ভূমিকম্পে ভারতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮৯ জনে দাঁড়িয়েছে। বিহার রাজ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখানে ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিহারের পূর্ব চম্পারন, সীতামারি, দারভাঙ্গা, অররিয়া, মধেপুরা, সুপউল, সীওয়ান, পশ্চিম চম্পারন, মধুবনী, কাটিহার, লখীসরায়, ছাপড়া, গোপালগঞ্জ, বেগুসরায়, নবাদা, পূর্ণিয়া, বৈশালী, সাসারাম, সমস্তিপুর এবং খগড়িয়াতে মোট ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ভূমিকম্পের আতঙ্কে বিহারের পাটনা গান্ধী ময়দানে অনেক মানুষ রাতভর আশ্রয় নিয়েছিলেন। আবহাওয়া দফতর সূত্রে প্রকাশ, শনিবার বেলা ১১টা ৪৫ থেকে রাত ১১টা ১৫ পর্যন্ত ২৫ বার কম্পন অনুভূত হয়েছে। আরও বেশি মাত্রায় ভূমিকম্প হতে পারে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ানোর পর লোকজন, বিভিন্ন পার্ক এবং খোলা জায়গায় রাত কাটান।
ভূমিকম্পে উদ্ধার কাজ চালাতে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনীর পাঁচটি দল মজফফরপুর, দারভাঙ্গা, সুপউল এবং গোপালগঞ্জে যাচ্ছে। বিহার সরকারের পক্ষ থেকে মৃতদের পরিবারকে চার লাখ টাকা করে আর্থিক অনুদান দেয়া হয়েছে। ভারতের উত্তরপ্রদেশে ভূমিকম্পে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ডে চার জনের মৃত্যু হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং, শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ি জেলায় মোট তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবার ক্ষয়ক্ষতি পর্যবেক্ষণ করতে উত্তরবঙ্গ সফরে যান। রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে পার্কস্ট্রিটের উড়ালপুল, তিলজলার ব্রজনাথ বিদ্যাপীঠ, পাকসার্কাস, তিলজলা, বর্ধমানের শাখারিপুকুর এবং হাওড়ার ডোমজুড়সহ বিভিন্ন এলাকায় কতিপয় বাড়িঘরে ফাটল দেখা দিয়েছে। মালদার সুজাপুর ও রতুয়াতে স্কুল বাড়ির একাংশ ভেঙ্গে পড়লে ছাত্ররা আহত হয়। ভারতের অসম রাজ্যে বঙ্গাইগাও, মাজুলি, মঙ্গলদই, বরপেটায় অনেক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হাতিগাওয়ে এআইইউডিএফের কার্যালয়, বরপেটায় ফকুরুদ্দিন আলী আহমেদ অসামরিক চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় এবং মারিগাওয়ে একটি সুপার মার্কেটের দেয়ালে ফাটল ধরেছে। এছাড়া গুয়াহাটিতে অনেক ভবন এবং বিদ্যালয়ের দেয়ালে ভাঙ্গনের চিহ্ন দেখা গেছে। অসমে ৮/৯ রিখটার স্কেল মাত্রায় ভূকম্প হতে পারে বলে আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগের এক সতর্কতা প্রকাশ হওয়ায় এখানে মানুষজন ব্যাপক উদ্বেগ ও চিন্তার মধ্যে রয়েছেন। -ওয়েবসাইট
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: