নিজস্ব সংবাদদাতা, রাঙ্গামাটি, ১৩ জুলাই ॥ পার্বত্যাঞ্চলের ১৬ লাখ মানুষের হৃদরোগ চিকিৎসা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে রাঙ্গামাটিতে নির্মিত করোনারি ইউনিটটি ১০ বছরেও চালু হয়নি। ২০০৯ সালে গণপূর্ত বিভাগ রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালের পাশে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সিসি ইউনিটের আধুনিক ভবন নির্মাণ করে। ২০ শয্যাবিশিষ্ট এই বিশেষায়িত ইউনিটটি ঐ বছর ১২ আগস্ট পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার উদ্বোধন করেন। ৫তলা এ ভবনটি উদ্বোধনের পর ৫ বছর অজ্ঞাত কারণে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে। করোনারি কেয়ার ইউনিটের কার্যক্রম চালু করার জন্য যন্ত্রপাতি ও জনবল কাঠামো চেয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে জেলা সিভিল সার্জন থেকে বার বার চিঠিও দেয়া হয়েছে। কিন্তু ভবনটি উদ্বোধনের পাঁচ বছর পরও সেখানে যান্ত্রপাতি ও লোকবল নিয়োগ দেয়নি।
ফলে এটি পড়ে থাকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চেষ্টায় রাঙ্গামাটিতে মেডিক্যাল কলেজ স্থাপিত হয়। কলেজ ক্যাম্পাস না হওয়া পর্যন্ত ভবনটিতে ২০১৪ সাল থেকে রাঙ্গামাটি মেডিক্যাল কলেজের অস্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপন করা হয়েছে। এর পর থেকে স্বাস্থ্য বিভাগ এটি চালু করার জন্য আর কোন উদ্যোগ নেয়নি বলে স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। রাঙ্গামাটি সিভিল সার্জন সূত্রে জানা গেছে, হৃদরোগ চিকিৎসা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রাঙ্গামাটি ও বরিশালে এই সিসি ইউনিট চালুর উদ্যোগ নেয়। ২০০৯ সালে গণপূর্ত অধিদফতর রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালের পাশে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে সিসি ইউনিটের আধুনিক ভবন নির্মাণের কাজ শেষ করে। ঐ বছর ১২ আগস্ট পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এ ভবন উদ্বোধন করেন। সিসি ইউনিটের হৃদরোগের জন্য দুটি কেবিনসহ ২০ শয্যার দুটি ওয়ার্ড নির্মিত হলেও এখন পর্যন্ত ইউনিটে কোন শয্যা ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়নি। নির্মাণ কাজ শেষ করেও দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা কার্যক্রম চালু না করায় ভবনটি বর্তমানে অস্থায়ী মেডিক্যাল কলেজের ক্যাম্পাস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে এই ইউনিট চালু করার এখনও কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি বলে সূত্রটি জানায়।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: