নিজস্ব সংবাদদাতা, ৫ আগস্ট, জামালপুর ॥ বন্যার পানিতে ভেসে আসার পর জামালপুরে অবস্থান নেয়া ভারতীয় বুনো হাতিটিকে তাড়িয়ে শুকনো জায়গায় নিয়ে ট্রাকে তোলা হবে বলে জানিয়েছে উদ্ধারকারী দল।
জামালপুর সার্কিট হাউসে শুক্রবার অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে উদ্ধারকারী দলের সদস্য অসমের হাতি বিশেষজ্ঞ ও বন কর্মকর্তা হৃতেশ ভট্টাচার্য বলেন, প্রথম দিনে তারা শুধু ধারণা নিয়েছেন কীভাবে হাতিটি উদ্ধার করা যায়।
হাতিটি বন্যার পানি থেকে শুকনো জায়গায় না ওঠা পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব নয়। তাই তাকে ধাওয়া করে যে কোন শুকনো জায়গায় নেয়া হবে। তারপর ট্রাঙ্কুলাইজারের সাহায্যে অচেতন করে ট্রাকে ওঠানো হবে।
অজ্ঞান করার সময় হাতির শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে বিশেষ ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করা হবে বলে তিনি জানান। এদিকে বিডিনিউজ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার পপুলার জুটমিল এলাকায় ছিল হাতিটি। শুক্রবার সেখান থেকে ভাটারা ফুলবাড়িয়া এলাকায় যায়। কিছুক্ষণ পর পর স্থান পরিবর্তন করছে হাতিটি।
হাতিটি গত ২৮ জুন ভারতের অসম থেকে কুড়িগ্রাম জেলার সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। এরপর সিরাজগঞ্জ, গাইবান্ধা ও বগুড়ার চর ঘুরে জামালপুরের সরিষাবাড়িতে আসে। কখনও লোকালয়ে আবার কখনও যমুনার চরে বন্যার পানিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে হাতিটি। এক মাসের বেশি সময় ধরে ঘুরে ঘুরে হাতিটি প্রায় দেড় শ’ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছে। বেশিরভাগ সময় কাটাচ্ছে বন্যার পানিতে। ফলে হাতিটি দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জামালপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ শাহাবুদ্দিন খান, ভারতের হাতি বিশেষজ্ঞ কৌশল কুমার সারমা ও বাংলাদেশের বন কর্মকর্তা তপন কুমার দে প্রমুখ।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: