আরাফাত মুন্না/মোঃ খলিলুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ থেকে ॥ চার বছরের শিশু ফাতেমা, নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়া বড় কবরস্থান এলাকার মৃত রিয়াজ উদ্দিন দেওয়ানের বাড়ির তৃতীয় তলায় পরিবারের সঙ্গে থাকে। শনিবারের জঙ্গী আস্তানায় অভিযানের পর থেকেই খুব একটা কথা বলছে না সে। মূল অভিযানের শুরুতে প্রচ- গোলাগুলির শব্দে ফাতেমা প্রথমে কান্নাকাটি করলেও পরে স্তব্ধ হয়ে যায়। বরিবারও স্বাভাবিক হতে পারেনি এই শিশু।
শিশু ফাতেমার মতো পাইকপাড়া বড় কবরস্থান এলাকায় জঙ্গী আস্তানায় পুলিশের বিশেষ অভিযানের রেশ কাটেনি বড়দের মধ্যেও। তারাও আতঙ্কিত। অনেকে আবার জঙ্গী নেতা তামিম আহমেদ চৌধুরীসহ তিন নিহত হওয়ায় স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন। কেউ কেউ তামিমকে আগে দেখেছিলেন বলে জানালেও সে যে জঙ্গী নেতা তামিম তা খেয়াল করে ওঠতে পারেনি। সব সময় রাতেই তামিমকে দেখা যেত বলে স্থানীয়রা জানান।
সরেজমিনে রবিবার পাইকপাড়া গিয়ে দেখা যায়, কবরস্থানের পাশের ওই বাড়ির (জঙ্গী আস্তানা) সামনের রাস্তায় জনসাধারণের চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। পরিচয় ও প্রয়োজন নিশ্চিত না হয়ে ওই রাস্তা দিয়ে কাউকে যেতে দিচ্ছে না তারা। দেওয়ানবাড়ির ভাড়াটেদের সঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীদের কথা বলতে দিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অর্ধশতাধিক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বাড়িটির সামনের রাস্তায়।
শিশু ফাতেমার মা সানজিদা আক্তার শিমু জনকণ্ঠকে বলেন, আজ (রবিবার) সকালে ওঠেও ফাতেমা জিজ্ঞেস করেছে আবার কি বোমা ফুটবে? জঙ্গীদের আগে কখনও দেখেছেন কি-না, এমন প্রশ্নে সানজিদা জানান, বাসার জানালাগুলো বেশিরভাগ সময়ই বন্ধ থাকত। গত এক মাসে ব্যালকনিতে কাউকে দেখিনি, বলেন সানজিদা।
এলাকার লোকজন বাসায় যাওয়ার পথে অনেক সময় তামিম চৌধুরীকে দেখেছেন বলে জনকণ্ঠকে জানান। জঙ্গী আস্তানার পাশের অটোরিক্সার গ্যারেজের মালিক আল মামুন বলেন, ফ্রেন্সকার্ট দাড়িওয়ালা একজনকে দেখেছি ওই বাসা থেকে বের হতে। গত ১৫ দিনে অন্তত তিনবার তাকে দেখেছেন, তবে এই লোকই যে জঙ্গী নেতা তামিম চৌধুরী তা বুঝতে পারিনি। বুঝতে পারলে আগেই পুলিশে খবর দিতাম।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: