স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ নিউজিল্যান্ড সফরে শেষ টেস্ট না খেলেই দেশে ফিরে আসতে হয়েছে জাতীয় ক্রিকেট দলকে। ক্রাইস্টচার্চ টেস্টটি হয়নি ম্যাচের একদিন আগে ভেন্যুর পার্শ্ববর্তী মসজিদ আল নূরে ভয়াবহ বন্দুক হামলার কারণে। বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ড সফরে ত্রিদেশীয় সিরিজ ছাড়া কোন আন্তর্জাতিক ব্যস্ততা নেই ক্রিকেটারদের। তাই আপাতত ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগে (ডিপিএল) খেলছেন ক্রিকেটাররা। তবে জাতীয় দলে যারা সম্প্রতি নিয়মিত হয়েছেন তাদের অনেকেই সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি। কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের অধীনে আবাহনী লিমিটেডে খেলছেন ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, রুবেল হোসেন, সৌম্য সরকার, সাব্বির হোসেন, মোহাম্মদ মিঠুন ও মেহেদী হাসান মিরাজরা। তবে নিয়মিত পারফর্মার হয়ে উঠতে পারেননি এখন পর্যন্ত কেউ। তবে জাতীয় দলের এই একঝাঁক তারকার পারফর্মেন্স নিয়ে চিন্তিত নন সুজন। তবে আশা প্রকাশ করেছেন অচিরেই জ্বলে উঠবেন সবাই।
গতবার ডিপিএল চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আবাহনী এবার দারুণ শক্তিশালী দল গড়েছে। জাতীয় দলের অধিকাংশ খেলোয়াড়ই দলটির হয়ে খেলছেন এবার ডিপিএল। মাশরাফি, সাইফউদ্দিন, রুবেল, সৌম্য, সাব্বির, মিরাজ, মিঠুন যেমন আছেন তেমনি পাইপলাইনে থাকা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, নাজমুল হোসেন শান্ত ও নাজমুল ইসলাম অপুও আছেন দলটিতে। তবে এত তারকা থাকার পরও চলতি লীগে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের কাছে একটি ম্যাচ হেরেছে আবাহনী। কারণ, জাতীয় দলের তারকাদের পারফর্মেন্সে নেই ধারাবাহিকতা। অন্যতম ভরসা মাশরাফিই চার ম্যাচ পর নিজেকে ফিরে পেয়েছেন সর্বশেষ ম্যাচে। ৬ উইকেট শিকার করে দলের জয়ে রেখেছেন অন্যতম ভূমিকা। এ বিষয়ে সুজন বলেন, ‘যে রকম দল, সেরা একাদশ দাঁড় করানোই মুশকিল হয়ে যায়। যদিও বিভিন্ন ইনজুরির কারণে আমি এখনও সেই চাপে পড়িনি। যেমন মিঠুন খেলতে পারেনি, রুবেল খেলতে পারেনি, তাই কিছুটা সহজ হয়ে গেছে। যখন সবাই ফিট হয়ে ফিরবে তখন চ্যালেঞ্জ হয়ে যাবে। আমি মনমতো পারফর্মেন্স পাইনি এখনও। আবাহনীর নামগুলো যদি দেখেন, প্রায় জাতীয় দলই বলা চলে।’ কিন্তু ধীরে ধীরে জাতীয় দলের তারকারাও ফর্মে ফিরে আসছেন। সেটাই আরও আশাবাদী করছে সুজনকে। উদাহরণ হিসেবে তিনি গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে মাশরাফির বিধ্বংসী বোলিংয়ের (৬/৪৬) কথা বললেন, ‘সর্বশেষ ম্যাচে মাশরাফি দুর্দান্ত ছিল, প্রায় হারা ম্যাচ জিতেছি আমরা। অমি (জহুরুল ইসলাম) আর মোসাদ্দেক দারুণ ব্যাটিং করেছে। এরপরও সামগ্রিকভাবে দলগত পারফর্মেন্স যেটা হওয়ার কথা সেটা হয়নি এখনও। আমি আশাকরি ছেলেরা জ্বলে উঠবে।’ সামনে বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা ওয়ানডে বিশ্বকাপ। তার আগে আবাহনীতে থাকা বেশ কয়েকজন তারকার দিকে সবার দৃষ্টি। এরমধ্যে সৌম্য, সাব্বির ও মিঠুনের দিকে সবাই তাকিয়ে আছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত ব্যাট হাতে সৌম্য ও মিঠুন বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। শুরুর দিকে সাব্বির ৬১ রানের একটি ইনিংস খেললেও পরের ৫ ম্যাচে হয়েছেন পুরোপুরি ব্যর্থ। আবার ইনজুরি সমস্যার কারণেও বেশ কয়েকজন নিয়মিত খেলতে পারেননি। সবাই ফিট হয়ে ফিরলে এবং যারা ফিট আছে বড় একটি ইনিংস খেলতে পারলেই ভাল করবেন বলে বিশ্বাস করেন সুজন। তিনি বলেন,‘ব্যাটিংয়ে সৌম্য, মিঠুন, শান্ত, সাব্বিররা আছে। বোলিংয়ে আমাদের দেশসেরা সব ফাস্ট বোলার, সাইফউদ্দিন, রুবেল, মাশরাফি। স্পিনে সানজামুল, অপু, মিরাজ। সত্যি কথা বলতে, প্রায় জাতীয় দলের মতোই। সবাই প্রায় ঠিক। রুবেল ভালভাবেই সেরে উঠছে, মিঠুনও। এখনও অনেক খেলা বাকি। আমি চাই যে ১০০% ফিট হয়ে ফিরুক। ইনজুরি যদি ছোট থেকে বড় হয় তাহলে সমস্যা। আজকে (রবিবার) দু’জনই প্র্যাকটিস করেছে ভালই। সৌম্য খুব ভাল শুরু করছে প্রতিটা ম্যাচেই।
শীর্ষ সংবাদ: