নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও, ২৮ নবেম্বর ॥ জেলার রানীশংকৈলে যৌতুকের জন্য শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতনে অঞ্জনা রানী (২৪) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার ভোররাতে দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ গৃহবধূর শাশুড়ি ও দেবরকে আটক করেছে। অঞ্জনার মা অভিযোগ করে বলেন, প্রায় ১০ বছর আগে অঞ্জনা রানীকে বিয়ে করে নারায়ণপুর গ্রামের জগেশ চন্দ্র রায়ের ছেলে পুষ্প চন্দ্র রায়। অঞ্জনার রয়েছে দুই ছেলেমেয়ে। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য অঞ্জনার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাত স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। গত ১৬ নবেম্বর সকালে স্বামী পুষ্প চন্দ্র ও তার পরিবারের লোকজন এক লাখ টাকা যৌতুক আনার জন্য অঞ্জনা রানীকে তার বাবার বাড়িতে যেতে বলে। এতে রাজি না হওয়ায় স্বামী পুষ্প চন্দ্র চুলের মুঠি ধরে অঞ্জনাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে। এ সময় শাশুড়ি, দেবরসহ পরিবারের অন্যরাও তাকে বেধড়ক মারপিট করে। একপর্যায়ে অঞ্জনা রানী অজ্ঞান হয়ে পড়লে স্থানীয় ইউপি মেম্বার তাকে উদ্ধার করে রানীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার ভোররাতে মারা যায় অঞ্জনা রানী। এ ঘটনায় পুলিশ মৃতের শাশুড়ি অলকা রানী (৪৫) ও দেবর সুদেব চন্দ্র (২০)কে আটক করেছে।