স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর মালিবাগে স্ত্রীর হাতে মুক্তিযোদ্ধা স্বামী খুন এবং ঢাকার অন্যত্র দুই জায়গা থেকে এক স্কুলছাত্রী ও এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। কথা কাটাকাটির সূত্র ধরে স্বামীর মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করলে মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে বলে স্ত্রী পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।
বুধবার দুপুর দুইটার দিকে রাজধানীর শাহজাহানপুর থানাধীন মালিবাগ বাজার রোডের ১৬৩ নম্বর পাঁচতলা বাড়ির পাঁচ তলায় ঘটনা ঘটে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠায়।
লাশ উদ্ধারকালে স্ত্রী মৌসুমী আক্তার নাহারের (৪০) অস্বাভাবিক আচরণ পুলিশ ও স্থানীয়দের মনে সন্দেহের সৃষ্টি করে। পুলিশ তাকে আটক করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেই নাহার তার স্বামীকে কথা কাটাকাটির সূত্র ধরে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করলে মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে বলে স্বীকার করে। নিহত স্বপন সবুজবাগ থানা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ছিলেন।
বাড়ির লোকজন জানান, দুপুরে স্ত্রীর সঙ্গে পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে ঝগড়া হয়। এরপর স্বপনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। লাশ উদ্ধারকালে স্বপনের কপালে ও মাথায় আঘাত দেখা গেছে। নিহত স্বপনের পিতার নাম মৃত এবিএম জয়নাল আবেদীন। নিহত স্বপনের বড় ভাই মুক্তিযোদ্ধা জাহিদুল ইসলাম বাদল। নিহতের একমাত্র ছেলে নটরডেম কলেজের ছাত্র।
মঙ্গলবার রাতে মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের কালাপানি বেগুনটিলা এলাকা থেকে জান্নাতুল ফেরদৌস (১৬) নামে এক স্কুলছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে পল্লবী থানা পুলিশ। নিহতের বাড়ি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামে। তার পিতার নাম জয়নাল শেখ। সে পরিবারের সঙ্গে ভাড়ায় বসবাস করত। স্থানীয় নাহার একাডেমির নবম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল সে।
পুলিশ জানায়, ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগের প্রেক্ষিতে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
অন্যদিকে মঙ্গলবার রাতে ভাটারা থানাধীন জোয়ার সাহারা তনু ফকির রোডের ১৬৪/এ নম্বর আব্দুর রহমানের বাসা থেকে ওড়না দিয়ে ফাঁস টাঙানো অবস্থায় শারনুল করিম (২৮) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ভাটারা থানা পুলিশ। তার বাড়ি টাঙ্গাইল সদর উপজেলার প্যারাডাইজপাড়ায়। পিতার নাম সৈয়দ রেজাউল করিম।