ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা

পুঁজিবাজারে সূচকের সঙ্গে লেনদেন বেড়েছে

প্রকাশিত: ০৪:১৩, ১০ এপ্রিল ২০১৬

পুঁজিবাজারে সূচকের সঙ্গে লেনদেন বেড়েছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গত সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের সঙ্গে বেড়েছে সব ধরনের মূল্যসূচক। সপ্তাহটিতে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ২১ দশমিক ৮১ শতাংশ। আর প্রধান সূচক বেড়েছে ১ দশমিক ৯৬ শতাংশ। একইভাবে সপ্তাহটিতে মৌল ভিত্তিসম্পন্ন শেয়ারের চাহিদা দেখা গেছে। অন্যদিকে কমেছে জেড ক্যাটাগরি বা জাঙ্ক শেয়ারের দর। বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, দুই স্টক একচেঞ্জের পক্ষ থেকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমা নিয়ে বৈঠক এবং পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গবর্নরের সঙ্গে সাক্ষাতের পরে উভয় বাজারেই সূচকের ইতিবাচক প্রবণতা ফিরে আসে। শুধু তাই নয়, ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমা ঠিক কতদিন পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে স্পষ্ট না হলেও অন্তত দুই বছর এই সময়সীমা বাড়বে এমনটা নিশ্চিত করা হয়েছে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে। আর এই নিয়ে আশাবাদ বেড়ে যাওয়ার কারণে শেয়ারের ক্রয়াদেশ বাড়িয়েছেন প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি পর্যায়ের বিনিয়োগকারীরা। যার কারণে সূচকের সঙ্গে লেনদেনও বেড়েছে। সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, এ সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নিয়েছে ৩৩১টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৩টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১২৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির। লেনদেন হয়নি ৪টি কোম্পানির শেয়ারের। ডিএসইতে এ সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৪৩ কোটি ৩২ লাখ টাকার শেয়ার। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৬৭৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। সেই হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৩৬৫ কোটি ৮৭ লাখ টাকা বা ৮১ শতাংশ। সকালে ইতিবাচক প্রবণতা দিয়ে শুরুর পরে ডিএসইর প্রধান বা ডিএসইএক্স সূচক ৮৫ দশমিক ৫৩ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৯৬ শতাংশ বেড়েছে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ২ দশমিক ২৬ শতাংশ বা ২৩ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট বেড়েছে। আর ডিএস৩০ সূচক বেড়েছে ২ দশমিক ২৬ শতাংশ বা ৩৭ দশমিক ২৯ পয়েন্ট। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হয়েছে ৮৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ, ‘বি’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হয়েছে ১ দশমিক ৬৭ শতাংশ, ‘এন’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হয়েছে ১০ দশমিক ০১ শতাংশ ও ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হয়েছে দশমিক ৭৮ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। সাপ্তাহিক লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : ডরিন পাওয়ার, লঙ্কা বাংলা ফাইনান্স, ইবনে সিনা, বিএসআরএম স্টিল, কেয়া কসমেটিকস, আমান ফিড, তিতাস গ্যাস, কেডিএস এক্সেসরিজ, ওরিয়ন ইনফিউশন ও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি লিমিটেড। দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : ইবনে সিনা, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সামিট এলায়েন্স পোর্ট লিমিটেড, ন্যাশনাল হাউজিং এ্যান্ড ফাইনান্স লিমিটেড, জিএসপি ফাইনান্স, ইসলামী ব্যাংক, তিতাস গ্যাস, বারাকা পাওয়ার, ট্রাস্ট ব্যাংক ও আমরা টেকনোলজিস। দর হারানোর শীর্ষের কোম্পানিগুলো হলো : ডরিন পাওয়ার, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, আরামিট, ফনিক্স ফাইনান্স, জাহিন স্পিনিং লিমিটেড, পূবালী ব্যাংক, কেডিএস এক্সেসরিজ ও তাল্লু স্পিনিং। এদিকে ঢাকার বাজারের মতো দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জেও সব ধরনের সূচকের সঙ্গে সপ্তাহটিতে লেনদেন বেড়েছে। পাঁচ কার্যদিবসে সিএসই সার্বিক সূচক ১ দশমিক ৯৯ শতাংশ বেড়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৬৩ কোটি ৮৬ লাখ টাকার শেয়ার। আলোচিত সপ্তাহে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৮৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৫৭টির, কমেছে ৯৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টির।
×