অনলাইন রিপোর্টার ॥ নির্বাচন কমিশনে আপিলেও বাতিল হল পটুয়াখালী-১ আসনের বর্তমান সাংসদ জাতীয় পার্টির মহাসচিবের পদ হারানো এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারের মনোনয়নপত্র।
মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীদের আপিলের ওপর শুনানির দ্বিতীয় দিন শুক্রবার তার আবেদন নির্বাচন কমিশন নামঞ্জুর করে।
গত ২ ডিসেম্বর ঋণ খেলাপের অভিযোগে হাওলাদারের মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেন পটুয়াখালীর রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরদিন তাকে জাতীয় পার্টির মহাসচিবের পদ থেকেও সরিয়ে দেন দলের চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ।
এর আগে জাতীয় পার্টির একাধিক নেতা হাওলাদারের বিরুদ্ধে ‘মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে মনোনয়ন বিক্রির অভিযোগ এনেছিলেন। অবশ্য হাওলাদারের দাবি, এসব তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার।
রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গত মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন হুল আমিন হাওলাদার।
তার আইনজীবী নজরুল ইসলাম সেদিন বলেছিলেন, তার মক্কেল যে ঋণ খেলাপি নন, তার তথ্যপ্রমাণ আপিল আবেদনের সঙ্গে দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু শুক্রবার সেই আবেদনের ওপর শুনানি করে তা খারিজ করে দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনাররা।
হাওলাদারের আইনজীবী বাসেত মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, “আমার ক্লায়েন্ট ঋণখেলাপি নন। আমরা ন্যায়বিচারের জন্য উচ্চ আদালতে যাব।"
নির্বাচন ভবনের একাদশ তলায় সকাল ১০টা থেকে নির্বাচন কমিশনের দ্বিতীয় দ্বিনের শুনানি চলছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও শাহাদাত হোসেন চৌধুরী অস্থায়ী এজলাসে রয়েছেন বিচারকের আসনে।
জমা পড়া মোট ৫৪৩টি আপিলের মধ্যে আবেদনের ক্রমিক নম্বর অনুসারে ১৬১ থেকে ৩১০ নম্বর পর্যন্ত আপিলের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে এদিন।
বৃহস্পতিবার শুনানির প্রথম দিন ১৬০ জনের আপিল শুনানি করে ৮০ জনের প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন। শনিবার ৩১১ থেকে ৫৪৩ ক্রমিকের আপিল শুনানির মধ্যে দিয়ে নির্বাচন কমিশনের আপিল পর্ব শেষ হবে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: