ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

লামায় কালবৈশাখী ঝড়ে ৯ শতাধিক বাড়িঘর লণ্ডভণ্ড

নিজস্ব সংবাদদাতা, বান্দরবান

প্রকাশিত: ১৭:৪০, ৩ মে ২০২৪

লামায় কালবৈশাখী ঝড়ে ৯ শতাধিক বাড়িঘর লণ্ডভণ্ড

যোগাযোগ বন্ধ, ভেঙে গেছে গাছ। ছবি: জনকণ্ঠ

বান্দরবানের লামা উপজেলায় ভয়াবহ কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় ৫ কোটি টাকার উপরে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে ঘণ্টাব্যাপী কালবৈশাখী ঝড়ে ৯ শতাধিক বাড়িঘর লণ্ডভণ্ড হয়। 

স্থানীয়রা জানায়, গত বৃহস্পতিবার (১ মে) রাত সাড়ে ৩টায় লামা উপজেলার পৌরসভা এলাকার আশেপাশের ৫টি ইউপিতে কালবৈশাখী ঝড়ে প্রায় ৯ শতাধিক বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময় বিদ্যুৎতের খুটি’সহ অনেক কৃষকের বিভিন্ন ফলের বাগান লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে অধিকাংশ পরিবার বর্তমানে খোলা ছাদের নিছে বসবাস করছেন বলে জানা গেছে। 

লামা বিদ্যুৎ বিভাগের প্রকৌশলী মো.সাজ্জাদ সিদ্দিক জানান, এই ঘুর্ণিঝড়ে বিদ্যুৎ বিভাগের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ১১ কেভি সঞ্চালনের ১৭টি খুটি ও ৩৩ কেভি সঞ্চালনের ১টি খুটি ভেঙে যাওয়াতে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। শুক্রবার মেইন লাইন চালু করে লামা হাসপাতালে বিদ্যুৎ সংযোগ পুনঃস্থাপন করা হয়েছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে লাইনঝিড়ি হতে ছাগলখাইয়া, লামা-আলীকদম উপজেলার সঞ্চালনের ১১ কেভি লাইনটি। এতে প্রায় দেড় কি.মি. বিদ্যুৎতের তার ছিড়ে যাওয়ায় আলীকদম বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করা সম্ভব হয়নি। দুয়েক দিনের বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলে জানান তিনি। 

লামা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, লামা পৌরসভাসহ পাঁচটি ইউনিয়নে প্রায় ৯ শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় লামা পৌরসভার মেয়র’সহ রেড ক্রিসেন্টের সদস্য ও স্থানীয়দের নিয়ে সড়কে ভেঙেপড়া গাছের ডালপালা কেটে পরিস্কার করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে বরাদ্ধকৃত খাদ্য শস্য ও কিছু ঢেউটিন তাৎক্ষনিক বিতরণ করা হয়েছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান প্রায় ৫ কোটি টাকার উপরে হতে পারে বলে জানান তিনি। 

লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কামরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, লামা পৌরসভা ছাড়াও সাতটি ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়কক্ষতি হয়েছে। বান্দরবান জেলা প্রশাসক হতে পর্যাপ্ত পরিমানে ত্রাণ বরাদ্ধ পাওয়া গেছে। উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও পৌরসভার মেয়রকে সঙ্গে নিয়ে ক্ষতিগস্থদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।  
 

 এসআর

×