ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

চাপে নেই জ্যাসন কেনি

প্রকাশিত: ০৬:২৬, ১৬ আগস্ট ২০১৬

চাপে নেই জ্যাসন কেনি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ‘এ নিয়ে পাঁচটি সোনা জিতলাম অলিম্পিকে। আরেকটা জিতলে স্বদেশী কিংবদন্তি ক্রিস হোয়ের সমকক্ষতা অর্জন করব। অনেকেরই ধারণা- এ নিয়ে বেশ চাপে আছি আমি। আসলে তা মোটেই নয়। আপাতত আমি ফাইভ গোল্ড মেডেল ক্লাবে যোগ দিতে পেরেই খুশি।’ কথাগুলো জ্যাসন কেনির। ২৮ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ সাইক্লিস্ট এবারের রিও অলিম্পিকে দুটি সোনা জিতেছেন। একটি দলগত স্প্রিন্টে, আরেকটি ব্যক্তিগত স্প্রিন্টে। এ নিয়ে তিনটি অলিম্পিকে তিনি জিতলেন পাঁচটি স্বর্ণপদক। ২০০৮ বেজিং অলিম্পিকে ১টি এবং ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে জিতেছিলেন ২টি সোনা। ২০০৮ অলিম্পিকে অবশ্য ১টি রূপাও জিতেছিলেন। সেটা যদি সোনা হতো, তাহলে এতদিনে ঠিকই ছুঁয়ে ফেলতেন স্বদেশী কিংবদন্তি আরেক সাইক্লিস্ট ক্রিস হোয়কে, যিনি ২০০০ সিডনি, ২০০৪ এথেন্স, ২০০৮ বেজিং এবং ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে জিতেছিলেন মোট ৭টি পদক, যার ছয়টিই ছিল সোনা! গত রবিবার সাইক্লিং ট্র্যাকে ক্যারিয়ারে পঞ্চম অলিম্পিক সোনা জেতেন জ্যাসন কেনি। সেদিন রিও গেমসের নবম দিনে স্বদেশী ক্যালাম স্কিনার এবং রাশিয়ার দেনিস দিমিত্রিয়েভকে হারিয়ে পুরুষ স্প্রিন্টের শ্রেষ্টত্ব ধরে রাখেন তিনি। ‘বেস্ট অব থ্রি’ ফাইনালের প্রথম দুটিতে জিতে সোনা নিশ্চিত করেন তিনি। এককের ফাইনালে কোন রেকর্ড গড়তে না পারলেও হিটে ঠিকই অলিম্পিক রেকর্ড গড়ে বসেন! সময় নেন ৯ মিনিট .৫৫১ সেকেন্ড। অলিম্পিক বাদে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ, ইউরোপিয়ান চাম্পিয়নশিপ এবং কমনওয়েলথ গেমস আসর থেকে এ পর্যন্ত মোট ১৫টি পদক জিতেছেন কেনি। এগুলোর ৪টি সোনা, ৬টি রূপা এবং বাকি ৫টি তাম্রপদক। ২০০৫ সাল থেকে সাইক্লিং ক্যারিয়ার শুরু করা কেনির প্রথম সাফল্য ছিল ওই বছরই ‘জুনিয়র ওয়ার্ল্ড চাম্পিয়নশিপে’ অংশ নিয়ে শিরোপা জেতা। তারপর আর পেছনে ফিরে তাকাননি তিনি। আজ মঙ্গলবার কিরিন ইভেন্টে জিতে স্বদেশী কিংবদন্তিকে ছোঁয়ার সুযোগ আছে ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি ও ৮০ কেজির অধিকারী জ্যাসন ফ্রান্সিস কেনির। পারবেন কি তিনি?
×