ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

দৈনিক ৫০ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে

হাঁটার গতিতে চলে গাড়ি ॥ যানজট ১

ফজলুর রহমান

প্রকাশিত: ২৩:১৪, ১ আগস্ট ২০২৩

হাঁটার গতিতে চলে গাড়ি ॥ যানজট ১

উত্তরা ৪নং সেক্টর থেকে বাসে চেপে মগবাজার এসে অফিস করেন লোকমান হোসেন

উত্তরা ৪নং সেক্টর থেকে বাসে চেপে মগবাজার এসে অফিস করেন লোকমান হোসেন। শুক্র ও শনিবার ছাড়া বাকি দিনগুলোতে তার মগবাজার আসতে সময় লাগে তিন ঘণ্টা। আবার মগবাজার থেকে উত্তরা যেতেও তিন ঘণ্টা সময় লাগে। অথচ সরকারি কোনো ছুটির দিন বা শুক্র ও শনিবারে যে কেউ ৩০-৪০ মিনিটের মধ্যে উত্তরা ৪নং সেক্টর থেকে মগবাজার পৌঁছাতে পারেন। সিগন্যালে বসে থাকতে হয় না। তার মানে সাপ্তাহিক কাজের দিনগুলোতে এই পথটুকু পাড়ি দিতে যে কোনো লোককে অতিরিক্ত আড়াই ঘণ্টা সময় ব্যয় করতে হচ্ছে। লোকমান হোসেনের মতো যাদের অফিস মগবাজার, মতিঝিল কিংবা পুরান ঢাকায় তাদের উত্তরা, বিমানবন্দর, মিরপুর কিংবা গাবতলী থেকে আসতে দৈনিক ৫-৬ ঘণ্টা করে কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। সৌজন্যে যানজট। যানজটের কারণে প্রতিদিনই নগরবাসীকে যেমন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে, তেমনি আর্থিক ক্ষতিও হচ্ছে।   
উত্তরা থেকে মগবাজার তো অনেক দূর, সামান্য ফার্মগেট থেকে মগবাজার পর্যন্ত আসতে সময় লেগে যায় এক ঘণ্টার মতো। লোকমান হোসেন বিরক্ত হয়ে কখনো কখনো বাস থেকে নেমে যান। যানজটের পথটুকু পায়ে হেঁটে অতিক্রম করে আবার বাসেও ওঠেন। কিন্তু এভাবে পারা যাচ্ছে না, বললেন লোকমান হোসেন।
ঢাকার ভেতরে চলাচলের প্রধান সড়ক রয়েছে চারটি। এই চারটি রাস্তায় যাত্রীবাহী বাস, ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজি চালিত অটোরিক্সা, অ্যাম্বুলেন্স, রিক্সা, মোটরসাইকেল, বাই সাইকেল, মালবাহী ভ্যান, কাভার্ড ভ্যান, ঠেলাগাড়ি ও ট্রাক একই সময়ে একই রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করছে। চলাচলের জন্য নেই আলাদা লেন ব্যবস্থা। ফলে বিভিন্ন যানবাহনের অবাধ ও প্রতিযোগিতামূলক বিচরণে ঢাকার রাস্তায় অনিয়ন্ত্রিত যানজট থেকেই যাচ্ছে।

