ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৪ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার দাবিতে বাকৃবি ভিসি অবরুদ্ধ

প্রকাশিত: ০৬:০২, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার দাবিতে বাকৃবি ভিসি অবরুদ্ধ

বাকৃবি সংবাদদাতা ॥ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উপাচার্যের কার্যালয়ে হট্টগোলের ঘটনায় প্রশাসনের সাময়িক বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন আন্দোলনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে উপাচার্য তাঁর বাস ভবনে অবরুদ্ধ রয়েছেন। জানা যায়, গত সোমবার পূর্বানুমতি ছাড়াই বিভিন্ন দাবি নিয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ে ঢুকে কর্মকর্তারা উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। বিভিন্ন অশালীন ভাষা গালিগালাজ করে এবং উপ-উপাচার্যের দিকে তেড়ে আসে। ওই ঘটনায় জড়িত দুজনকে বুধবার সাসপেন্ড করে এবং অপর ছয় জনকে শোকজ করে প্রশাসন। এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকালে প্রশাসন ভবনের সামনে জড়ো হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মচারী-কর্মকর্তারা। পরে তারা বিক্ষোভ মিছিল বের করে প্রশাসন ভবন, কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখা, প্রকৌশল ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এই সময় তারা প্রশাসন ভবনের বিদ্যুত সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেয়। একই দাবিতে বুধবার দুপুর থেকে ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা, প্রক্টর, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হল প্রভোস্ট ও শিক্ষকদের বহনকারী ছোট ছোট যানবাহন বন্ধ করে দেয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে উপাচার্যের বাস ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। এতে উপাচার্য তাঁর ভবনে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক কাজে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। নিয়মিত ক্লাস হলেও প্রশাসনিক কোন কর্মকা- পরিচালিত হয়নি। সনদ উত্তোলনসহ বিভিন্ন জরুরী কাজে গিয়ে ফিরে আসতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের। এ বিষয়ে অফিসার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন বলেন, প্রশাসন নিয়মবহির্ভূতভাবে কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের দুই নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার ও ৬ জনকে শোকজ করা হয়েছে। এই আদেশ দ্রুত প্রত্যাহার না করা হলে আগামী রবিবার থেকে কঠোর কর্মসূচী দেয়া হবে। এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আলী আকবর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ফলে আমাকে সকাল থেকে বাস ভবনে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এখন বিভিন্ন মাধ্যমে আলোচনা করে বিষয়টি সুরাহা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
×