ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৭ জুন ২০২৪, ৩ আষাঢ় ১৪৩১

আজ সন্ধ্যার পর আঘাত হানবে উপকূলে

প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রেমাল

​​​​​​​জনকণ্ঠ রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৩:০৮, ২৫ মে ২০২৪

প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রেমাল

চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গর থেকে লাইটার জাহাজ নোঙ্গর করেছে কর্ণফুলীর অভ্যন্তরে, রেমালের প্রভাবে উত্তাল সাগর, ভোলায় নিরাপদে থাকার সতর্কবার্তা প্রচার

সাগরে গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূল এলাকায় আগেভাগেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি। শনিবার রাতে গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। আজ সন্ধ্যার পর বাংলাদেশ ভারতের উপকূলে আঘাত হানবে প্রবল এই ঘূর্ণিঝড়। যার নাম দেওয়া হয়েছে রেমাল। শনিবার রাতেই আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, সন্ধ্যার পর গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় নেমালে রূপ নিয়েছে। পরে পায়রা মোংলা সমুদ্রবন্দরকে নম্বর বিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সর্বশেষ আবহাওয়া অধিদপ্তর উপকূল এলাকায় সব ধরনের নৌ চলাচল বন্ধ রাখার  নির্দেশ দিয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে চার হাজার আশ্রয়কেন্দ্র। জেলাকে দেওয়া হয়েছে বিশেষ প্রস্তুতির নির্দেশনা। এদিকে রেমালের প্রভাবে উপকূলীয় জেলাগুলোতে বৃষ্টি হলেও রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় গত কয়েকদিন ধরে চলমান তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। অবস্থায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ফের ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের  কাছাকাছি পৌঁছেছে চুয়াডাঙ্গায়।

সংশ্লিষ্টরা জানান, রবিবার সকাল থেকেই ঝড়ের প্রভাব পড়বে সারাদেশে। ঢাকায় দুপুর পর বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ঝড়টি ভারতের উপকূল ঘেঁষে এলে শক্তি সঞ্চয়ের সুযোগ কম পেত। সাগরের মধ্যভাগ দিয়ে আসায় শক্তি সঞ্চয়ের জন্য চারপাশে উপযোগী পরিবেশ বিদ্যমান। সেকারণে প্রবল ঘূর্ণিঝড় হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। উপকূলীয় ওই এলাকায় পশুর নদীসহ অন্যান্য যে নদী আছে, সেগুলোতে সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভাটা হয়। আবার রাত ১২টা থেকে জোয়ার হয়। যদি জোয়ারের সময় ঝড়টি স্থলভাগ অতিক্রম করে তাহলে ক্ষতির আশঙ্কা বেশি থাকবে। ঝড়ের প্রভাবে কোথাও কোথাও ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে এবং এর ফলে ভূমিধস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি শনিবার সন্ধ্যা থেকে রাতের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়রেমাল’- পরিণত হয়েছে। এর মূল অংশ রবিবার সন্ধ্যায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাগর আইল্যান্ড এবং বাংলাদেশের পটুয়াখালীর খেপুপাড়ার মধ্যদিয়ে অতিক্রম শুরু করতে শুরু করবে। ঘূর্ণিঝড়টির ৭০ শতাংশ বাংলাদেশ এবং ৩০ শতাংশ ভারতে আঘাতের অশঙ্কা রয়েছে।

আজিজুর রহমান বলেন, রবিবার সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম শুরু করতে পারে। রাত ১২টার মধ্যে এটি উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে। তবে রবিবার দুপুর থেকেই ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রভাগ উপকূল স্পর্শ করার ধারণা করা হচ্ছে। পুরো ঘূর্ণিঝড়টির আকার ৪০০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার হতে পারে জানিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক বলেন, ‘রেমালপ্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে স্থলভাগ অতিক্রম করতে পারে। এটি অতি প্রবল হওয়ার সম্ভাবনা কম। স্থলভাগ অতিক্রমের সময় এর বাতাসের সর্বোচ্চ গতি হতে পারে ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, শনিবার রাতে গভীর নি¤œচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এরপর সমুদ্র অঞ্চলে ,, নম্বর বিপদসংকেত জারি করা হবে। পরে মহাবিপদসংকেত (, ১০) জারি হতে পারে। তবে পরবর্তীতে পরিস্থিতি অনুযায়ী সেটা জারি করা হবে। এখনো পর্যন্ত এটি উত্তর উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড়ে বাতাসের গতিবেগ থাকে প্রতি ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার। বাতাসের গতি ৮৯ থেকে ১১৮ কিলোমিটার থাকলে প্রবল, ১১৯ থেকে ২১৯ পর্যন্ত অতি প্রবল এবং বাতাসের গতি প্রতি ঘণ্টায় ২২০ কিলোমিটারের বেশি থাকলে সুপার সাইক্লোন বিবেচনা করা হয়ে থাকে। অবস্থায় ঘূর্ণিঝড় রেমাল প্রবল থেকে অতিপ্রবল হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আবহাওয়াবিদ মো. আবুল কালাম মল্লিক জনকণ্ঠকে বলেন, আবহাওয়া মডেলগুলো তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, শুক্রবার রাত ১২টার দিকে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে গভীর নিম্নচাপটি। রবিবার রাতে এটি উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে আমরা ধারণা করাছি। সন্ধ্যা থেকেই ঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব উপকূলীয় এলাকায় দেখা যাবে। ঝড়ের প্রভাবে কোথাও কোথাও অতি ভারি বৃষ্টি হতে পারে। এই আবহাওয়াবিদ বলেন, উপকূল অতিক্রমের সময় যদি ওই এলাকায় জোয়ার থাকে সে ক্ষেত্রে তিন থেকে চার ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। তবে প্রবল ঘূর্ণিঝড় হলে পাঁচ থেকে সাত ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। স্বাভাবিক জোয়ারের উচ্চতা তিন দশমিক ২২ ফুট।

এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নি¤œচাপটি বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা খেপুপাড়া থেকে ৪৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান অবস্থান করছে। ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) তাদের সর্বশেষ আবহাওয়া পরিস্থিতি জানিয়ে বলেছে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ থেকে ৪৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব দিকে এবং পশ্চিমবঙ্গের ক্যানিং থেকে ৪৮০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে।

ছয় জেলাকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় বিশেষ প্রস্তুতির নির্দেশ দেশের ছয় জেলাকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় বিশেষভাবে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান। ঘূর্ণিঝড় নিয়ে পর্যন্ত প্রাপ্ত পূর্বাভাস ভূমি অতিক্রমের সম্ভাব্য এলাকার ভিত্তিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলাগুলো হলো সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, খুলনা, বরগুনা, পটুয়াখালী ভোলা। ঝড় মোকাবিলায় ৮০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

চট্টগ্রাম চট্টগ্রাম অফিস জানায়, চট্টগ্রামে দুপুর থেকেই এর প্রভাবে ঝড়ো হাওয়া এবং হালকা বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তবে তা প্রবল বর্ষণে রূপ নেয়নি। পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রবিবার ঝড়টি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হতে পারে। তারা বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, গভীর নি¤œচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি রয়েছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকার সাগর উত্তাল হয়েছে। এজন্য চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে নম্বর সতর্ক সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

এদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ক্রমান্বয়ে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হওয়ার পূর্বাভাস দেওয়ার পরপরই উপকূলীয় জনগণের মাঝে সচেতনতার জন্য কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড। প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে উপকূলীয় অঞ্চলের জনগণ, মৎস্যজীবী   নৌযানসমূহকে ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষার জন্য বাংলাদেশ কোস্টগার্ড উপকূলীয় অঞ্চলে জনসচেতনতামূলক কর্মকা- পরিচালনা করছে। জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে চট্টগ্রাম কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলের এই বিস্তীর্ণ এলাকায় বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের স্টেশন  এবং আউট পোস্টসমূহ মাইকিং লিফলেট বিতরণ করছে। ঘূর্ণিঝড়ের বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে জীবন রক্ষার জন্য নিকটবর্তী সাইক্লোন সেল্টার স্টেশনে আশ্রয় গ্রহণের প্রস্তুতির জন্য সকলকে সচেতন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কোস্টগার্ড পূর্ব জোন।

অপরদিকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমান বন্দর, বিমানবাহিনীর জহুরুল হক ঘাঁটিতে ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রিম ব্যবস্থা হিসেবে সতর্কতা গ্রহণ করা হয়েছে। বন্দরে জাহাজ চলাচল, বিমান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি মহাবিপদ সংকেত রূপ নিলে জহুরুল হক ঘাঁটি থেকে বিমানবাহিনী ছোট বড় সকল বিমান হেলিকপ্টার ঢাকায় স্থানান্তর করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

কক্সবাজার স্টাফ রিপোর্টার জানান, বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত গভীর নিম্নচাপের কারণে কক্সবাজার অংশে সাগর উত্তাল রয়েছে। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে - ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন, ভ্যাপসা গরম, নেই বাতাসও। অনেকটায় গুমোট অবস্থা বিরাজ করছে কক্সবাজারে। ফলে নোনাজলে নামতে সাহস পাচ্ছেন না পর্যটকরা। শনিবার সকালে সৈকতে দেখা যায়, একের পর এক বিশাল বিশাল ঢেউ ধেয়ে আসছে উপকূলে। সৈকতে কমেছে পর্যটকের চাপ। আর যারা সৈকতে এসেছে তারাও ঢেউয়ের ভয়ে সাগরে নামছেন না। বালিয়াড়ি থেকে সাগরের ঢেউয়ের ভয়াবহতা দেখে হোটেলে ফিরছেন পর্যটকরা। ঢাকা থেকে আসা পর্যটক আলী আহমদ বলেন, গত দিন কক্সবাজারে অবস্থান করছি।

কিন্তু শনিবার সৈকতে গিয়ে দেখছি পর্যটকের সংখ্যা যেমন কমেছে, ঠিক তেমনি সাগরের নোনাজলেও নামছে না। কারণে সাগরে উত্তাল ঢেউ। আরেক পর্যটক আহমেদ উল্লাহ বলেন, বিশাল বিশাল ঢেউ দেখে ভয় লাগছে। তাই সমুদ্রস্নান না করে হোটেলে ফিরে যাচ্ছি। আবহাওয়া পরিস্থিতি বৈরী হওয়ায় সৈকত সতর্ক অবস্থানে লাইফ গার্ডকমীরা। পর্যটকদের সতর্ক করার পাশাপাশি টাওয়ার থেকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে পরিস্থিতি। সি সেফ লাইফ গার্ড সংস্থার কর্মী আদ্রাম ত্রিপুরা বলেন, যে আবহাওয়া বিরাজ করছে তাতে মনে হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় আসছে। সাগর যেমন উত্তাল, ঠিক তেমনি আবহাওয়াও গুমোট। ফলে সমুদ্রস্নানে কোনো পর্যটককে নামতে দেওয়া হচ্ছে না। কারণ সাগর উত্তাল হবার পাশাপাশি স্রোতের টান রয়েছে। তাই পর্যটকদের সতর্ক করা হচ্ছে। এদিকে দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে প্রশাসন। আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি প্রস্তুত রাখা হয়েছে স্বেচ্ছাসেবকদেরও।

বাগেরহাট স্টাফ রিপোর্টার জানান, শনিবার দুপুরেঘূর্ণিঝড় রেমালমোকাবিলায় মোংলা বন্দরে জরুরি প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় মোংলা বন্দরে প্রস্তুতি হিসেবে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড সংশ্লিষ্ট বন্দর ব্যবহারকারীদের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে। বন্দর চ্যানেলকে নিরাপদে রাখার জন্য দেশী কার্গো লাইটারেজগুলোকে চ্যানেলের বাইরে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। বর্তমানে মোংলা বন্দরের অবস্থানরত ৬টি বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজকে নিরাপদ সতর্ক অবস্থানে রাখা হয়েছে। বন্দরে আমদানিকৃত গাড়ি নিরাপদে রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে আমদানিকারকদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। ছাড়া বন্দর জেটিতে নৌবাহিনী কোস্টগার্ডের জাহাজগুলো নিরাপদ অবস্থানে রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড়রেমালসতর্কতায় সুন্দরবনসংলগ্ন উপকূলীয় বাগেরহাটে মাইকিং করছে কোস্টগার্ড। কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মুনতাসির ইবনে মহসীন জানান, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হওয়ার আশঙ্কার বিষয়টি সামনে রেখে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে কোস্টগার্ড মোংলা পশ্চিম জোন।

পটুয়াখালী নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া জানান, কলাপাড়ায় থেমে থেমে মৃদু দমকা হাওয়া বইছে। কখনো কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সাগর অনেকটা উত্তাল রয়েছে। জোয়ারে সাগর নদীতে পানির উচ্চতা বাড়ছে। সরাসরি কলাপাড়ায় খেপুপাড়ায় আঘাত করতে পারেÑ এমন খবরে কলাপাড়া উপজেলাসহ পায়রা বন্দর এলাকার সকল মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় কলাপাড়ায় উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি শনিবার দুপুরে জরুরি সভা করেছে। সেখানে সকল আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে কলাপাড়ার ইউএনও মো. রবিউল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন।

×