ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৪ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

কালিগঙ্গা নদীর ওপরে ৫৩ বছরেও হয়নি সেতু

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঘিওর, মানিকগঞ্জ

প্রকাশিত: ২১:৩৯, ৫ মার্চ ২০২৪

কালিগঙ্গা নদীর ওপরে ৫৩ বছরেও হয়নি সেতু

মানিকগঞ্জের ঘিওরে সিংজুরী ইউনিয়নের বালিয়াবাধা কালীগঙ্গা নদীর ওপর সেতু না থাকায় জনগণের দুর্ভোগ

মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার সিংজুরী-বালিয়াবাধা কালিগঙ্গা নদীর উপরে ৫৩ বছরের নির্মাণ করা হয়নি সেতু। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাকোর ওপর দিয়ে নৌকায় করে ৪টি উপজেলার হাজারো লোকজনকে যাতায়াতের ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আনা নেওয়ার ক্ষেত্রেও চরম অসুবিধা হচ্ছে। ব্যয় করতে হচ্ছে অধিক ভাড়া।
প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, সিংজুরী ইউনিয়ন থেকে মাত্র ১ কিমি দূরে কালিগঙ্গা নদী। বর্ষা মৌসুমেএ অঞ্চলের লোকজনের চলাচলের একমাত্র বাহন নৌকা। সিংজুরী ইউনিয়নের বিল্লালাই, গোবিন্দপুর,বেড়াডাঙ্গা, দেবতাঘরি, চরশিমুলিয়া, চরমির্জাপুর, মির্জাপুর, বৈলতলা, ব্রাহ্মণগাঁও, কিষ্টনগর, নাটুয়াবাড়ি,  শিহরপুর, কাশেমপুর, বর্তমানে এ রাস্তা দিয়ে নাগরপুর দৌলতপুর, ঘিওর, সাটুরিয়াসহ ৪টি উপজেলার ২৫/৩০টি গ্রামের হাজার হাজার লোক সরাসরি যাতায়াত করতে পারেনা।

স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের চরম অসুবিধা হচ্ছে। মোটরসাইকেল, অটোরিক্সাসহ বিভিন্ন যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে খেয়া নৌকাতে পারাপার করছে। মাঝেমধ্যে অনেক মোটরসাইকেল, অটোরিক্সা নদীতে পড়ে গেছে। সারা বছর গ্রামবাসীদের উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে  চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়। গর্ভবতী মা ও জরুরি রোগীদের  হাসপাতালে নিতে হলে কষ্টের সিমা থাকে না। 
বালিয়াবাধা গ্রামের হাবিবুর রহমান হবি বলেন, আমাদের এখানে একটি সেতু নির্মাণ হয়েছে। কিন্তু কালীগঙ্গা নদীর ওপরে সেতু নির্মাণ না করায় এলাকার লোকজনকে অনেক কষ্ট করে ঘিওর সদরে যেতে হচ্ছে। অপর দিকে এই রাস্তা দিয়ে প্রায় ৪টি উপজেলার লোকজন সরাসরি মানিকগঞ্জ এবং রাজধানী ঢাকার সাথে যোগাযোগে অসুবিধা হচ্ছে। দ্রুত কালীগঙ্গা নদীতে সেতু নির্মাণ করা প্রয়োজন। 
সিংজুরী ইউপি চেয়ারম্যান আবু আসাদুর রহমান মিঠু বলেন, কালীগঙ্গা নদীতে সেতু হলেই সিংজুরী ইউনিয়নের উপর দিয়ে ৪টি উপজেলার লোকজন সহজে মানিকগঞ্জ এবং ঢাকা অতি সহজে যাতায়াত করতে পারবে। ইতোমধ্যে বৈকন্ঠপুর-চকমির্জাপুরে বিশাল ব্রিজের নির্মান কাজ শেষ হয়েছে। এপ্রোচ সড়কের কাজ শেষ হলেই ব্রিজটি উদ্ধোধন করা হবে। ২টি ব্রিজ হলেই আমাদের যোগাযোগে ব্যবস্থা সহজ হবে। 
উপজেলা প্রকৌশলী মুহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম ভ’ইয়া জানান,  আমি কালীগঙ্গা নদী পরিদর্শন করেছি। সয়েল টেষ্টসহ সকল প্রকার ব্যবসা গ্রহণের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। আশা করি দ্রুত সেতু নির্মানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

×