ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

সূর্যমুখী চাষে সফলতা

মো. মামুন চৌধুরী, হবিগঞ্জ

প্রকাশিত: ০১:২২, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

সূর্যমুখী চাষে সফলতা

সূর্যমুখী চাষে সফলতা

হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার দ্বিমুড়া কৃষি ব্লক। এ ব্লকের দ্বিমুড়া গ্রামে সূর্যমুখী ফুলের চাষ হয়েছে। এর চাষ করেছেন কৃষক মো. দিদার হোসেন। তার চাষকৃত ফুল দেখতে ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা। এর মধ্যে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাই বেশি। তিনি সূর্যমুখী ফুলের চাষাবাদে সফল। 
একই ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে কৃষক আজিজুর রহমান, জসিম উদ্দিন, ইউনুছ মিয়া, দুলাল মিয়া, আমির আলী, আরফান আলী, ওয়াহিদ মিয়াসহ আরও কয়েকজন কৃষক সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেও লাভবান। তাদের সফলতা দেখে অন্যান্য স্থানের কৃষকরাও সূর্যমুখী ফুল চাষে আগ্রহী হয়েছেন। 
একইভাবে জেলার বাহুবল, নবীগঞ্জ, লাখাই, হবিগঞ্জ, মাধবপুর, চুনারুঘাট উপজেলার গ্রামে গ্রামে কৃষকরা সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন। তারাও চাষ করে আশানুরুপ ফলন পেলেন। 
হবিগঞ্জ জেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি মৌসুমে জেলাজুড়ে প্রায় ৪০০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন ৩ হাজার কৃষক। যেখানে এক সময় জেলায় শখের বসে কেউ কেউ বাড়ির আঙ্গিনায় সূর্যমুখী ফুল গাছ রোপণ করে সৌন্দর্য উপভোগ করতেন।

আর্থিকভাবেও লাভবান হতেন না। এখানে বর্তমানে কৃষি বিভাগের তৎপরতায় বাণিজ্যিকভাবে সূর্যমুখী ফুলের চাষ বেড়ে চলেছে। তাতে লাভবান কৃষকরা। শখ পূরণের পাশিপাশি আসছে অর্থ। কৃষক মো. দিদার হোসেন বলেন, সূর্যমুখী ফুল চাষ সম্পর্কে তেমন ধারণা ছিল না। বাহুবল উপজেলার দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীম মাঠে এসে পরামর্শ প্রদান করেন। আমি উৎসাহিত হয়ে জমি আবাদ করে এ ফুলে চাষ করেছি। খেতে আছে হলুদ বর্ণের সূর্যমুখী ফুল। যে দৃশ্য প্রকৃতিপ্রেমীদের মন জয় না করার কোনো উপায় নেই। যাই হোক চাষ করে ফলন পেয়েছি। আগামীতেও চাষ করার ইচ্ছা আছে। 
বাহুবল উপজেলার দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীম বলেন, এ ব্লকের মধ্যে প্রায় ২ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ হয়েছে। এরমধ্যে ২০ কৃষককে জনপ্রতি ২ কেজি বীজ ও ২০ কেজি করে সার সরকারিভাবে প্রদান করা হয়েছে। সরকারি সার ও বীজ দিয়ে কৃষকদের উৎসাহিত করা হয়। যার ফলে কৃষকরা ফুলের চাষ করে লাভবান। কৃষকদের মুখে হাসি দেখতে পেয়ে অত্যন্ত আনন্দ লাগছে। 

মো. মামুন চৌধুরী, হবিগঞ্জ

×