ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

পটুয়াখালী মহিলা এমপির স্বামীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ

প্রকাশিত: ২২:৪০, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৫

পটুয়াখালী মহিলা এমপির স্বামীর বিরুদ্ধে  জমি দখলের অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটুয়াখালী ॥ পটুয়াখালীতে ক্ষমতাশীন দলের প্রভাবশালী নেতা, জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, মহিলা সংসদ সদস্য লুৎফুননেছার স্বামী এ্যাড. সুলতান আহমেদ মৃধার বিরুদ্ধে শহরের বেশ কয়েকটি স্থানে অবৈধ ভাবে প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলের অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে এসব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবী করে সুলতান মৃধাও পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। শুক্রবার রাতে ও আজ শনিবার বেলা সারে ১১ টায় পটুয়াখালী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ পাল্টা পাল্টি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার রাতে সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কলেজ রোড এলাকার বাসিন্ধা সামুসর রহমান খান। লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, ‘শুক্রবার ভোর রাতে সুলতান আহমেদ মৃধা দেড় থেকে দুইশ লোকসহ অগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে শহরের কলেজ রোডে তাঁর বসত বাড়ির সামনে খালি জায়গা দখল করে নেয়। এ সময় সেখানে অবৈধভাবে একটি সাইবোর্ডও টাঙ্গিয়ে দেয়া হয়। এর আগেও, বর্তমানে দখলকৃত জমির দক্ষিন পাশের খালি প্লটটিও একই ভাবে সুলতান মৃধা দখল করে তার স্ত্রী সংসদ সদস্য লুৎফুন নেছার নামে সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দিয়েছে। এ বিষয়ে পটুয়াখালী থানা পুলিশ ও জেলা আওয়ামীলীগ নেতাদের অবহিত করা হয়েছে বলেও সামসুর রহমান খান সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের অবহিত করেন। এদিকে শহরের জৈনকাঠী এলাকায় রাজ্জাক ভূইয়ার মালিকানাধীন ১৪ কুড়া (২৮০ শতক) জমিসহ তাঁর মাছের ঘেড় অবৈধ ভাবে সুলতান মৃধা দখল করে নিয়েছে বলে রাজ্জাক ভূইয়া ওই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে অভিযোগ করেন। তবে শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় সুলতান আহমেদ মৃধা আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবী করেন, শহরের কলেজ রোড এলাকার ওই জমির প্রকৃত মালিকের কাছ থেকে ‘পাওয়ার অফ এটার্নি’ নিয়ে তিনি সীমানা প্রচীর ও সাইনবোর্ড দিয়েছেন। তবে ‘পাওয়ার অফ এটর্নি’ বলে ক্রয় সূত্র মালিক এমন সাইন বোর্ড টাঙ্গানো যায় কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সুলতান মৃধা বলেন, ‘ভুল বসত ক্রয় সূত্রে মালিক লেখা হয়েছে’। এ ছাড়া শহরের জৈনকাঠী এলাকায় তার বিরুদ্ধে জমি দখলের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা বলেও তিনি দাবী করেন। এসব জমি তিনি নিজে ক্রয় করেছেন এবং তারঁ বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে দাবী করেন ক্ষমতাশীন দলের ওই নেতা। এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন সাধারণ সম্পাদক কাজী আলমগীর হোসেন বলেন, ‘কুয়াকাটা থেকে পটুয়াখালী শহর পর্যন্ত আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে একটি চক্র অবৈধ ভাবে ব্যক্তি মালিকানাধীন ও সরকারী জমি দখলের প্রতিযোগীতায় নেমেছে। কারা এই দখলের সাথে জড়িত তা জানতে এবং তাদের হাত থেকে সাধারণ মানুষকে রেহাই দিতে আমি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’ আর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক খান মোশারেফ হোসেন জানান, জমি দখলের বিষয়ে তাদের কাছে একাধিক অভিযোগ এসেছে। এ বিষয়ে তারা খোঁজ খবর নিচ্ছেন।
×