বয়স ১০১। ঝুলে গেছে চামড়া। শরীরও ভেঙ্গে গেছে। তবুও ইতালির আনাতোলিয়া ভার্তাদেলার জীবনে এখন উদযাপনের সময়। কিছুদিন আগেই তাঁর কোল আলো করে এসেছে ফুটফুটে পুত্রসন্তান, যা সম্ভব হয়েছে ওভারি ট্রান্সপ্ল্যান্টের মাধ্যমে। আর তা নিয়েই বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন শতায়ু এ বৃদ্ধা। অবশ্য তার আরও ১৬টি সন্তান রয়েছে। বিতর্ক ওঠে ইউরোপীয় আইন অনুযায়ী ওভারি ট্রান্সপ্ল্যান্ট বেআইনী। তবে কিভাবে এ অস্ত্রোপচার করালেন এ বৃদ্ধা?
আনাতোলিয়া জানিয়েছেন, তুরস্কের এক বেসরকারী হাসপাতালে তিনি এ অস্ত্রোপচার করিয়েছেন। সেখানে ডিম্বাশয় প্রতিস্থাপন নিয়ে ইউরোপীয় আইন কার্যকর নয়। তবে ওই ক্লিনিকের নাম প্রকাশ করতে চাননি তিনি। শুধু বলেন, ‘যারা আমার অস্ত্রোপচার করেছেন সে চিকিৎসকদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। এতদিন ধরে নিজের কাছে আমাকে অপ্রয়োজনীয় মনে হতো। ৪৮ বছর বয়সে ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে আমি আর সন্তানের জন্ম দিতে পারিনি। মাঝে মাঝে ভাবতাম মাত্র ১৬টি সন্তানের জন্ম দেয়ার জন্য ঈশ্বর আমাকে শাস্তি দিচ্ছেন। কিন্তু ঈশ্বরের কৃপায় আবারও আমি মা হতে পারলাম। ১৭তম সন্তান এলো আমার কোলে।’ কথাগুলো বলতে বলতে কেঁদে ফেলেছিলেন আনাতোলিয়া। তিনি শিশুটির নাম রেখেছেন ফ্রান্সেস্কো।
আনাতোলিয়া বলেন, ১৯৯৮ সালে আমার স্বামী মারা গেছেন। ইন্টারনেটে শুক্রাণুদাতা খুঁজতে গিয়ে ফ্রান্সেস্কোর বাবাকে পাই। ২৬ বছরের টগবগে এক ক্যাথলিক যুবক। এটাই আমার কাছে যথেষ্ট ছিল। আমি শুধু চেয়েছিলাম আমার সন্তানকে যেন ক্যাথলিক চার্চ গ্রহণ করে। আমি ফ্রান্সেস্কোর বাবাকে বিয়ে করিনি। আমার সন্তানের জীবনে তার কোন ভূমিকা থাকবে না। এ কথা আমি পোপকে লিখে জানিয়েছিলাম। পোপের নামানুসারে সন্তানের নামও রেখেছি। আমার বিশ্বাস, পোপ আমাকে ক্ষমা করে দেবেন। এখনও আমি আমার মৃত স্বামীকে ভালবাসি। যতদিন বাঁচব তার বিধবা হয়েই বাঁচতে চাই।
বিশ্বে সবচেয়ে বেশি বয়সে মা হওয়ার রেকর্ড এখন আনাতোলিয়ার। এতদিন এ রেকর্ডের অধিকারী ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার মালেগওয়ালে রামোকগোপা। আনন্দবাজার অবলম্বনে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: