স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ টেকনাফে হ্নীলার পাহাড়ী গ্রাম পশ্চিম সিকদারপাড়া এলাকায় দিনের বেলায় আকস্মিক এক টিলা পাহাড় দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। এ ঘটনায় পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী কয়েকটি পরিবারের বসত-বাড়ির কিছু অংশ ক্ষতি হলেও অর্ধশতাধিক মানুষ প্রাণে বেঁচে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুরো পাহাড় ফেটে দু’ভাগ হয়ে গেছে। পাহাড়ের পাদদেশে এবং উত্তর ও পূর্ব পাশে ২১টি পরিবারের বসতি রয়েছে। রবিবার বিকেলে বিকট শব্দে পাহাড়টি ফেটে চৌচির হওয়ার পর থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। এদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন অভিজ্ঞ মহল।
এদিকে ভারিবর্ষণ, পাহাড়ী ঢলে সৃষ্ট বন্যার পানি প্রবাহের কারণে মাতামহুরী নদীতে ডুবোচর জেগে উঠেছে। জেলার চকরিয়া চিরিঙ্গার সওদাগরঘোনা পয়েন্টে পলি জমে জেগে উঠেছে অন্তত তিন কিলোমিটার নদী জুড়ে এ ডুবোচর। এ ডুবোচরের কারণে সঠিকভাবে বন্যার পানি নিচে নামতে না পেরে চিরিঙ্গা ইউনিয়নের অন্তত ১০ হাজার পরিবার টানা ৯ দিন ধরে পানিবন্দী হয়ে রয়েছে। খবর পেয়ে নৌকাযোগে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাসহ জনপ্রতিনিধিরা। খালের মুখে বাঁধ দিয়ে মৎস্য চাষ করায় পানি নিষ্কাশনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির কারণে বন্যার পানি নিচে নামতে পারেনি বলে অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় এমপি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অবগত হন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: