নিজস্ব সংবাদদাতা, কেশবপুর ॥ কেশবপুর ডেঙ্গু আতংক বিরাজ করছে। উপজেলা সদরসহ প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে দিন দিন বেড়েই চলেছে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগির চিকিৎসার জন্য পৃথক পৃথক দুটি ইউনিট খোলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার নতুন ৪ জন ডেঙ্গু রোগি ভর্তি হয়েছে। গত ২৮ দিনে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত কেশবপুর হাসপাতালে মোট ৪৭ জন ডেঙ্গু রোগি শনাক্ত করা হয়েছে। তবে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি।
কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মোঃ হারুন অর রশিদ জানান, বৃহস্পতিবার নতুন করে চার জন ডেঙ্গু রোগি ভর্তি হয়েছে। তিনি জানান, গত ২৬ জুলাই হতে ২২ আগস্ট পর্যন্ত উপজেলায় মোট ৪৭ জন রোগি পাওয়া গেছে। এর মধ্যে অনেক রোগি চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য ৫ জনকে যশোর ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে ১৬ জন ডেঙ্গু রোগি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এদের মধ্যে ২ জন শিশু, ৬ জন মহিলা ও ৮ জন পুরুষ। ডেঙ্গু আক্রান্তদের জন্য হাসপাতালে পুরুষদের জন্য ও মহিলা এবং শিশুদের জন্য আলাদা দুটি ইউনিট চালু করা হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে পৌরসভায় ১১ জন, কেশবপুর সদর ১১ জন, উপজেলার সুফলাকাটি ২ জন, মজিদপুর ২ জন, বিদ্যানন্দকাটি ১ জন, ত্রিমোহিনী ৬ জন, পাঁজিয়ায় ২ জন, সাগরদাড়ী ৩ জন ও মঙ্গলকোট ইউনিয়নে ২ জনসহ প্রায় ১৮টি গ্রামে ৪০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। স্বার্থ কর্মকর্তা জানান, পৌরসভা এবং কেশবপুর সদর ইউনিয়নে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বেশী। হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগি পরীক্ষার প্রয়োজনীয় কিটস রয়েছে জানিয়ে তিনি পরিস্কার পরিছন্নতা এবং সচেতনতা বাড়ানোর পরমর্শ দিয়েছেন। এদিকে ডেঙ্গু রোগির সংখ্যা কমাতে এডিস মশা নিধনের জন্য জরুরী ভিত্তিতে প্রশাসনিক ব্যাবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছে ভুক্তভোগি ও সচেতন মহল।
ঈদের পরে কেশবপুরে ডেঙ্গু রোগির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম মোড়ল বলেন, ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে পৌরসভার কাউন্সিলরদের নিয়ে নিয়মিত সচেতনতা মূলক উদ্বুদ্ধকরণ সভা করে কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। জঙ্গল, আর্বজনা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। এছাড়া এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে প্রতিদিন পৌরসভার পক্ষ হতে বিভিন্ন ওয়ার্ডে মশা নিধন ঔষধ স্প্রে করা হচ্ছে।