ফিলিস্তিনী প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস শনিবার ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থা (পিএলও) নির্বাহী কমিটির প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। ওই শীর্ষ সংস্থার জন্য নতুন নির্বাচনের আয়োজন করাই এর উদ্দেশ্য। এক কর্মকর্তা এ কথা জানান। খবর এএফপি ও ইন্টারন্যাশনাল নিউইয়র্ক টাইমস অনলাইনের।
ওই কর্মকর্তা বাসেল আবু ইউসুফ জানান, কমিটির ১৮ সদস্যের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি পদত্যাগ করেছেন।
তিনি বলেন, নির্বাহী কমিটির প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ও এর অর্ধেকেরও বেশি সদস্যের পদত্যাগ এক আইনগত শূন্যতার সৃষ্টি করেছে। সেজন্য এক নতুন নির্বাহী কমিটি নির্বাচন করতে এক মাসের মধ্যে মিলিত হতে ফিলিস্তিন জাতীয় পরিষদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। এ পদক্ষেপকে পিএলওর মধ্যে আব্বাসের বৈধতা বৃদ্ধির রাজনৈতিক প্রয়াস বলে দেখা হচ্ছে।
নির্বাহী কমিটি পিএলওর সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা। এটি অধিকৃত ভূখ-ে ও বৈদেশিক বিষয়ে যথা ইসরাইলের সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়ায় অধিকৃত ভূখ-ের প্রতিনিধিত্ব করে থাকে। ১৯৯৩ সালে নির্বাহী কমিটির তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল আব্বাস ফিলিস্তিনীদের পক্ষ থেকে অসলো স্বায়ত্তশাসন চুক্তি সই করেছিলেন। ইউসুফ জানান যে, ওই সব পদত্যাগের ঘোষণা দেয়ার আগে নির্বাহী কমিটি প্রধান ফিলিস্তিনী আলোচক সায়েব এরাকতকে এর সেক্রেটারি জেনারেল নির্বাচিত করে। এর আগে আব্বাস আরেক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ইয়াসির আবেদ রাব্বোকে সেক্রেটারি জেনারেলের পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেন। এর কারণ সঙ্গে সঙ্গেই স্পষ্টভাবে জানা যায়নি।
আব্বাস তার আরেক পদ ফিলিস্তিনী কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্টের পদে ইস্তফা দেননি। পশ্চিম তীর ও গাজার কোন কোন অংশে সীমিত স্বশাসন প্রয়োগ করতে ১৯৯০-এর দশকে শান্তি চুক্তির আওতায় ওই অন্তর্বর্তী কর্তৃপক্ষ গঠন করা হয়।
আব্বাস তার ফিলিস্তিনী ভূখ- শাসনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছেন। সেই ভূখ-ে তিনি ২০০৫ সালে চার বছর মেয়াদের জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন। ফিলিস্তিনী কর্তৃপক্ষের নতুন প্রেসিডেন্ট ও আইনসভার নির্বাচন আব্বাসের ফাতাহ পার্টি ও প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী দল হামাসের মধ্যে চলা এক অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে বিঘিœত হয়। হামাস ২০০৬ সালে অনুষ্ঠিত আইনসভার সর্বশেষ নির্বাচনে জয়ী হয় এবং পরবর্তী বছর গাজার নিয়ন্ত্রণ হাতে নেয়।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: