নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল ॥ হিজরাদের উৎপাদে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সাধারন মানুষ। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বিয়ে বাড়ি ও সামাজিক অনুষ্ঠানে হানা দিয়ে তারা চাঁদা আদায় করছে। কেউ না দিলে গায়ের কাপরচোপর খুলে তাকে জড়িয়ে ধরে ডাকচিৎকার করতে থাকে। এই বিভ্রতকর অবস্থা এড়াতে বাধ্য হয়ে তাদেরকে চাঁদা দিতে হয়।
খোজঁ নিয়ে জানা গেছে, হিজরা ৩-৪ জনের এক একটি গ্রুপ করে শহর ও শহতলীর আশপাশ এলাকাসহ বিভিন্ন গ্রামের হাট-বাজারে গিয়ে হাজির হয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাঁদা দাবি করছেন। সর্ব নিম্ন ১০ টাকা থেকে সবোর্চ্চ ৫শ’ টাকা করে চাঁদা নিচ্ছেন। বিয়ে বাড়ি কিংবা কোন সামাজিক অনুষ্ঠান হলে কথা নেই। হিজরারা দলবদ্ধ ভাবে হাজির হন ওই বাড়িতে। ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা দাবি করে অবস্থান নেন ওই বাড়িতে।
দাবিকৃত টাকা না পাওয়া পর্যন্ত তাদেরকে তাড়ানোর কোন সুযোগ নেই। জোর করা হলে বিভিন্ন ধরণের অংঙ্গ ভংঙ্গি করে। পরনের কাপরচোপর খুলে ফেলে। তাই বাধ্য হয়ে তাদেরকে দাবিকৃত টাকা শোধ করতে হয়।
শহর এলাকায় সপ্তাহে একবার করে প্রত্যেকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে নির্ধারিত হারে চাঁদা তোলা হয়। গ্রামের সাপ্তাহিক হাটের দিন দোকানপাঠ থেকে চাঁদা নেয়া হয়। এ ভাবে প্রতিদিন শহর কিংবা গ্রামের বিভিন্ন হাটে বাজারে গিয়ে তারা হানা দেন এবং জোর করে টাকা আদায় করেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ রফিকুল ইসলাম জানান, হিজরাদের বিভিন্ন জায়গায় অসাদু সোর্স রয়েছে।
তাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে তারা হানা দেন। সোর্সদের প্রাপ্ত টাকা থেকে ভাগ দেয়া হয়। তাদের অধিকাংশ সোর্স হচ্ছেন ভাড়ায় চালিত মটর সাইকেল চালক। ওই গ্রাম পুলিশ আরও জানান, আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের একটি বিয়ে বাড়িতে হানা দিয়ে ১০ হাজার টাকা দাবি করে। পরে দেনদরবার করে ৫ হাজার টাকা দিয়ে তাদেরকে বিদায় দেয়া হয়।
এ অবস্থা চলছে উপজেলার সবত্র। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য তিনি তার ফেসবুক আইডি থেকে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসকের বরাবরে একটি খোলা চিঠি লিখেছেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: