রাজধানীতে বাড়ছে জ্বর ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা
দুর্বিষহ গরমে বিপর্যস্ত সারাদেশ। মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ঘটেছে ছন্দপতন। তীব্র তাপপ্রবাহে প্রতিদিনই মারা যাচ্ছে মানুষ। হাসপাতালেও বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। সড়কের পিচ গলে যাচ্ছে। বাতাসে জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে দমবন্ধ করা অস্বস্তিতে ভুগছে সাধারণ মানুষ। এ অবস্থা থেকে সহজে মুক্তি মেলারও কোনো পূর্বাভাস নেই। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, আগামী আরও কয়েকদিনও তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। রবিবার তীব্র গরমে হিটস্ট্রোকে সারাদেশে সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সিলেটে এক রিক্সাচালক, নরসিংদীতে কাপড়ব্যবসায়ী, পাবনায় কৃষক, মেহেরপুরে গৃহবধূ, শরীয়তপুরে হারুন চৌকিদার এবং দিনাজপুরে বিল্লাল হোসেন ও মোতাহের আলী হিটস্ট্রোকে মারা যান।
এদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। তবে তা আগের দিন শনিবারের চেয়ে ০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা রেকর্ড করা ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি। সব মিলিয়ে দেশের ১২ অঞ্চলের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির ওপরে রেকর্ড করা হয়েছে।
সপ্তাহের প্রথম অফিস দিন হওয়ার পরও রবিবার ঢাকার রাস্তায় মানুষের চলাচল ছিল কম। দুপুরের পর অধিকাংশ সড়ক ছিল ফাঁকা। সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করায় স্কুলগামী শিক্ষার্থীদেরও দেখা যায়নি। তবে অনেক বেসরকারি পর্যায়ের স্কুল নির্দেশ অমান্য করে খুলে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গরমের সময় রাজধানীতে সবচেয়ে কষ্টে আছেন শ্রমজীবী মানুষ। বিশেষ করে রিক্সাচালকদের কষ্ট অবর্ণনীয়।
আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম বলেন, বাতাসের কারণে তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। কিন্তু হিটওয়েভ কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। আগামী কয়েকদিন তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, পাবনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলায় অতিতীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রাজশাহী জেলা, খুলনা বিভাগ বাকি জেলা এবং ঢাকা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, ফেনী, কক্সবাজার, চাঁদপুর ও রাঙ্গামাটি জেলাসহ বরিশাল বিভাগ এবং রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৪, ঈশ্বরদীতে ৪২, মোংলায় ৪১ দশমিক ৭, রাজশাহীতে ৪১ দশমিক ৫, কুমারখালী ও খুলনায় ৪১ দশমিক ২, গোপালগঞ্জে ও ফরিদপুরে ৪০ দশমিক ৮, টাঙ্গাইলে ৪০ দশমিক ৪, সাতক্ষীরায় ৪০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে এবং অন্য এলাকাগুলোতে তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা, ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্যান্য স্থানে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
সিলেট অফিসের স্টাফ রিপোর্টার জানান, সিলেটে হিটস্ট্রোকে এক রিক্সাচালকের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম মো. আবু হানিফ মিয়া (৩৪)। রবিবার বেলা ১১টার দিকে নগরীর দক্ষিণ সুরমা পুলিশ বক্সের সামনে এ ঘটনা ঘটে। মুত্যুবরণকারী আবু হানিফ মিয়া হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার শিবপুর গ্রামের মো. করম আলীর ছেলে। দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান জানান, বেলা ১১টার দিকে রিক্সাচালক আবু হানিফ দক্ষিণ সুরমা পুলিশ বক্সের সামনে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নরসিংদীর স্টাফ রিপোর্টার জানান, নরসিংদীর মাধবদীতে হিটস্ট্রোকে এক যুবকের মৃত্যু হয়। রবিবার দুপুরে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। মৃত সাফকাত জামিল ইবান (৩২) সদর উপজেলার মাধবদী থানার ভগিরথপুর এলাকার জাকারিয়া জামিলের ছেলে এবং শেখেরচর বাজারের কাপড় ব্যবসয়ী ছিলেন। তার পরিবারের সদস্যরা জানান, স্ত্রী এবং তিন বছর বয়সী কন্যা সন্তানকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জে তার আত্মীয়ের বাড়ি থেকে নিজ বাড়ি মাধবদী ফিরছিলেন ইবান। এ সময় আক্রান্ত হন হিটস্ট্রোকে। বাড়ি ফিরেও অজ্ঞান এবং অতিরিক্ত ঘামে স্বস্তিবোধ না করায় নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয় ।
মেহেরপুরের গাংনীতে হিট স্ট্রোকে গৃহবধূর মৃত্যু ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা মেহেরপুর থেকে জানান, জেলার গাংনীতে হিট স্ট্রোকে শিল্পি খাতুন (৪৫) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার সকাল ৮টায় উপজেলার ষোলটাকা ইউনিয়নের রুয়েরকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শিল্পি খাতুন রুয়েরকান্দি গ্রামের আবু তাহেরের স্ত্রী ও পার্শ্ববর্তী আমতৈল গ্রামের বিল্লাল হোসেন মালিথার মেয়ে।
শিল্পি খাতুনের ছেলে রওনক হোসেন জানান, আমার মা সকালে বাড়িতে কাজ করছিলেন। কাজ করতে করতে প্রচণ্ড গরমে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নেওয়ার সময় মারা যান তিনি। রওনক হোসেন আরো বলেন, আমার মায়ের কোনো অসুখ ছিল না। তিনি সুস্থ ছিলেন।
চাটমোহর, পাবনা ॥ পাবনার চাটমোহরে ভুট্টার জমিতে কাজ করার সময় আলাউদ্দিন আলাল (৪৩) নামের এক কৃষক মারা গেছেন। ধারণা করা হচ্ছে তিনি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন। রবিবার সকাল দশটার দিকে মূলগ্রাম ইউনিয়নের নেউতিগাছা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আলাউদ্দিন আলাল ওই গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে।
দিনাজপুর ॥ দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে হিট স্ট্রোকে দুজন মারা গেছেন। তারা হলেন- পৌর এলাকার চকসাবাজপুর গ্রামের মৃত মোশারফ হোসেনের ছেলে সাবেক পৌর কাউন্সিলর মোতাহার আলী (৫৮) এবং অপরজন যশোর কোতোয়ালি থানা এলাকার রাজারহাট গ্রামের ট্রাকচালক বিল্লাল হোসেন (৫২)।
শরীয়তপুর ॥ ররিবার দুপুরে হিট স্ট্রোকে হারুন চৌকিদার (৪৩) নামে এক ইজিবাইক চালকের মৃত্যু হয়েছে। হারুন চৌকিদার নড়িয়া উপজেলার মোক্তারেরচর ইউনিয়নের নয়ন মাদবরকান্দি এলাকার আলী হোসেন চৌকিদারের ছেলে।
নিজস্ব সংবাদদাতা, চুয়াডাঙ্গা জানান, জেলার ওপর দিয়ে টানা ৬ দিনের মতো তীব্র ও অতি তীব্র তাপমাত্রা বয়ে যাচ্ছে। ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ভারত সীমান্তবর্তী এ জেলার মানুষ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। রবিবার বেলা ৩টায় ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান জানান, জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই। তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। অসহ্য গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত। ফুটপাতের ছোট ছোট দোকানের বেশিরভাগই বন্ধ রয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। দিনে রোদের সময় অত্যধিক গরম অনুভূত হচ্ছে। প্রখর রোদে গরম বাতাস আগুনের হল্কার মতো গায়ে লাগছে। নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে। নির্মাণ শ্রমিক, কৃষি শ্রমিক, ইজিবাইক চালক ও রিক্সা ভ্যান চালকরা দুর্বিষহ গরমে তাদের যানবাহন চালাতে পারছেন না।
বাগেরহাটের স্টাফ রিপোর্টার জানান, তীব্র দাবদাহে আক্ষরিক অর্থে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাট পুড়ছে। সর্বস্তরের মানুষ হাঁসফাঁস করছে। দাবদাহে গলে যাচ্ছে এ জেলার বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কের পিচ (বিটুমিন)। এর আগে এ জেলায় এমন দেখা যায়নি। গরমে পিচ গলে যাওয়ায় যানবাহন চলাচলে ঝুঁকি বাড়ছে। এখানে ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। দুর্বিসহ গরমে ঘরের মধ্যেও স্বস্তি নেই। বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় দরদর করে ঘামছে মানুষ। রবিবার বাগেরহাট জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় অতিরিক্ত তাপ প্রবাহে কারণে সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রচার প্রচারণা চালানোর জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহা: খালিদ হোসেন। শত চেষ্টা করেও প্রখর তাপের কারনে চিংড়ি ঘেরের মাছ রক্ষা করতে পারছেনা চাষিরা। রবিবারও অনেক ঘেরের মাছ মরে যাওয়ার খরব পাওয়া গেছে। পোলট্রি ফার্মের মুরগি মরছে দেদার। বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা: জালাল উদ্দিন ও ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক অসীম কুমার সমদ্দার জনকণ্ঠকে বলেন, গত কয়েকদিন ধরে ডায়রিয়াসহ পেটের পীড়ায় আক্রান্ত রোগীর চাপ বেড়েছে। যার অধিকাং শিশু ও বৃদ্ধ।’ অকারণে ঘর থেকে বাইরে না যাওয়া এবং কোমল পানীয় ও ফলমূল বেশি খাওয়াসহ স্বাস্থ্য সচেতনতায় মাইকিং করা হচ্ছে বলে তাঁরা জানান।
নিজস্ব সংবাদদাতা পাবনা জানান, ঈশ্বরদীতে রবিবার ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিস দুপুর ৩টায় এই তাপমাত্রা রেকর্ড করে। আবহাওয়া অফিস এ তাপমাত্রা তীব্র তাপপ্রবাহ বলে চিহ্নিত করে গরমের তীব্রতা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্র জানিয়েছে। ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী তাপমাত্রা পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন জানান, ঈশ্বরদীতে রবিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছে যা ঈশ্বরদীতে এ বছরের সর্বোচ্চ। প্রচন্ড তাপদাহে লিচুর রাজধানীখ্যাত ঈশ্বরদীর লিচুবাগান সবচেয়ে বড় হুমকিতে পড়েছে। লিচুর গুঁটি তাপদাহে ঝরে পড়ায় বাগানমালিকরা উদ্বেগ উৎকন্ঠায় দিনযাপন করছেন।
স্টাফ রিপোর্টার,বগুড়া অফিস জানান, বগুড়ায় তাপদাহ বেড়েই চলছে। প্রতিদিনই আগেরর দিনের চেয়ে তাপামাত্রা বাড়ছে। রবিবার বগুড়ায় এ মৌসুমের সবোর্চ্চ তাপামাত্রা ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
নিজস্ব সংবাদদাতা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জানান, তীব্র দাবদাহে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের বিশ্বরোড মোড়ে একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার দুপুর ২টার দিকে খুটিতে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানা যায়, সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যায় আগুন। এসময় খুঁটিতে থাকা বিভিন্ন ইন্টারনেট ও ডিস লাইন সংযোগের কেবল পুড়ে যায়, ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনেরও। এছাড়াও বিদ্যুতের ওই খুঁটির নিচে থাকা আজিম আলী নামে এক তরমুজ বিক্রেতার দোকানের তরমুজও পুড়ে যায়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট প্রায় ১০ মিনিটে চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। জেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালাক শেখ মাহবুবুল ইসলাম জানান, অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল, খবর পেয়ে আমরা দ্রুতই ঘটনাস্থলে গিয়ে তা নিয়ন্ত্রন করেছি। বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস জানান, প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যেও সড়কে দাড়িয়ে সার্বক্ষণিক দায়িত্বপালন করতে হয় ট্রাফিক পুলিশের সদস্যদের। তাদের স্বাস্থের কথা বিবেচনা করে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের নিয়মিত খাবার পানি, স্যালাইন ও জুস সরবরাহ করছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি)। রবিবার নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে থাকা ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের এসব সামগ্রী সরবরাহ করতে দেখা যায়।
নিজস্ব সংবাদদাতা রাজবাড়ী জানান, প্রচন্ড গরম ও তীব্র তাপপ্রবাহে জেলায় হাঁসফাঁস জনজীবন। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ঘরবন্দি অবস্থায় শিশুরা। ক্ষনিকের জন্য একটু শান্তি পাওয়ার জন্য আখের রস, মাঠা ও লেবুর রসের দোকানে ভিড় করছে ক্রেতারা। রবিবার রাজবাড়িতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. শরিফুল ইসলাম বলেন, প্রচন্ড তাপপ্রবাহ ও তীব্র গরমে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর মধ্যে শিশুরা বেশি। তিনি বলেন, এই গরমে অপ্রয়োজনী ঘর থেকে না বের হওয়া। খাবারের ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকতে হবে।