ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৪ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

চিত্রকে এগারো শিল্পীর চিত্রকর্ম প্রদর্শনী ‘ফ্রেম-৭৪’

প্রকাশিত: ০৬:০০, ৬ মার্চ ২০১৮

চিত্রকে এগারো শিল্পীর চিত্রকর্ম প্রদর্শনী ‘ফ্রেম-৭৪’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রদর্শনালয়ের দেয়ালজুড়ে ঠাঁই পেয়েছে রং ও রেখার বৈভব ছড়ানো অনেকগুলো ক্যানভাস। সেসব চিত্রপটে এসেছে বহুমাত্রিক বিষয়। উদ্ভাসিত হয়েছে নিসর্গের আখ্যান, নারীর সৌন্দর্য কিংবা যাপিত জীবনের চিত্র। শিল্পরসিকের নয়নজুড়ানো ছবিগুলো এঁকেছেন গত শতকের পঞ্চাশের দশকের বিভিন্ন সময়ে জন্ম নেয়া এগারো জন চিত্রশিল্পী। বিশেষ এক বৈশিষ্ট্যে এই চিত্রকরা মিলে গেছেন সমান্তরাল রেখায়। তারা সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের (তৎকালীন আর্ট কলেজ) ৭৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী। সত্তরের দশকে চারুশিক্ষার প্রাতিষ্ঠানিক পাঠ চুকিয়ে ছড়িয়ে পড়েছিলেন বিভিন্ন স্থানে। শিল্প সৃজনের তাগিদে তারা আবার যুক্ত হলেন এক ছাদের নিচে। তাদের আঁকা চিত্রকর্ম নিয়ে ধানম-ির গ্যালারি চিত্রকে চলছে ‘ফ্রেম-৭৪’ শীর্ষক প্রদর্শনী। সোমবার বিকেলে এ প্রদর্শনীর সূচনা হয়। উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতায় প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী শহিদ কবীর ও অধ্যাপক ড. আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন বরেণ্য চিত্রশিল্পী অধ্যাপক সমরজিৎ রায় চৌধুরী। তেলরঙ ও এ্যাক্রলিকের আশ্রয়ে পুষ্প, পাখি, নদী, মানুষ ও বাংলার নিসর্গকে উপজীব্য করে এই ১১ শিল্পী এঁকেছেন ৬০ চিত্রকর্ম। বিষয়ভিত্তিক ছবির সঙ্গে শিল্পীদের রং-তুলির আঁচড়ে উদ্ভাসিত হয়েছে বিমূর্ত রীতির ছবিও। মাহমুদুর রহমান অপু এঁকেছেন সত্তরের দশকে যাত্রীবাহী বাস। কারও চিত্রপটে ঠাঁই করে নিয়েছে নদী, নৌকা ও নিসর্গের সবুজ শ্যামলিমা। একাধিক ক্যানভাসে চিত্রিত হয়েছে নানা রূপী নারীর অবয়ব। এনামুল হকের ক্যানভাসে দেখা মেলে স্বচ্ছ জলাশয়ে মাছ শিকারে ব্যস্ত এক সাদা বককে। জি এম খলিলুর রহমান বিমূর্তধারায় চাঁদের বুড়িকে তুলে এনেছেন ক্যানভাসে। প্রদর্শনীতে অংশকারী শিল্পীরা হলেন আজিজুল হক, এনামুল হক, ফরিদ হোসেন সিদ্দিকী, জি এম খলিলুর রহমান, আইভি জামান, মাহমুদুর রহমান অপু, পারভীন জামান শাম্মু, রাহাত নিলুফার, শাকিনা হোসেন, শামিনা শারমিন ও ওয়াহিদ জামান টোকন। ১১ দিনব্যাপী এ প্রদর্শনী শেষ হবে আগামী ১৫ মার্চ। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। শত নারীর শিল্পকর্ম প্রদর্শনী শুরু আজ ॥ কাল বুধবার বিশ্ব নারী দিবস। মহীয়সী নারীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একডেমি এবং ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ (ইউডা) যৌথভাবে আয়োজন করেছে শিল্পকর্ম প্রদর্শনী ‘মাধবীলতা’। ইউডা চারুকলা বিভাগের প্রাক্তন ও বর্তমান শতাধিক নারী শিক্ষার্থী শিল্পীর অংশগ্রহণে এই শিল্পকর্ম প্রদর্শনী শুরু হবে আজ মঙ্গলবার। সপ্তাহব্যাপী এই প্রদর্শনী শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালার ১নং গ্যালারিতে অনুষ্ঠিত হবে। প্রদর্শনী চলবে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। শুক্রবার প্রদর্শনী চলবে বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা। আজ মঙ্গলবার বিকেল শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে প্রদর্শনীটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি থাকবেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব সুরাইয়া বেগম। সম্মানীয় অতিথি থাকবেন ইউডার প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি অধ্যাপক মুজিব খান। সভাপতিত্ব করবেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। সোমবার শিল্পকলার চিত্রশালার সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে প্রদর্শনীর বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়। এ সময় শিল্পকলা একাডেমি ও ইউডার কর্মকর্তারাসহ প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী ৫০ জন শিল্পী উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে ইউডা চারুকলা বিভাগের বিভিন্ন কার্যক্রমের বিবরণ তুলে ধরেন ইউডা চারুকলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শাহজাহান আহমেদ বিকাশ। শত নারীর শিল্পকর্ম পদর্শনী ‘মাধবীলতা’র আহ্বায়ক ও ইউডার সহযোগী অধ্যাপক কানিজ সোহানী ইসলাম এ আয়োজনের পটভূমি তুলে ধরেন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন শিল্পকলা একাডেমির চারুকলা বিভাগের পরিচালক আশরাফুল আলম পপলু। ভিয়েতনামের ফার্স্টলেডি জাদুঘর পরিদর্শন ॥ বাংলাদেশ সফররত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রপতি ত্রান দাই কুয়াংয়ের স্ত্রী এনগুয়েন থি হেইন সোমবার জাতীয় জাদুঘর পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তার সফরসঙ্গী হিসেবে আসেন আরও ২৫ জন। জাদুঘর পরিদর্শনে সহায়তা করেন জাদুঘরের কিপার ড. স্বপন কুমার বিশ্বাস, কিপার নূরে নাসরীন, কিপার ড. শিহাব শাহরিয়ার ও শিক্ষা কর্মকর্তা সাইদ সামসুল করীম। এ সময় জাতীয় জাদুঘরের পক্ষে ভিয়েতনামের ফার্স্টলেডিকে স্মারক উপহার তুলে দেন জাদুঘরের সচিব মোঃ শওকত নবী এবং ভিয়েতনাম সরকারের পক্ষ থেকে এনগুয়েন থি হেইন স্মারক উপহার প্রদান করেন জাতীয় জাদুঘরে। পরিদর্শন শেষে ভিয়েতনামের ফার্স্টলেডি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে শুধু এদেশের নয় বিশ্বের ঐতিহ্যও স্থান পেয়েছে। এ সফরের পর বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে তিনি আশা রাখেন। সে সঙ্গে ভিয়েতনামের জাদুঘর পরিদর্শনের জন্য জাতীয় জাদুঘরের কর্মকর্তাদের আমন্ত্রণ জানান।
×