তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ১৪ নম্বর কূপ
বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস্ কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল)-এর তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ১৪নং কূপের ওয়ার্কওভার কাজ শেষ হয়েছে শনিবার। একই দিন এই কূপ থেকে ১২ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ শুরু হয়েছে। এ কাজের উদ্বোধন করেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নূরুল আলম।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ থেকে জানানো হয়, শনিবার বিকাল ৪ টা থেকে তিতাস-১৪ নং কূপ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে দৈনিক কম-বেশি ১২ মিলিয়ন ঘনফুট হারে জাতীয় গ্রীডে গ্যাস সরবরাহ শুরু করা হয়। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এবং প্রোডাকশ কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) তাদের বিজয়-১১ রিগ ব্যবহার করে চলতি বছরের ১৯ মার্চ তারিখে ওয়ার্কওভারের কাজ শুরু করে। যা গত ২১ মে সফলভাবে শেষ হয়।
বাপেক্স বলছে, কূপটি থেকে মোট ৪০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করা সম্ভব হবে। দৈনিক ১০-১২ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস উত্তোলন করলে আনুমানিক ১০ বছর কূপটি থেকে গ্যাস উৎপাদন করা যাবে জানিয়ে বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শোয়েব জনকণ্ঠকে বলেন, এই ৪০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের বর্তমান বাজার মূল্য (প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের গ্রাহক প্রান্তে ওয়েটেড গড় মূল্য ২২.৮৭ টাকা হিসেবে) ২,৫৯০.০০ (দুই হাজার পাঁচশ নব্বই) ােটি টাকা। কূপটির ওয়ার্কওভার সম্পূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে মোট ৭৫ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে বলেও জানান তিনি।
জানা যায়, পেট্রোবাংলার অধীনে বিজিএফসিএল প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদন ও গ্যাসের উপজাত কনডেনসেট প্রক্রিয়াজাতকারী একটি অন্যতম প্রতিষ্ঠান। কোম্পানির আওতায় মোট ৬টি গ্যাস ফিল্ড রয়েছে। এগুলো হলো তিতাস, হবিগঞ্জ, বাখরাবাদ, নরসিংদী, মেঘনা ও কামতা-এর মধ্যে উৎপাদনরত ৫টি গ্যাস ফিল্ড’র মোট ৩৯টি কূপের মাধ্যমে দৈনিক গড়ে ৫৬০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ হুমায়ুন কবীর ও ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম, বাপেক্স-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শোয়েব, সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: মিজানুর রহমান ও বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস্ কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ ফজলুল হক উপস্থিত ছিলেন।
স্বপ্না
