অনলাইন ডেস্ক ॥ সৌদি আরবের নাজরান প্রদেশে বেসামরিক একটি স্থাপনায় বিস্ফোরকবাহী ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে সৌদি নেতৃত্বাধীন আরব সামরিক জোট।
মঙ্গলবার তারা একথা জানালেও হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে কিছু উল্লেখ করেনি, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এরপর ইয়েমেনের হুতিদের আল মাসিরাহ টেলিভিশন জানায়, হুতি বিদ্রোহীরা সৌদি আরবের নাজরান বিমানবন্দরের একটি অস্ত্র গুদামে হামলা চালিয়েছে, হামলার পর গুদামটিতে আগুন ধরে যায়।
সোমবার হুতিরা মক্কার দিকে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল বলে সৌদি গণমাধ্যম জানিয়েছিল; কিন্তু হুতিরা তা অস্বীকার করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র পারস্য উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে ইরানের তীব্র উত্তেজনা চলার মধ্যেই ইরান সমর্থিত হুতিরা সৌদি আরবে পরপর কয়েকটি ড্রোন হামলা চালাল।
গত মঙ্গলবার সৌদি আরবে আরামকো তেল কোম্পানির দুটি অয়েল পাম্পিং স্টেশনে ড্রোন হামলা হয়। হুতি গোষ্ঠী ওই হামলার দায় স্বীকার করে। হুতিদের এ হামলার নির্দেশ তেহরান দিয়েছে বলে অভিযোগ রিয়াদের।
তবে এসব হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা ইরান অস্বীকার করেছে।
২০১৪ সালের শেষ দিকে ইয়েমেনের সৌদি সমর্থিত সুন্নি প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করে রাজধানী সানা দখল করে নেয় শিয়া হুতি বিদ্রোহীরা। এর কয়েকমাস পর হুতিদের প্রতিরোধ করে ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারকে ফের ক্ষমতায় বসাতে ইয়েমনের গৃহযুদ্ধে হস্তক্ষেপ করে পশ্চিমা সমর্থিত সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতৃত্বাধীন আরব জোট বাহিনী।
তারপর থেকে গত চার বছর ধরে চলা ইয়েমেনের যুদ্ধে অন্তত ছয় হাজার ৮০০ বেসামরিক নিহত ও ১০,৭০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন বলে ভাষ্য জাতিসংঘের।
অপুষ্টি, অসুখ ও ভগ্নস্বাস্থ্যের মতো নিরাময় যোগ্য কারণে আরও কয়েক হাজার বেসামরিকের মৃত্যু হয়েছে এবং দেশটি দুর্ভিক্ষের প্রান্তে চলে গেছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: