সংসদ রিপোর্টার ॥ দেশে বর্তমানে মোট দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা এক হাজার ৭৮টি। এসব পত্রিকার মধ্যে ৭৩টিতে মালিককে সম্পাদক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এছাড়া বাকি এক হাজার পাঁচটি পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক একই ব্যক্তি।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারী দলের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
মন্ত্রীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে এক হাজার ৭৮টি পত্রিকার মধ্যে মিডিয়াভুক্ত ৪৩৪টি ও মিডিয়া বহির্ভূত ৬৪৪টি পত্রিকা রয়েছে। অধিকাংশ পত্রিকার প্রকাশক বা মালিকই সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে থাকেন। স্বল্পসংখ্যক পত্রিকার প্রকাশক পেশাদার সম্পাদক নিয়োগ করে থাকেন। কেবলমাত্র মিডিয়াভুক্ত পত্রিকা কোন প্রেস থেকে প্রতিদিন কত সংখ্যা ছাপানো হয়ে থাকে, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতরের মাধ্যমে সরকার এই কাজটি মনিটরিং করে থাকে।
আওয়ামী লীগের নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কেবল টিভি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিটিভি, বিটিভি ওয়ার্ল্ড ও বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেলসমূহের অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হচ্ছে। তবে ভারতের দর্শকদের বিটিভি চ্যানেলের বিষয়ে আগ্রহ থাকলেও সেদেশে বিদেশী টিভি চ্যানেল প্রদর্শনের ক্ষেত্রে ডাউনলিংক ফি বেশি হওয়ায় ভারতীয় কেবল অপারেটররা এই বিষয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। তিনি জানান, সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকালে দূরদর্শনের একটি চ্যানেল ডিটিএইচ প্রযুক্তির মাধ্যমে বিটিভির অনুষ্ঠান প্রচারের বিষয়ে সম্মতি পাওয়া গেছে। সেই অনুযায়ী দূরদর্শন ও বিটিভির মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) চূক্তি স্বাক্ষরের প্রক্রিয়া চলছে।
প্রচার সংখ্যায় চতুর্থ স্থান অক্ষুণœ দৈনিক জনকণ্ঠের ॥ প্রচার সংখ্যায় শীর্ষে থাকা দৈনিক পত্রিকার মধ্যে দৈনিক জনকণ্ঠ চতুর্থ স্থান অক্ষুণœœ রেখেছে। মঙ্গলবার সংসদে তথ্যমন্ত্রীর দেয়া তালিকা অনুযায়ী, প্রচার সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ প্রতিদিন (প্রচার সংখ্যা ৫ লাখ, ৫৩ হাজার ৩০০)। দ্বিতীয় স্থানে দৈনিক প্রথম আলো (প্রচার সংখ্যা ৫ লাখ ১ হাজার), তৃতীয় কালেরকণ্ঠ (প্রচার সংখ্যা ২ লাখ ৫০ হাজার) এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে দৈনিক জনকণ্ঠ, আমাদের সময়, ইত্তেফাক ও যুগান্তর (প্রচার সংখ্যা ২ লাখ ৪০ হাজার)। ইংরেজী পত্রিকার মধ্যে ডেইলী স্টারের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ৪৪ হাজার ৫৯২।
সংসদ সদস্য মোহাম্মদ ইলিয়াসের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী জানান, হলুদ সাংবাদিকতার প্রবণতা ও প্রকরণ বিষয়ে পিআইবি ইতোমধ্যে একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। হলুদ সাংবাদিকতা রোধের ক্ষেত্রে রিপোর্টটি অনেকটাই অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে। তথ্য অধিদফতর হলুদ সাংবাদিকতায় জড়িত সাংবাদিকদের অনুকূলে ইস্যুকৃত এক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করে থাকে। সর্বোপরি বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল আইন- ১৯৭৪কে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে সংশোধন কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: