অনলাইন রিপোর্টার ॥ আজ শুক্রবার বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ কনফারেন্স রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশে পরিবেশ দূষণ বন্ধে অবিলম্বে কার্যকর ও কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে নদী, নালা, খাল, বিল এবং অন্যান্য জলাশয়সহ সমুদ্রদূষণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বায়ুদূষণ। ঢাকাসহ সমগ্র দেশ আজ ভয়াবহ বায়ুদূষণের কবলে। ঢাকা শহরের চারপাশের ইটভাটা, তীব্র যানজট, পুরনো মোটরগাড়ি থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া এবং কার্বন-ডাউ-অক্সাইড ঢাকার বাতাসকে ভারী করে তুলছে। বাংলাদেশে কমবেশি ১০ হাজার ইটভাটা রয়েছে এবং এর প্রায় অর্ধেক ঢাকা শহরের আশাপাশে। নিম্নমানের কয়লা জ্বালানি ব্যবহার করে ইটভাটা থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া বায়ুদূষণের জন্য দায়ী।
বক্তারা আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম প্রধান কারণ বায়ুদূষণ। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সৃষ্ট দূষণের দায়ভার যদিও আমাদের কম ছিল, কিন্তু তা আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারণ আমাদের দেশে বায়ুদূষণের মাত্রা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিজ্ঞানীদের ভবিষ্যত বাণী মতে, যদি গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমনের মাত্রা এখনই কমিয়ে আনা না যায় তাহলে আগামী ১২ বছরের মধ্যেই পৃথিবীতে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসবে।
এ সময় আয়োজকদের পক্ষে থেকে বেশকিছু দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, ইটের বিকল্প জ্বালানি হিসেবে কংক্রিট ব্লকের ব্যবহার বাড়াতে হবে। কাঠ পোড়ানো বন্ধ করতে হবে। ১৬ বছরের বেশি সময় ধরে ব্যবহৃত যানবহন বন্ধ করতে হবে। সব বড় সড়কের পাশে ফুটপাত দখলমুক্ত নিশ্চিত করতে হবে। সারাদেশে গাছ লাগানো জোরদার করতে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাপার সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল মতিন, পরিবেশ কর্মী মেহের উদ্দীনসহ বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: