ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে গেছে জনপদ। ছবি: জনকণ্ঠ
দেশের উত্তর জানপদের সর্বশেষ দ্বিতীয় জেলা ঠাকুরগাঁও ও এর আশেপাশের এলাকাগুলো বুধবার সারাদিন ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা ছিল। বুধবার সারাদিন সূর্যের মুখ দেখা না যাওয়ার ফলে শীতের তীব্রতা বেড়ে বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবন।
জেলায় আবহাওয়া অফিস না থাকায় কৃষি অফিস জানায়, বুধবার সর্বনিম্ন ৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
রাতের বেলায় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির ন্যায় কুয়াশা ঝরছে। দিনের বেলায় প্রায় দুপুর পর্যন্ত রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহনগুলোকে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে এবং অতিরিক্ত শীতের কারণে ক্রেতা কম থাকায় অনেক দোকানদারকে দোকানের সামনে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিতে দেখা গেছে।
শীতের তীব্রতায় নিম্ন ও দিনমজুর শ্রেণির মানুষেরা কাজে যেতে না পেরে পড়ছেন বিপাকে। শ্রমিক শ্রেণির এসব মানুষ সন্তান পরিজন নিয়ে অর্ধাহারে অনাহারে দিনাতিপাত করছেন। অতিরিক্ত শীতের কারণে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে শিশুসহ বেশি বয়সের মানুষেরা।
ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে শীতজনিত রোগী বিশেষ করে শিশু রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ডাক্তার ও নার্সদের রিতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে। শিশু ওয়ার্ডে ৪৫টি শয্যা নির্ধারিত থাকলেও প্রতিদিন দেড় থেকে দুইশ’ রোগী ভর্তি থাকছে। শয্যার অভাবে কনকনে এই শীতে মেঝেতে বিছানা পেতে রোগীদের চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
শীতের তীব্রতা থেকে রক্ষা পেতে নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন গরম কাপড় কেনার জন্য ফুটপাতে মৌসুমী কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় করছেন। এই সুযোগে বিক্রেতারা কাপড়ের দাম বাড়িয়ে দিয়ে বিক্রি করছে বলে ক্রেতারা অভিযোগ করেছেন।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহাবুবুর রহমান জানান, জেলার শীতার্ত মানুষের শীত নিবারণের জন্য সরকারি ভাবে প্রায় এক লাখ কম্বল বিতরণের লক্ষ্য নিয়ে তা বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংক, বেসরকারি সংস্থা ও সংগঠন শীতার্তদের সহায়তায় এগিয়ে আসছে।
এসআর