ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

জনগণের আস্থা ও বিশ্বাসের মর্যাদা রক্ষা করতে হবে ॥ প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:০২, ২১ জানুয়ারি ২০১৯

 জনগণের আস্থা ও বিশ্বাসের মর্যাদা রক্ষা করতে  হবে ॥ প্রধানমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতি মর্যাদা দেখিয়ে অত্যন্ত ধৈর্য ও সংযমের সঙ্গে চলতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে জনগণ আওয়ামী লীগের প্রতি যে আস্থা ও বিশ্বাস রেখেছেন তার মর্যাদা রক্ষা করা হবে। রবিবার সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া ও কোটালিপাড়া উপজেলার আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাত করতে এলে তাদের উদ্দেশে তিনি এমন নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার দেশে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে বলেই মানুষ ব্যাপকহারে নৌকায় ভোট দিয়েছে। যার ফলে চতুর্থবারের মতো এবং টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন সম্ভব হয়েছে। জনগণের দেয়া ভোটের মর্যাদা রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, দেশে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ চলছে, এগুলো শেষ করতে হবে। পাশাপাশি নতুন নতুন উন্নয়ন কাজ শুরু করতে হবে। এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে চলেন, তার আদর্শ ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। কারণ তার কাজের প্রেরণাই হচ্ছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এবং মা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিএনপি নেতৃবৃন্দের নেতিবাচক মন্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’৭৫-এর পর জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা দখলকে উচ্চ আদালত অবৈধ ঘোষণা করে আর তার প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপি সে কারণেই অবৈধ হয়ে যায়। আর সে কারণেই জাতিসংঘ ও কমনওয়েলথসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা তাকে স্বীকৃতি দেয়নি। আর জিয়াউর রহমানই ভোট কারচুপির রাজনীতি শুরু করে এবং মেধাবী ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দেয়। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার কথাও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একজন দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে, আরেকজন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা, মানি লন্ডারিং মামলা, হত্যা, খুন ও দুর্নীতিতে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। এদের দিয়ে দেশের কোনদিন কল্যাণ হয়নি, হবেও না। বিএনপির নির্বাচনে পরাজয়ের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মনোনয়ন নিলামে দেয়। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে জরিপ করে বিএনপি নেতৃবৃন্দ বুঝতে পারেন যে, নির্বাচনে তারা জিতবে না। আর সেজন্যই তারা নির্বাচনের নামে নাটক করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী, ’৭৫-এর খুনী এবং জেল হত্যাকারীদের বিচার করা হয়েছে। পাশাপাশি দুর্নীতিবাজদেরও সাজা হয়েছে, যার ফলে বাংলাদেশ কলুষমুক্ত হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নতি ও এগিয়ে যাওয়া বিএনপি-জামায়াত জোটের ভাল লাগে না। বাংলাদেশের মানুষ ভাল থাকলে তারা সহ্য করতে পারে না। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, তার সরকার বাংলাদেশকে আরও উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেবে, যাতে দেশের একজন লোকও কোন রকমের দুঃখ-কষ্টে না থাকে। দেশের সাধারণ মানুষের জীবনকে উন্নত ও সমৃদ্ধ করা, এটাই আওয়ামী লীগের রাজনীতি। প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া ও কোটালিপাড়া আসন থেকে তাকে পুনরায় নির্বাচিত করায় সেখানকার জনগণের কাছে তার কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ পৌঁছে দেয়ার জন্য উপস্থিত নেতাকর্মীর প্রতি অনুরোধ জানান। এর আগে নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
×

শীর্ষ সংবাদ:

গাজীপুরে দুই ট্রেনের সংঘর্ষ, আহত অর্ধশত
জেনে নিন এসএসসির ফল প্রকাশের তারিখ
তীব্র তাপদাহের পর ঢাকায় স্বস্তির বৃষ্টি
মিল্টন সমাদ্দার ৩ দিনের রিমান্ডে
১২ কেজি এলপিজির দাম কমলো ৪৯ টাকা
শনিবার মাধ্যমিক, রোববার খুলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়
শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ
স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স পাচ্ছেন না ৫ লাখ আবেদনকারী, শঙ্কায় চালকরা
ঢাকায় পৌঁছেছে ভূমধ্যসাগরে নিহত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ
সীমান্ত থেকে ১০ জেলেকে অপহরণ করেছে আরাকান আর্মি
অর্থ আত্মসাৎ মামলায় ইউনূসহ ১৪ জনের জামিন
ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করছে কলম্বিয়া
বিক্ষোভে উত্তাল বিশ্ববিদ্যালয়,অথচ বাইডেন চুপ!