ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

ঈদবাজার

নীলফামারীতে কেনাকাটার ধুম

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী

প্রকাশিত: ২১:২১, ৩ এপ্রিল ২০২৪

নীলফামারীতে কেনাকাটার ধুম

শহরে ঈদ মার্কেট শেষ মুহূর্তে চলছে কেনাকাটা

জেলাজুড়ে জমে উঠেছে ঈদবাজার। বেড়েছে ক্রেতাসমাগম। প্রতিদিন মধ্যরাত পর্যন্ত শহরের বিপণি বিতানগুলোর পাশাপাশি ফুটপাতের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। এবার নারীরা শাড়ির চেয়ে ভারতীয় থ্রি-পিসের দিকে ঝুঁকেছেন। নতুন ও বৈচিত্র্যপূর্ণ নকশার দেশী-বিদেশী থ্রি-পিস তরুণী ও কিশোরীদের নজর কেড়েছে। তরুণ ও কিশোরদের মন মজেছে দেশী পাঞ্জাবি ও টি-শার্টে।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বেচাকেনা ভালো হচ্ছে। এবার সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে ভারতীয় থ্রি-পিস। পাশাপাশি ভারতীয় নায়রা, গারারা, সারারা, কাতান ও লেহেঙ্গা বেশি কিনছেন ক্রেতারা। তবে ক্রেতারা বলছেন, কাপড়ের দাম একটু বেশি রাখা হচ্ছে। ফলে কেনাকাটা করতে এসে বিপাকে পড়তে হচ্ছে তাদের। 
গত দুদিন ধরে শহরের নিউমার্কেট, পৌর সুপার মার্কেট, মকবুল হোসেন সুপার মার্কেট, মুরাদ আলী প্লাজা, সোলেমান প্লাজা, বড় বাজার, স্মৃতি গার্মেন্টস, প্রিয়ম ক্লথ স্টোরসহ বিভিন্ন বিপণি বিতানে ইফতারের পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। তবে ফুটপাতের দোকানগুলোতে ছিল উপচেপড়া ভিড়। নিজেদের পছন্দের জামা-কাপড়, প্রসাধনী ও জুতা ক্রয়ে বিভিন্ন দোকানে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ভিড় করছেন ক্রেতারা।

বড় বাজারের প্রিয়ম ক্লথ স্টোরের স্বত্বাধিকারী জাভেদ আকতার নান্নু বলেন, এ বছর ঈদবাজারে দেশী সুতি থ্রি-পিসের সঙ্গে লেহেঙ্গা, বুটিকস, চোয়া, আড়ং, জিপসি, ভারতীয় থ্রি-পিস ও নাইরাকাটা ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে। বাজারের স্মৃতি ক্লোথ অ্যান্ড গার্মেন্টসের স্বত্বাধিকারী মকবুল হোসেন বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার বিক্রি বেড়েছে। নায়রা, গারারা, সারারা, কাতান, ভারতীয় থ্রি-পিস সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে। শাড়ির মধ্যে বেশি বিক্রি হচ্ছে ফোর প্লে, মণিপুরী ও কাশ্মীরি কাতান। এ ছাড়া ইন্ডিয়ান লেহেঙ্গা বিক্রি হচ্ছে বেশ।

ফটিকছড়িতে বাহারি পোশাকের পসরা 
নিজস্ব সংবাদদাতা ফটিকছড়ি থেকে জানান,  উপজেলায় জমে উঠেছে ঈদ বাজার। ক্রেতাদের ভিড়ে মুখরিত মার্কেটগুলো। সব বয়সের নারী-পুরুষ তাদের পছন্দের জিনিসপত্র কিনতে ব্যস্ত। ঈদকে সামনে রেখে বাহারি পোশাকের পসরা সাজিয়েছেন দোকানিরা। অভিজাত বিপণি বিতান থেকে শুরু করে ছোট-বড় মার্কেটের দোকানগুলো এখন বাহারি পোশাকে ঠাসা।

ক্রেতাসাধারণের পদভারে পূর্ণ মার্কেটগুলোর বিক্রেতাদের ঘুম নেই। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দোকানে বেচাকেনা চলছে। এ উপজেলার লোকজন ছাড়াও পার্শ্ববর্তী  হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলার বাসিন্দারা মার্কেটগুলোতে কেনাকাটা করতে ব্যাপক হারে ভিড় জমিয়েছে। উপজেলার আওতাধীন বড় বড় হাটবাজারে ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে ক্রেতাদের ভিড় ততই বাড়ছে। দোকানিরাও ক্রেতাদের ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। বেচাবিক্রি বেশি হওয়ায় দোকানের কর্মচারীর সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা সদর বিবিরহাটের ফটিক প্লাজা, মীর জাহানারা কমপ্লেক্স, হক মার্কেট, একে সেন্টারে সবচেয়ে বেশি ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। অন্যদিকে, নাজিরহাটের এস এ সিটি সেন্টার, এম এম প্লাজা, সজিব প্লাজা, হোসাইন প্লাজা, মোতালেব প্লাজায়ও ক্রেতারা তাদের পছন্দের কাপড়চোপড় ক্রয় করছেন। এ ছাড়াও নানুপুর, আজাদীবাজার, কাজিরহাট, নারায়নহাট, হেঁয়াকো বাজারের বিভিন্ন মার্কেটে ক্রেতাদের ভিড় চোখে পড়ার মতো।
 
চাটমোহরে উপচেপড়া ভিড়
নিজস্ব সংবাদদাতা চাটমোহর পাবনা থেকে জানান, ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত চাটমোহরবাসী, ঈদের দিন যত এগিয়ে আসছে ভিড় ততই বাড়ছে মার্কেটগুলোতে। চলনবিল অধ্যুষিত এই উপজেলার সিংহভাগ মানুষই কৃষিজীবী ও শ্রমজীবী। বিগত বছরের তুলনায় এবার সরিষা, রসুন ও পেঁয়াজ ভালো ফলন ও বেশি দাম পাওয়ায় তারা ঈদের অনেক আগেই কেনাকাটা শুরু করেছেন। এখন শপিং মার্কেটগুলোতে উপচেপড়া ভিড় পড়ছে।

পোশাকের সঙ্গে জুতা কেনা, কেউ প্রসাধনী সামগ্রী, টুপি-আতর কিনছেন। বুধবার উপজেলার নতুন বাজার সরদার নিউ মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। দেখা গেছে, পুরো পরিবার নিয়েই অনেকে হাজির হয়েছেন শপিং মার্কেটে। চাটমোহর বাসস্ট্যান্ড এলাকার রাজিব হোসেন বলেন, পরিবার নিয়ে এসেছি। একদিনেই ঈদের কেনাকাটা শেষ করব বলে ঠিক করেছি। 
রাজিব হোসেন বলেন, আমার জন্য পাঞ্জাবি-পায়জামা, শার্ট আর প্যান্ট কিনেছি। স্ত্রী ও সন্তানের জন্য বেশকিছু কেনাকাটা করেছি, এখন জুতা কিনতে জুতার মার্কেটের দিকে যাব।’ সরদার নিউ মার্কেটের আল মদিনা বস্ত্র বিতানের প্রোপ্রাইটর আলাউদ্দিন বিশ্বাস বলেন, ‘গতকালের চেয়ে আজ বিক্রি বেড়েছে। বেশি বিক্রি হচ্ছে পাঞ্জাবি, শাড়ি, লুঙ্গি ও থ্রি পিস। সন্ধ্যার পর বিক্রি আরও বাড়বে বলে আশা করছেন তিনি।’ ফারিয়া ফ্যাশনের মালিক আব্দুল জলিল বলেন, ছেলেদের প্যান্ট ও পাঞ্জাবি বিক্রি হচ্ছে বেশি। এখন থেকেই রাত ১১টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখা হচ্ছে।

শিবচরে বেড়েছে ক্রেতা
সংবাদদাতা, শিবচর, মাদারীপুর,  মাদারীপুর জেলার শিবচরে প্রতিটি মার্কেটেই ক্রেতার উপস্থিতি উপচে পড়ার মতো। পণ্যের চড়া দামেও জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। ক্রেতাদের পদচারণায় সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত মুখর থাকছে বিপণিবিতানগুলো। ক্রেতাদের এমন ভিড়ে খুশি ব্যবসায়ীরা। তবে অতিরিক্ত দামে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। গরিবের ঈদের কেনাকাটা হাতের নাগালের বাইরে। ঈদের মার্কেটগুলোতে দখল করে আছে দেশী-বিদেশী বাহারি রঙের পোশাক।

সাধ আর সাধ্যের মধ্যে কেনাকাটা করছেন ক্রেতারা। ছেলেদের জন্য পাঞ্জাবি-পাজামা, শার্ট-প্যান্ট, মেয়েদের জন্য থ্রি-পিস, ফ্রক, স্কার্ট ও শিশুদের শার্ট-প্যান্ট, পাঞ্জাবি-পাজামাসহ নানা নজরকাড়া পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। মঙ্গলবার উপজেলার ৭১ সড়ক রোড, ইলিয়াস আহম্মেদ চৌধুরী সুপার মার্কেট, খলিফাপট্টি, মোল্লা মার্কেট ও পাঁচ্চর বাজারসহ বিভিন্ন মার্কেটে ভিড় রয়েছে।

×