর কিছুদিন পরে যখন আরও বেশি পরিমাণে তরমুজ বাজারে উঠবে তখন ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে যদি হয় তবেই কিনব।

 কালিবাড়ি বাজার, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, ঠাকুরগাঁও রোডের কয়েকজন তরমুজ বিক্রেতা জানান, রোজায় তরমুজের চাহিদা থাকে প্রচুর। তাই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগাম তরমুজ বাজারে আনা হয়েছে। আগাম তরমুজের দাম বর্তমানে কিছুটা বেশি। কেজি প্রতি তরমুজ ৬০ থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে হচ্ছে। বেশি দামে কেনায় বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক সিরাজুল ইসলাম অধিদপ্তর জানান, এ বছর জেলায় রবি মৌসুমের মোট ৪০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। এছাড়াও খরিপ মৌসুমের তরমুজ আবাদ চলমান রয়েছে। কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের যাবতীয় পরামর্শ ও সেবা প্রদান করা হচ্ছে। আর কিছুদিনের মধ্যে জেলায় উৎপাদনকৃত তরমুজও বাজারে উঠতে শুরু করবে। মাঠ পর্যায়ে ফলনও ভাল এবং কৃষকেরা এ বছর তরমুজের ন্যায্য দাম পাবেন বলে প্রত্যাশা করছি।
 

এসআর

×