ভারতের রাজধানীতে সহিংসতার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকার ও দিল্লী পুলিশকে কড়া ভাষায় তিরস্কার করা দিল্লী হাইকোর্টের বিচারপতি এস মুরালিধরকে রাতারাতি বদলি করা হয়েছে। বুধবার মাঝ রাতে তাকে বদলি করে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এনডিটিভি।
দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার জন্য দিল্লী পুলিশের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল উঠেছে। পুলিশ আগে থেকে আরও সক্রিয় হলে পরিস্থিতি এতটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেত না, এমনটিই মত সমালোচকদের। বুধবার ভোরে বিচারপতি মুরালিধরের বাসভবনে বিচারপতি কেএম জোসেফ ও বিচারপতি মুরালিধরের বেঞ্চ অগ্নিগর্ভ রাজধানীতে লাফিয়ে লাফিয়ে মৃত্যুসংখ্যা বাড়তে থাকার জন্য দিল্লী পুলিশকে তিরস্কার করেন। ‘দিল্লী পুলিশ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না এবং তাদের মধ্যে পেশাদারিত্বের অভাব রয়েছে’ বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি মুরালিধর। ‘এই দেশে ১৯৮৪ সালের মতো আরেকটি হত্যাযজ্ঞ ঘটতে দিতে পারি না আমরা,’ এমন মন্তব্য করে কেন্দ্রীয় সরকার ও দিল্লীর সরকারকে সহিংসতা বন্ধে একযোগে কাজ করার জন্য বলেছিলেন তিনি। বুধবার দিল্লীর পরিস্থিতি নিয়ে মামলার শুনানির সময় দাঙ্গার কারণে ঘরবাড়ি ছেড়ে আসতে বাধ্য হওয়া লোকজনের জন্য উপযুক্ত আশ্রয়ের ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। এর পাশাপাশি উত্তরপূর্ব দিল্লীতে দাঙ্গা উস্কে দেয়া ও এর সঙ্গে জড়িত থাকার জন্য বিজেপির চার নেতা, কপিল মিশ্র, অনুরাগ ঠাকুর, অভয় ভার্মা ও প্রাভেশ ভার্মার বিরুদ্ধে কেন মামলা দায়ের করা হয়নি, দিল্লী পুলিশের কাছে তা জানতে চায় আদালত। মামলা দায়ের না করার জন্য যে গুরুতর পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে তা বিবেচনায় নিতে দিল্লীর পুলিশ প্রধানকে নির্দেশ দেন বিচারপতি মুরালিধর। বুধবার রাতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার দিল্লী হাইকোর্টের তৃতীয় শীর্ষ এই বিচারপতির বদলির আদেশ ইস্যু করে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: