যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ সোমবার জানিয়েছে যে, হিলারি ক্লিনটনসহ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বীদের সম্পর্কে খোঁজ খবর নেয়ার জন্য বিশেষ উপদেষ্টা নিয়োগ দেয়া যায় কীনা তা নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিরা চিন্তা ভাবনা করছেন। খবর নিউইয়র্ক টাইমস।
দেশটির বিচার বিভাগ বলেছে, ক্লিনটন ফাউন্ডেশনকে চাঁদা প্রদানের সঙ্গে ২০১০ সালে রুশ পরমাণু সংস্থার কাছে ওবামা প্রশাসন ইউরোনিয়াম বিক্রির যে সিদ্ধান্ত নেয় তার যোগসূত্র ছিল বলে যে অভিযোগ উঠেছে তা নিয়ে রাষ্ট্রীয় কৌঁসুলিরা যাচাই বাছাই করবে। তবে সংশ্লিষ্ট কৌঁসুলিরা এ ধরনের তদন্ত কাজের জন্য কোন বিশেষ উপদেষ্টাকে নিয়োগ দিলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অধীনে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার স্বাধীনতা বা নিরপেক্ষতা সম্পর্কে প্রশ্ন উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট নিক্সনের ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির সময় থেকে মার্কিন বিচার বিভাগ প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধবাদীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত হয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করে আসছিল। কিন্তু সম্প্রতি প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, দশ দিন আগে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ট্রাম্প তার এ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশনসকে এ বিষয়ে সরাসরি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বার্তা পাঠিয়েছেন। এতে ট্রাম্প বলেন যে, হিলারি ক্লিনটন ও ওবামা প্রশাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের অপ্রমাণিত অভিযোগগুলোর বিষয়ে তদন্ত কাজ শুরু না হওয়ায় এ্যাটর্নি জেনারেলের কর্মকা-ে তিনি হতাশ হয়েছেন। ট্রাম্পের এই বিবৃতিতে আরও রং চড়িয়ে বা প্রলেপ দিয়ে ফক্স নিউজ ও ব্রেইটবার্টের মতো কনজারভেটিভ দল ঘেঁষা সংবাদ মাধ্যমগুলো সমস্বরে ওবামা প্রশাসনের কর্মকা-ের বিরুদ্ধে বিশেষ উপদেষ্টা নিয়োগের দাবিতে হৈ চৈ শুরু করে দেয়। ফলে, রাজনৈতিক পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, হোয়াইট হাউস সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে যে, জেফ সেশনস তার এ্যাটর্নি জেনারেল পদ রক্ষার জন্য হয় তো তড়িঘড়ি করেই হিলারির ইউরেনিয়াম চুক্তি তদন্তের জন্য একজন বিশেষ উপদেষ্টা নিয়োগ দিতে পারেন। এ বিষয়ে জেফ সেশনস মঙ্গলবার কংগ্রেসের বিচার বিভাগীয় কমিটিতে উপস্থিত রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েন।