স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ হিলিস্থলবন্দর দিয়ে আইনী প্রক্রিয়া শেষে ভারতের বালুরঘাট শুভায়ন্ন অবজারভেশন হোমে আটক থাকা ১৫ শিশু-কিশোর দুই বছর পর নিজ দেশে ফিরেছে। রবিবার বেলা ১১টায় ভারতের হিলি অভিবাসন পুলিশ হাকিমপুর উপজেলার হিলিস্থলবন্দর অভিবাসন পুলিশের কাছে ১৫ শিশু-কিশোরকে হস্তান্তর করে। এ সময় বিজিবি-বিএসএফ, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিসহ গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। ফেরত আসা ১৫ শিশু-কিশোরকে তাদের পরিবারের কাছে তুলে দেয়া হয়। ফিরে আসা শিশু-কিশোররা হলো, ঢাকার মুগদার ফইজাল খান, সবুজবাগের রেফাত হোসেন, যাত্রাবাড়ীর স্বপন, কুষ্টিয়ার মিরপুরের শহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ মানিক, ঝন্টু, আশরাফুল মোল্লা, চুয়াডাঙ্গার দর্শনার জিল্লুর রহমান, যশোরের রানা শেখ, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর কার্তিক কুমার, প্রসনজিৎ বর্মণ, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের মমিন ইসলাম, সুনামগঞ্জের রাসেল মিয়া, ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জের অবিনাশ রায় এবং বরগুনার সাইফুল হাওলাদার। দিনাজপুরের হিলি অভিবাসন কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক কাদি রুবেল জানান, দেশের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে পাচারকারীরা এসব শিশু-কিশোরদের ভারতে পাচার করে। একপর্যায়ে তাদের কাছে পাসপোর্ট ভিসা না থাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয় পাচারের শিকার শিশু-কিশোররা। পরে তাদের দেশে ফিরে আনার উদ্যোগ নেয় সরকার।
এক পরিবারের চার সদস্য
সংবাদদাতা, দামুড়হুদা, চুয়াডাঙ্গা থেকে জানান, দর্শনা জয়নগর চেকপোস্ট সীমান্ত দিয়ে একই পরিবারের দুই শিশুসহ চার বাংলাদেশীকে বিজিবির কাছে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সীমান্তের ৭৬ নম্বর মেইন পিলারের কাছে দু’দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের ফেরত দেয়া হয়।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, গত ২০১১ সালে জেলার হিলি সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানার মাধুরা গ্রামের আব্দুস সালামের স্ত্রী ফাতেমা বিবি, ছেলে হেলাল উদ্দীন, শিশুপুত্র হোসেন ও মেয়ে আয়েশা খাতুন কাজের সন্ধানে ভারতে যায়। এ সময় ভারতের মালদহ থেকে রেলওয়ে পুলিশ তাদের আটক করে মালদহ থানায় সোপর্দ করে।
পরে আদালত দুই শিশু আয়েশা খাতুন ও মোহাম্মদ হোসেনকে কলকাতা আনন্দ আশ্রম সেফহোমে এবং মা ফাতেমা বিবি ও হেলাল উদ্দীনকে কলকাতা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠায়।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: