ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

শেরপুরে শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের কবর সংরক্ষণ 

পাঁচ মাসের প্রকল্প শেষ হয়নি তিন বছরেও

নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর

প্রকাশিত: ২১:২৩, ২৫ মার্চ ২০২৪

পাঁচ মাসের প্রকল্প শেষ হয়নি তিন বছরেও

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কবরস্থান সংরক্ষণ প্রকল্প তিন বছরেও শেষ হয়নি

শেরপুরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কবরস্থান সংরক্ষণ-নির্মাণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানসহ খোদ গণপূর্ত বিভাগের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও অবহেলার অভিযোগ উঠেছে। ৩ কোটি ২৭ লাখ টাকার ওই প্রকল্পে এখন পর্যন্ত কোনো কাজই পুরোপুরি শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। মুক্তিযোদ্ধারা বলছেন, ৫ মাসে প্রকল্পটি শেষ করার কথা থাকলেও গত ৩ বছরেও শেষ হয়নি। এ ছাড়াও অভিযোগ রয়েছে, নি¤œমানের কাঁচামাল ব্যবহার ও সঠিক মাপে বেদি নির্মাণের ক্ষেত্রেও। ফলে এখনই ভেঙে পড়ছে কোনো কোনো কবরের টাইলস।
জানা যায়, সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতায় শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ১৭২ জন শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধার কবর সংরক্ষণ ও নির্মাণে একটি প্রকল্প হাতে নেয় গণপূর্ত বিভাগ। প্রকল্প কাজের দায়িত্ব পায় চট্টগ্রামের মোহাম্মদ ইউনূস অ্যান্ড ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেড। সে অনুযায়ী ২০২১ সালে কাজ শুরু করে তারা।

একই বছরের আগস্ট মাসে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নানা অজুহাতে প্রায় ৩ বছরেও কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। গোশাইপুর ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার আলহাজ মো. নুরুল ইসলাম জানান, মুক্তিযোদ্ধাদের কবর নির্মাণেও যদি কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় অনিয়ম-দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়া হয়, তখন কষ্টের কথা প্রকাশের ভাষা থাকে না। 
তিনি ওই বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান। একই দাবি জানান বীর মুক্তিযোদ্ধা খাদেম আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মিজান উদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার আমিনুল ইসলাম প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজে ধীরগতি ও অনিয়ম অবহেলার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সেইসঙ্গে তিনি কাজের স্বচ্ছতা ফেরাতে ও অনিয়ম ঠেকাতে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তির দাবি জানান।

আর শেরপুর জেলা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কবর সংরক্ষণের কাজ শেষের দিকে। তবে অর্থ সংকটের কারণে এবং কিছু কিছু জায়গা দুর্গম হওয়ায় কাজ কিছুটা থমকে রয়েছে। আমি নতুন এসেছি। এসেই যত দ্রুত সম্ভব কাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদারকে তাগাদা দিয়েছি। 
শেরপুরের  ডিসি আব্দুল্লাহ আল খায়রুম সোমবার বিকেলে বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলব। তবে প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতি ও কোনো অনিয়ম হয়ে থাকলে অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

×