এছাড়া প্রয়োজনের তুলনায় রাস্তা কম হওয়ায়, একই রাস্তায় দ্রুত গতির ও ধীর গতির পরিবহন চলাচল করায় শহরের মধ্যে রেল ক্রসিং, ভিআইপি মুভমেন্ট, পার্কিং, ট্রাফিক সিস্টেম ও সড়ক অব্যবস্থাপনার কারণেও দিনকে দিন রাজধানীর যানজট তীব্র থেকে তীব্র হচ্ছে। সেই সঙ্গে সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয়হীনতায় সড়কে অব্যাহত খোঁড়াখুঁড়িতে দুর্ভোগ চরমে পৌঁছায়।  
ঢাকা শহরের যানজটের কারণ কী- এ নিয়ে বিস্তর গবেষণা হয়েছে। যানজট নিরসনে নেওয়া হয়েছে নানা পরিকল্পনা এবং মহাপরিকল্পনা। কিন্তু তারপরও অবস্থার পরিবর্তন নেই। তাহলে সমস্যাটা কোথায়? ট্রাফিক পুলিশ, নগরবিদ, গবেষক ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সমন্বয়হীনতার কারণে রাজধানীর যানজট নিরসন করা সম্ভব হচ্ছে না। এক সংস্থা রাস্তা খুঁড়ছে, আরেক সংস্থা গ্যাস লাইন ঠিক করছে, ভালো হবে না মন্দ হবে তা না দেখেই পার্কিং অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে- এসব সমস্যার সমাধান হলেই রাজধানীর যানজট অনেকাংশে কমে আসবে। 
প্রয়োজনের তুলনায় রাস্তা কম ॥ একটি আধুনিক নগরীতে মোট আয়তনের ২০ থেকে ২৫ ভাগ রাস্তা থাকা প্রয়োজন। কিন্তু ঢাকায় আছে মাত্র সাত থেকে আটভাগ। অর্থাৎ প্রয়োজনের মাত্র এক তৃতীয়াংশ সড়ক আছে এই শহরে। ঢাকা শহরের মোট এলাকা ১৩৫৩ বর্গ কিলোমিটার আর ঢাকার বর্তমান রাস্তার আয়তন ২,২০০ কিলোমিটার, যার মধ্যে ২১০ কিলোমিটার প্রধান সড়ক। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ঢাকা শহরের মোট যাত্রীর পাঁচ থেকে ছয় ভাগ যাতায়াত করেন ব্যক্তিগত গাড়িতে, কিন্তু তা সড়কের ৭০ ভাগ দখল করে রাখে। অন্যদিকে ২৮ ভাগ যাত্রী চলাচল করে গণপরিবহনে। একটি বাস যে পরিমাণ যাত্রী বহন করতে পারে, তার জন্য কমপক্ষে ১০টি ব্যক্তিগত গাড়ির প্রয়োজন। কিন্তু একটি বাস সড়কে যে জায়গা নেয় তা দুটি ব্যক্তিগত গাড়ির চেয়েও কম।

অন্যদিকে ট্রাফিক বিভাগের হিসাব মতে, সেই সড়কের কম করে হলেও ৩০ ভাগ বা তারও বেশি দখল হয়ে আছে অবৈধ পার্কিং এবং নানা ধরনের দখলদারদের হাতে। এছাড়া ফুটপাত হকারদের দখলে থাকায় প্রধান সড়কেই পায়ে হেঁটে চলেন নগরবাসী। ফলে যানজটের সঙ্গে আছে জনজট। গতবছরই ঢাকায় ঢুকেছে ১ লাখ ১৮ হাজার ২৫৪টি গাড়ি। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ঢুকেছে ৫৩ হাজার ৫০৮টি গাড়ি।  
মূল সড়কে যানজট অধিক বাহন ॥ রাজধানীর ভেতরে চলাচলের মূল সড়কগুলোতে যানজটের প্রধান কারণ অতিরিক্ত যানবাহন। মহানগরীর দক্ষিণ থেকে উত্তর প্রান্তে যেতে হয় নিউমার্কেট, না হয় শাহবাগ, মগবাজার বা মালিবাগ রুট ধরে। উত্তরপ্রান্ত থেকে দক্ষিণে আসতে হলেও তাই। নগরীর মধ্যে দূরপাল্লার হিসেবে এই চার সড়ক ব্যবহৃত হচ্ছে। ফলে সড়ক চারটিতে একই সময়ে একাধিক পরিবহনের চলাচলের ফলে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। রাজধানীতে যানজটের কারণগুলো খতিয়ে দেখতে বেশ কয়েকদিন বিভিন্ন রুটে গিয়ে এমন চিত্র চোখে পড়ে। 
গুলিস্তান থেকে সদরঘাটে যাওয়া-আসার রুটে যানজটের প্রধান কারণ হিসেবে চোখে পড়ে অধিক যানবাহনের চাপ এবং মূল সড়কের দু’পাশের ফুটপাতের হকার। হকাররা ফুটপাত দখল করে মূল সড়কেও নেমেছে। ফুলবাড়িয়ায় পোশাক, জুতাসহ বিভিন্ন ধরনের পাইকারি মার্কেট রয়েছে। বংশাল পর্যন্ত রয়েছে ১৮০০ স্যানিটারি সরঞ্জাম পাইপ, রডের দোকান। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পাইকারি ব্যবসায়ীরা এসব পণ্য কিনে রাস্তার দু’পাশে ভ্যান, কাভার্ডভ্যান, ট্রাক দাঁড় করিয়ে লোড করছে। রয়েছে রিক্সার অবাধ চলাচল। ফলে ওই সড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। নিউমার্কেটে যানজট ফুটপাত দিয়ে পথচারীরা হাঁটতে না পেরে মূল সড়ক ধরে চলাচল করে। এ কারণে যানজট হয় এখানে। 
অতিরিক্ত যানবাহন চলাচলের ফলে বাংলামোটর থেকে ফার্মগেটে যাওয়া-আসার সড়কেও যানজট প্রতিনিয়ত থাকছে। এ রুটে নতুন করে মেট্রোরেলের কাজ চলায় ও রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির ফলে রাস্তাও সংকীর্ণ হয়ে গেছে। সড়কটি এতটা সরু যে একটি যাত্রাবাহী বাস সোজাসুজি চললে পাশ দিয়ে শুধু মোটরসাইকেল যাওয়ার জায়গা থাকে। বাস একটু আড়াআড়িভাবে দাঁড় করালে সেই জায়গাও থাকছে না। অথচ রাজধানীর সব রুটে চালকরা এই কাজটিই বেশি করছেন। এমন আড়াআড়িভাবে বাস দাঁড় করিয়ে রাখার ফলে পেছনের কোনো পরিবহন যেতে পারে না। ফলে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজটের। বাংলামোটর যানজটের কারণে এই মোড়ে যেমন অধিক রিক্সার জটলা, তেমনি উল্টো পথে রিক্সা চলাচলের ফলে মগবাজারের দিকে যানবাহন ঢুকতে সমস্যা হয়।  
তীব্র যানজট লেগে থাকে আসাদগেট এলাকায়। মোহাম্মদপুর থেকে উত্তরা আব্দুল্লাপুর, বনশ্রী, মালিবাগ, চিটাগাং রোডগামী একাধিক পরিবহনের বাস বের হয় আসাদগেট হয়ে। কিন্তু বের হওয়ার লেন মাত্র একটি। ওখানকার মূল সড়কের লেন চালু রাখলে মোহাম্মদপুর থেকে বের হওয়ার ও ঢোকার লেন বন্ধ রাখতে হয়। প্রায় প্রতিদিনই মোহাম্মদপুর ইকবাল রোডের সেন্ট জোসেফ, প্রি-প্রাইটারি স্কুল অ্যান্ড কলেজ মোড় থেকে আসাদগেট সিগন্যাল পর্যন্ত এই সামান্য কয়েক মিটার রাস্তা অফিস, স্কুল-কলেজের সময়ে দীর্ঘ যানজট লেগে থাকে। স্কুল-কলেজের সময়ে শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগ আসে প্রাইভেটকারে।
বিজয় সরণীর দুই পাশের সড়ক পর্যাপ্ত প্রশস্ত হওয়া সত্ত্বেও ওখানকার যানজট সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ট্রাফিক পুলিশকে। তবে সড়কে ভিআইপি চলাচলকারী রুটগুলো নিয়ে ট্রাফিক পুলিশকে ব্যস্ত থাকায় অন্য রুটে যানজট সৃষ্টি হয়। গণপরিবহন চলাচল না করলেও ভিআইপি এলাকা বেইলি রোড থেকে মগবাজারে আসার রুটে ব্যক্তিগত গাড়ির কারণে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। মৌচাক থেকে মগবাজার রুটে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি, রিক্সার অবাধ চলাচলে দ্রুতগতির পরিবহন চলতে বেগ পেতে হচ্ছে। ওপরে ফ্লাইওভার থাকা সত্ত্বেও নিচের রুটে যানজট লেগে থাকে মগবাজার থেকে কাওরান বাজার ক্রসিং পর্যন্ত।

সাত রাস্তা ও মহাখালীতে বিভিন্ন জেলার দূর পাল্লার বাসের দাপটে সড়কে যানজট চোখে পড়ার মতো। রাজধানীর যেসব এলাকায় সিগন্যাল বেশি, সেসব এলাকায় যানজটের দৃশ্য তত বেশি। প্রায়ই সব রাস্তায় রয়েছে খানাখন্দ। ওয়াসা, তিতাস, সিটি করপোরেশনসহ অন্যান্য সংস্থা সমন্বয় না করে কাজ করায় বৃষ্টি হলেই পানিতে গর্ত ভরে যায়। ফলে সড়কে খানাখন্দ আর যানজটে নাকাল হতে হয় নগরবাসীকে। 
পল্টন, প্রেসক্লাব, শাহবাগ, নীলক্ষেত, সায়েন্সল্যাব এলাকায় একদিকে যেমন মানুষের চলাচল বেশি, অন্যদিকে প্রায় প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের, বিভিন্ন সংগঠন ও সংস্থার সড়ক অবরোধ-মানববন্ধন কর্মসূচি থাকে। এতে এসব এলাকায় সৃষ্টি হয় তীব্র যানজটের। 
রাত ১০টার আগে মালবাহী ট্রাক রাজধানীর রাস্তায় ঢোকাতে সিটি করপোরেশন থেকে নিষেধ থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। রাত ৯টা পার না হতেই গণপরিবহন আর মালবাহী পরিবহনের চাপে সড়কগুলো স্থবির হয়ে পড়ে। একটি সিগন্যালে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থেকেও মালবাহী ট্রাকের দাপটে সিগন্যাল পার হওয়া সম্ভব হয় না। 
মাঠপর্যায়ে কাজ করা ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা বলছেন, এসব দেখার দায়িত্ব সিটি করপোরেশন, ওয়াসা, তিতাসসহ অন্যান্য সংস্থারও। সব দোষ পুলিশকে দিলে হবে না। সিটি করপোরেশন গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গার অনুমোদন দেয়। কিন্তু ইজারাদার আবার অন্যত্র ইজারা বিক্রি করে ফুটপাতে দোকান বসায়। নগরীর প্রতিটি ফুটওভার ব্রিজে ও ফুটপাতে দোকান বসানোর সঙ্গে স্থানীয় কাউন্সিলরের লোকজন জড়িত। এদের উচ্ছেদ করলে ফের বসে। রিক্সাও কোনো মতে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। 
শহরের মধ্যে রেল ক্রসিং, ভিআইপি মুভমেন্ট ॥ ঢাকা শহরের মধ্য দিয়ে এখনো রেলগাড়ি চলাচল করছে। ফলে ১৭টি পয়েন্টে রাস্তা বন্ধ করে ট্রেন যাওয়ার ব্যবস্থা করায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। এসব পয়েন্টে দিনে কমপক্ষে ১০ বার যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়, তাও ট্রেন আসার কয়েক মিনিট আগ থেকে। এর সঙ্গে দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তি, রাজনীতিবিদদের মুভমেন্টের সময় দীর্ঘক্ষণ কিছু কিছু সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রেখে শুধু তাদের চলাচলের সুযোগ করে দেওয়া হয়। স্বাভাবিকভাবেই তখন পার্শ্ববর্তী সড়কগুলোতে সৃষ্টি হয় অসহনীয় যানজট। 
রিক্সা, ভ্যান, ঠেলাগাড়ি-বাস একই রাস্তায় ॥ ঢাকার একই রাস্তায় দ্রুতগামী যানবাহন আর ধীরগতির যানবাহন চলাচল করে, তাও আবার একসঙ্গে। একই সড়কে বাস-মিনিবাস, রিক্সা, ঠেলাগাড়ি, ভ্যান, এমনকি ঘোড়ার গাড়িও চলে। ঢাকা শহরে যানজটের প্রধান কারণ হিসেবে এটি উল্লেখযোগ্য। দেখা যায়, রাজধানীর ২-১টি রাস্তা ছাড়া এমন কোনো রাস্তা নেই যেখানে রিক্সা চলছে না। রিক্সা দ্রুতগতির যানবাহনের গতি কমিয়ে আনছে। একটি ধীরগতির যানবাহন দ্রুতগতির যানবাহনের সামনে দিয়ে চলাচলের ফলে পেছনে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। হর্ন দিলেও সরছে না। ফলে দুর্ঘটনাও ঘটছে।

দেখা যায়, প্রতিটি সিগন্যাল মোড়ে রিক্সার জটলা লেগেই আছে। বাস থেকে যাত্রী নামার পর রিক্সায় তোলার হিড়িক পড়ে যায়। বাস চালকও সিগন্যাল অতিক্রম করে যাত্রী ওঠা-নামার পর দীর্ঘ সময় বসে থাকছে। সামান্য পথ বলে রিক্সার উল্টো চলাচলের ফলে যানজট তীব্র হচ্ছে। এই দৃশ্য ঢাকার সব রাস্তার। রিক্সার অবাধ বিচরণ ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে ট্রাফিক সার্জেন্টরা। কোনো ধরনের মামলার ভয় না থাকায় রিক্সা চালকরা ট্রাফিক আইন মানছে না। মূলত এক সঙ্গে অনেকগুলো যানবাহন চলার কারণে ঢাকার রাস্তায় এক হ-য-ব-র-ল অবস্থা।

×