ভারতের সর্বত্রই রাস্তার পাশে ছোট ছোট দোকানে পান বিক্রি হয়। পানের স্বাদে বৈচিত্র্য আনতে বিক্রেতারা নানান মশলা মেশাতে প্রতিযোগিতা করেন। তবে একেবারেই ভিন্ন ধাঁচের পান বিক্রেতা দিল্লীর প্রাধুমান শুক্লা। তার পরিবার নগরীতে ২০ বছরের বেশি সময় রাস্তার পাশে খাবারের দোকান চালায়। তবে শুক্লা তার উদ্ভাবিত ‘আগুন পান’ বিক্রি শুরু করার পর তার ব্যবসা এখন জমজমাট। এর সঙ্গে সঙ্গে তিনিও ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। এত দিন পানের সঙ্গে চুন, সুপারি, জর্দা, লবঙ্গ, এলাচ, ধনিয়া ইত্যাদি খাওয়ার প্রচলন ছিল। কিন্তু আগুন পানের কারণে অন্য ধরনগুলোর চাহিদা কমেছে। আগুন পানের মধ্যে সুপারি, চুনের সঙ্গে লবঙ্গ দেয়া হয়। আয়ুর্বেদ চিকিৎসা মতে, পান কফ, ঠা-া, মাথাব্যথাসহ নানা ধরনের অসুখের উপশম করে এবং পুরুষত্ব জোরদার করে।
৩১ বছর বয়সী উদ্যোক্তা শুক্লা বলেন, আমার এক ক্রেতা ছিলেন। তিনি প্রতিদিন আমার দোকানে আসতেন আর বলতেন, তার গলা ব্যথা হয়েছে এবং বিশেষ কায়দায় পান দিতে বলতেন। আরও বলতেন, তার মুখে আলসার হয়েছে। আমি তাকে প্রতিদিন পান খাওয়াতাম। তার ধারণা ছিল এতে তার গলা ব্যথা সারবে। কিন্তু তার গলা ব্যথা সারেনি।
প্রাধুমান আরও বলেন, একদিন তার দোকানের সাবেক কর্মচারী এ ক্ষেত্রে পানে আগুন দেয়ার ধারণা দেন। সে মোতাবেক পানে আগুন দিয়ে ওই ক্রেতাকে খাওয়ানো হলো। একপর্যায়ে ক্রেতা বলেন, তার আলসার সেরে গেছে। গলা ব্যথাও আর নেই। এরপর প্রাধুমানের ব্যবসা জমে ওঠে। তিনি জানান, এতে কিছুটা ঝুঁকি আছে। তবে মানুষ বেশ উপভোগ করছে। প্রথম দিকে এটি খেতে মানুষ সংশয় বোধ করত। তবে এখন এটিই বেশি পছন্দ করে ক্রেতারা। ক্রেতাদের অনেকেরই ভাষ্য, রাতের খাবারের পর এই পান না হলে তাদের চলে না। প্রথমে ভয় ভয় করলেও চিবানো শুরুর পর মুখে শীতলতা আসে। আর এই পান খেলে গলা ব্যথা কমে। অডিটিসেন্ট্রাল
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: