স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সবশেষ তিনটি ম্যাচেই ড্র করেছিল বার্সিলোনা। এ কারণে বেশ চাপে ছিল কাতালানরা। এই চাপ সঙ্গী করেই চ্যাম্পিয়ন্স লীগে খেলতে নেমেছিল স্প্যানিশ পরাশক্তিরা। অবশেষে বরুশিয়া মনশেনগ্লাডব্যাচকে উড়িয়ে দিয়ে ছন্দে ফিরেছে বার্সা। শুধু তাই নয়, ম্যাচে একাধিক গৌরবময় রেকর্ডও গড়েছে তারা। স্বাভাবিকভাবেই দলের পারফর্মেন্সে খুশি কোচ লুইস এনরিকে।
ম্যাচ শেষে বার্সা বস বলেন, আমি খেলোয়াড়দের অভিনন্দন জানাচ্ছি। কারণ ম্যাচটি আমাদের জেতা জরুরী ছিল। বেশ কিছুদিন আমরা সঠিক পথে ছিলাম না। এই মুহূর্তটা সম্ভবত মৌসুমের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। আর এখনই এমন একটা দলের সাথে আমাদের ম্যাচ ছিল যেখানে নিজেদের ফিরে পাওয়াটা সবসময় সহজ হয় না। এই জয় নকআউট পর্বে ভাল করতে অনুপ্রেরণা যোগাবে। অন্যদিকে ম্যানচেস্টার সিটির পিছনে থেকে গ্রুপের তৃতীয় দল হিসেবে ইউরোপা লীগে নেমে গেছে মনশেনগ্লাডব্যাচ। এ সম্পর্কে দলটির কোচ আন্দ্রে শুবার্ট বলেন, আমাদের তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা আছে। বার্সিলোনার মতো একটি দলের বিরুদ্ধে খেলতে হলে অনেক সাহসের প্রয়োজন।
ম্যাচে দু’টি দারুণ রেকর্ড গড়েছে বার্সা। একটি পাসের রেকর্ড, আরেকটি গ্রুপ পর্বে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড। বলের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পুরানো কৌশল ধরে রাখা বার্সিলোনা ম্যাচে ৯৯৩টি পাস খেলে। ২০০৩-০৪ মৌসুম থেকে পাসিংয়ের রেকর্ডের হিসেব শুরু হওয়ার পর চ্যাম্পিয়ন্স লীগে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ পাসের ঘটনা এটা। এছাড়া গ্রুপ পর্বে সর্বোচ্চ ২০ গোলের রেকর্ড স্পর্শ করেছে তারা। ইউরোপ সেরার আসরে গ্রুপ পর্বে এর আগে মোট তিনবার ২০ গোল করেছিল কোন ক্লাব। বার্সিলোনা এর আগে করেছিল ২০১১-১২ আসরে গ্রুপ পর্বে। ১৯৯৮-৯৯ মৌসুমে প্রথম কোন দল হিসেবে এক আসরের গ্রুপ পর্বে ২০ গোল করে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। পরে ২০১৩-১৪ মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদও এই রেকর্ড স্পর্শ করে। বুধবার রাতে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডেরও রেকর্ডটি স্পর্শ বা এককভাবে করার সুযোগ ছিল।
এদিকে গ্রুপ পর্বের পর এখন নকআউট পর্বের লড়াইয়ের অপেক্ষা। আগামী সোমবার নকআউট পর্বের ড্র অনুষ্ঠিত হবে। এখানে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদকে কিছুতেই চান না বেয়ার্ন মিউনিখ কোচ কার্লো আনচেলোত্তি। পরশু ম্যাচ শেষে এমন কথা বলেন সাবেক রিয়াল কোচ। এ্যালিয়েঞ্জ এ্যারানায় গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিরুদ্ধে ১-০ গোলে জয় পায় বেয়ার্ন। এরপর ‘ডি’ গ্রুপ থেকে দিয়াগো সিমিওনের দলকে টপকাতে পারেনি জার্মান ক্লাবটি। যে কারণে কাগজে কলমে শক্তিশালী কোন একটি দলকেই নকআউট পর্বে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেতে যাচ্ছে বাভারিয়ানরা।