ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১

চিকিৎসা ও লোকাচার

মান্নান নূর

প্রকাশিত: ২১:৩৪, ২০ জুন ২০২৪

চিকিৎসা ও লোকাচার

সংস্কৃতি, লোকসংস্কৃতি

সংস্কৃতি, লোকসংস্কৃতি আর যাই বলি না কেন, তা সবই মানুষকে কেন্দ্র করেই। লোকাচার, লোকবিশ্বাস লোকসংস্কৃতির অঙ্গ বিশেষ। লোকাচার, লোকবিশ^াস গ্রামকেন্দ্রিক ভাবে গড়ে উঠেছে। । শহর হোক আর গ্রাম মানুষের মন বলে কথা! সেই বিখ্য্যাত “মানুষের মন”  গল্পটি সবার মনে আছে নিশ্চয়ই! সেখানেও কিন্তু দেখেছি বিজ্ঞান মনস্ক ব্যক্তিটিও এক সময় মুমূর্ষের চিকিৎসায় বিকল্প পথ হিসেবে লোকাচারের পথ বেছে নিয়েছিল। সর্বোচ্চ কথা হলো- লোকাচার, লোকবিশ্বাস যদিও ধর্ম কেন্দ্রিক কিংবা ধর্মকেন্দ্রিক না হলেও মানুষই এর উপর অনেকাংশে আশ্রিত।  

ভারতীয় উপমহাদেশে এর বিশেষ প্রভাব লক্ষণীয়।  ইতিহাসবিদরা তো এ কথা বিনা সংকোচে স্বীকার করেন যে, পৃথিবীর প্রায় সকল ধর্মের লোক এ অঞ্চলে আগমন করেছে, বাস করেছে। সুতরাং এ মাটির ধূলোতে মাটিতে, আলোতে নানা কুসংস্কার, সংস্কার, লোকাচার, লোকবিশ^াস তো গড়ে উঠবেই। 
লোকগবেষক আবুল হাফিজের মতে, ‘লোকবিশ^াস মূলত লোকসংস্কারের একটি স্তর মাত্র। কারণ, লোকবিশ্বাসে কোনও বস্তু, ঘটনা বা মানসিকতার স্বীকৃতি দেওয়া হয়। অন্যদিকে লোকবিশ্বাস যদি লোক-সমাজের জীবনাচরণে কার্যকরি ভাবে প্রকাশ পায়, যদি তা ক্রিয়া ও অনুষ্ঠানে রূপায়িত হয়, তাহলে তা পরিণত হবে লোকসংস্কারে। একটি বিশ্বাস নিরক্ষর ব্যক্তির মনে যতক্ষণ অবস্থান করে, ততক্ষণ তা লোকবিশ^াসই বটে। কিন্তু  যে মুহূর্তে তা সামাজিক স্বীকৃতি পায়, যুথবদ্ধ মানুষের কার্যকলাপে যখন যথার্থ স্ফূর্তি লাভ করে, তখন তা পরিণত হয় লোকসংস্কারে।’
বাংলাদেশে অঞ্চলভিত্তিক লোকাচার, লোকবিশ্বাস তৈরি হলেও মূলত তা একই রকম প্রায়। নানা ধারণা, নানা ঘটনা, নানা পারিপাশির্^কতা, নানা অবস্থা নানা সমস্যায় উৎপন্ন হয়েছে এসব। লোকাচার, লোকবিশ^াসেও চিকিৎসা একটি অগ্রগণ্য বিষয় হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এই কথার উপর হাজার হাজার মানুষ নির্ভর করে কাটিয়ে দিয়েছে পুরো জীবন যুগের পর যুগ। কিছু লোকাচার বিজ্ঞানের  প্রমাণ প্রয়োজন হয় না।

যেমন- বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে একটি বিজ্ঞাপন দেখানো হয় টুথপেস্টের। যখন বিজ্ঞাপনের নায়ক দাঁতের যন্ত্রণায় চিৎকার দিয়ে ওঠে, তখন হঠাৎ কোথায় থেকে একটি মেয়ের উদয় হয়। মেয়েটে এসেই বলে- আপনার টুথপেস্টে কি নুন আছে? এ ঘটনা সবারই জানা। দাঁতে নুন বিষয়টি হেসে উড়িয়ে দিলেও আপনার দাঁতে কিন্তু নুন লাগবেই। 
আমাদের দেশের অনেক অঞ্চলে দেখা যায় বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পেতে ধর্মীয় পবিত্র স্থানের ধুলোবালি, মাটি ব্যবহার করে থাকে। অসংখ্য মানুষের অন্ধবিশ^াস যে, এই সব পবিত্র স্থানের মাটি শরীরে লাগালে রোগ-ব্যাধি দূর হয়ে যায়। কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহের মাটি, পাগলা মসজিদের মাটি, অঞ্চলভিত্তিক মাজারের ধুলোবালি নিয়ে বরকত হিসেবে রোগ বালাইয়ের চিকিৎসা হয়ে  থাকে। 
ভূত-প্রেত, দেও, দানব থেকে মুক্তি পেতে, কিংবা বালা মুসিবত থেকে মুক্তি পেতে তেল ছাড়া হাঁসের ডিম ভেজে জঙ্গলে, হাওরে, বিলে, শ্যাওড়া গাছের তলে, তেঁতুল গাছের তলে, বটগাছের তলে ভোগ হিসেবে দিয়ে আসে। লোকবিশ^াস যে, এরকম করলে ভূত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।      
ভূত তাড়ানোর মন্ত্র :
আপ্তল আতশী বন্দী কুরান
আলীকে আলীকে সাত আসমান
সাত আসমানে সাত গুঞ্জরি 
একাবরি
গিদ্দে গিদ্দে বাজে সারি 
তামি কুটি  নবী কেওয়ারি
দম রাখে এঁশা পাঞ্জা রাখে আলী
ধর রাখে জব্রিল
সিনা রাখে কয়েক কিন্তু
ধান ধান মণ কিড়ার মণ
আক্কিল মণ
সত্তুর হাজার কাফির কাব-গুলান-তামান
নবী কেওয়ারি লা ইলাহা তীর, ইল্লাল্লাহ কামান
ভূত-পেরত দেও দানব কাইট্টা কর তামান
আসমান জমিন যার দোহাই দেই তার
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মোহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ।

আগেকার সময় কোনো কোনো এলাকায় মহামারি, কলেরা দেখা দিত। এ মহামারি থেকে মুক্তি পেতে লোকেরা এলাকা থেকে চাল, দুধ মেগে ক্ষির তৈরি করে নির্জন স্থানে রেখে আসতো। আর কিছু সংখ্যক বৈরাগী বা কবিরাজ একত্রিত হয়ে খোলা মাঠে ঐ ক্ষির খেতো। এখনো অনেক অঞ্চলে এরকম চিকিৎসা চালু রয়েছে।
বগুরায় শাহ সুলতান বলখীর মাজারের কাছেই একটি বড় পাথর রয়েছে। এরকম বিশালাকার পাথর দেশের বিভিন্ন মাজারে দেখতে পাওয়া যায়। অসংখ্য মানুষ নানা রোগ থেকে মুক্তির জন্য ঐ পাথরকে দুধ দিয়ে গোসল করিয়ে থাকে। তাদের ধারণা, এটা কোনো সাধারণ পাথর নয়, এটা অলৌকিক পাথর। কারো ধারণা, এ সকল পাথর পূর্বে জি¦ন ছিল। 
বদনজরকে বিভিন্ন এলাকায় নজর লাগা, চোখ লাগা, কু-নজর লাগা বলা হয়।  কিছু মানুষের চোখ নাকি খুবই খারাপ। তারা কুনজরে শিশুর দিকে তাকালে শিশুটি অসুস্থ হয়ে যায়। এমন কি চোখলাগা লোক যদি কোনো তাজা গরু, ছাগল, ফলবান গাছ ইত্যাদির দিকে তাকায়, তাহলে সে গাছ মারা যায়। তখন চিকিৎসার জন্য কবিরাজ, মৌলবীদের কাছ থেকে তেল পড়া, সুতা পড়া, চাল পড়া, তাবিজ, পানি পড়া এনে শিশুটির চিকিৎসা করা হতো।

আবার শিশুর যেন নজর না লাগে সে জন্য শিশুর কপালের একপাশে কাজলের টিপ দিয়ে থাকে। কালো কালির টিপ কপালের একপাশে থাকলে তাদের ধারণা, শিশুটির নজর লাগবে না। আর অসুস্থও হবে না।  অনেক মা খুব ভোরে সূর্য ওঠার আগে তিন রাস্তার মোড়ে খড়কুটো দিয়ে আগুন জ¦ালিয়ে তার উপর দিয়ে তিনবার আসা যাওয়া করে। এতে তার সন্তানটি সুস্থ হয়ে যাবে বলে ধারণা। 
শিশু জন্ম নেওয়ার দুই তিন দিন পর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে শিশুর চেহারা একবার লাল, আরেকবার নীল হতে থাকলে গ্রামের লোকদের ধারণা যে, শিশুটিকে টারহি ধরেছে। মনে হয় এই বুঝি শিশুটি আর বাঁচবে না। তখন গ্রামের লোকেরা চিকিৎসার জন্য কবিরাজ খুঁজে। টারহি হলো শয়তান, দানব, প্রেতের মতো অদৃশ্য আত্মা। টারহি ধরা শিশু চোখ বড় বড় করে চিৎকার করে কাঁদে আর শরীর ঝাঁকুনি দেয়। এ রকম শিশু বেশির ভাগই মারা যায়।

টারহি ধরা শিশুদের গ্রামের লোকেরা অদ্ভুত রকমের চিকিৎসা করিয়ে থাকে। তারা শিশুর ঘরের দরজার সামনে নিমপাতা, নিশিন্দার পাতা ঝুলিয়ে রাখে। ধান ভানার ছেঁহাইট, ঝাড়–, লম্বা লোহা, কাঁচি, দাও, সরিষা বাঁধা পুটলি দরজার সামনে রেখে দেয়। লম্বা রশি মন্ত্র পড়িয়ে এনে ঘরে বেঁধে রাখে। তাবিজ, সুতা পড়া এনে মা ও শিশুর শরীরে বেঁধে রাখে। এগুলো করলে তাদের ধারণা, কোনো টারহিই ঘরে আসতে পারবে না।

শিশুর পেট ব্যথা হলে গ্রামের মহিলারা শিশুটিকে ডাক্তারের কাছে না নিয়ে দিনে দুই তিনবার একটি পান নিয়ে বা একটি লেবুর পাতা নিয়ে ভালো ভাবে সরিষা তেল মেখে শিশুর পেটে ঘষতে থাকে। কিছুক্ষণ ঘষার পর পানটাকে আগুনে পুড়িয়ে ফেলে। আগুনে পোড়ানোর সময় পটপট শব্দ হলে তাদের ধারণা হয় যে, ঔষধ কাজ করছে এবং শিশুর পেট ভালো হয়ে যাবে।
নিজের বাড়িকে অথবা গ্রামকে রোগ-বালাই থেকে রক্ষা করতে অনেকেই এক বিশেষ ধরনের ভোগের ব্যবস্থা করে থাকে। বছরে একবার এরকম করতে দেখা যায়। আষাঢ় মাসে কিংবা বসন্তকালে গ্রামের কিছু মহিলারা কলা গাছের খোলে একটি সবরি কলা,আগরবাতি, কয়েকটি ফুল, চাল, তুলসিপাতা, মোমবাতি ইত্যাদি দিয়ে সাজিয়ে ঐ কলার খোলকে বেলা ৯/১০ ঘটিকার সময় পুকুরে ভাসিয়ে দেয়। গ্রামের মানুষের ধারণা, এতে গ্রাম বা পুরো এলাকা নানা ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পায় ।
খাওয়ার সময় গলায় মাছের কাঁটা বিঁধলে অনেকেই বলে থাকে, বিড়ালের পা ধরলে গলার কাঁটা সরে যাবে। তাই গ্রামের লোকেরা এ রোগের চিকিৎসা করাতে বিড়ালের পা ধরে । কেউ কোনো কারণে বা অকারণে, ভুল করে কিংবা সজ্ঞানে কাপড় উল্টোভাবে পরিধান করে, তাহলে তার মারাত্মক রোগ হবে। এ কারণে অনেককেই অনেক বকাঝকা খেতে হয়। আর এর চিকিৎসা হলো- সাথে সাথে জিহ্বায় সামান্য কামড় দেওয়া। তাহলেই সে আর মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হবে না।  
সাপে কাটলে রোগীকে সবাই মিলে ওঝার কাছে নিয়ে যায়। ওঝা রোগীকে একটি জলচৌকিতে বসিয়ে তুলা রাশি ওয়ালা মানুষকে দিয়ে হাত চালান দেয়। হাত রোগীর যে পর্যন্ত উঠবে সাপের বিষ সে পর্যন্ত উঠেছে বলে ধরে নেওয়া হয়। তারপর নির্দিষ্টি মন্ত্র বলে ঝাড়তে থাকে। হাত আস্তে আস্তে নিচে নামলে বুঝতে হবে যে বিষ নিচে নামচে। এক সময় হাত সম্পূর্ণ মাটিতে নেমে গেলে বুঝতে হবে যে বিষ সম্পূর্ণ শরীর থেকে নেমে গেছে। এ ভাবেই অনেক রোগীর চিকিৎসা করা হয়।
                একেক্কে চালুম পাঁচে পাঁচে চালুম
                খোদায় গুরু মোহাম্মদের দোহাই
                ফোঁদপাতায় পড়ে বান
                 চল চল হাত চল
                 তুলা রাশির হাত চল
                 যে জাগায় আছে বিষ সে যায়গায় চল
                 না থাহে ডাইনে বাঁয়ে চল।
কারো গোসলের সময় কানে পানি গেলে, কানের পানি বের করতে কানে আরো পানি ভরে মাথা কাঁথ করে উপর দিকে লাফ দিয়ে মাথা ঝাঁকিয়ে ঝাঁকিয়ে পানি বের করে। আবার অনেকে মাথা কাত করে পেঁপের ডাটা দিয়ে আগুনে গরম করে কানে ধরে রাখে। 
চোখে কিছু পড়লে কবিরাজ গাছের একটি পাতা নিয়ে সরিষার তেল মেখে চোখের নিচে ধরে ঐ পাতায় ফুঁ দেয় আর মনে মনে মন্ত্র বলে। 
কুকুরে কামড়ালে মানুষ কবিরাজের কাছ থেকে কলা পড়া আনে। আবার কোনো কোনো অঞ্চলে কাঁসার বা পিতলের থালা পড়া দিয়ে থাকে। এই মন্ত্র পড়া থালাটা সকালে রোগীর পিঠে বসিয়ে রোগীকে সূর্যের দিকে পিঠ করে রাখা হয়। সূর্যের আলোতে থালাটা গরম হলে ঐ থালা তার সমস্ত বিষ খেয়ে ফেলবে এটা তাদের ধারণা। 
বিড়াল কামড়ালে বা আঁচর কাটলে এর চিকিৎসার জন্য আছে লবণ পড়া । পড়া লবণে কখনো কখনো বিড়ালের লোমও পাওয়া যায়। লোম দেখে কবিরাজ রোগীকে বলে এই দেখ বিড়ালের লোম। তোমার শরীরে বিড়ালের বিষ রয়েছে। লবণ পড়া সকালে খালি পেটে খেতে হয়। এ রোগ থেকে মুক্তির জন্য তিনদিন লবণ পড়া খেতে হয়। 
গ্রামে জ-িস রোগে কেউ আক্রান্ত হলে অনেকেই ডাক্তারের কাছে না গিয়ে চলে যায় কবিরাজের কাছে। এখনো অনেক লোকের ধারণা, জ-িস রোগ চিকিৎসায় ভালো হয় না। তাই তারা কবিরাজের কাছ থেকে কলা পড়া আনতে যায়। এই কলা পড়া শনি এবং মঙ্গলবার দেওয়া হয়। তিন সপ্তাহ সকালে খালি পেটে খেতে হয় কলা পড়া। পরবর্তী সময়ে রোগী সুস্থ হলে যতদিন সে জীবিত থাকবে ততদিন এই জাতের কলা আর খেতে পারবে না। চিকিৎসা চলাকালীন  রোগী মাছ, মাংস, চ্যাপা, শুটকি, ডিম খেতে পারবে না। 
আবার কোনো কোনো অঞ্চলে এ রোগের চিকিৎসা অন্য পদ্ধতিতে করে থাকে। কবিরাজ রোগীর মাথায় গাছের বাকল বা তুলসিপাত বা কোনো গাছের লতি মালা বানিয়ে পড়িয়ে দেয়। আবার কিছু অঞ্চলে কবিরাজ রোগীকে গামলা ভর্তি পানি নিয়ে সে গামলায় রোগীর হাতে একটি বিশেষ গাছের  শিকড় দিয়ে কছলাতে বলে। কিছুক্ষণ পর গামলার পানি হলুদ হয়ে গেলে বলে তোমার শরীরের জ-িস পানিতে চলে এসেছে। তুমি ভালো হয়ে যাবে। আসলে ঐ গাছের শিকড় থেকে হলুদ রঙের কস বের হয়েছে। এভাবে তিন সপ্তাহ চিকিৎসা চলতে থাকে। 
আজ পর্যন্ত আমাদের দেশে এ রকম কাল্পনিক উদ্ভট চিকিৎসা পদ্ধতি চালু রয়েছে। যা থেকে হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। অন্ধবিশ^াস, অন্ধ অনুকরণ, মানুষের বাজে ধ্যান-ধারণা, কিছু মানুষের টাকা ইনকামের জন্য সরলতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে যুগযুগ ধরে চলে আসছে এ চিকিৎসা পদ্ধতি। এ থেকে বেরিয়ে আসা মানুষের পক্ষে কবে সম্ভব হবে তা বলা কঠিনই বটে। এরকম চিকিৎসার ফলে এদেশের হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে।

লোকাচার, লোকবিশ্বাস মানুষের অন্তরে রক্তের মতো মিশে আছে। যদিও কিছু সংখ্যক মানুষ এ চিকিৎসায় ভালো হয়ে উঠছে। তবে তা কাকতালীয়ভাবে। তবে আশার কথা যে, এই ডিজিটাল যুগে, স্মার্ট বাংলাদেশে এই প্রথা আস্তে আস্তে বিলুপ্ত হয়ে পড়ছে। একটা সময় আসবে এ চিকিৎসা পদ্ধতি খুঁজে পাওয়া যাবে না।

×