ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সবজি-মুরগির দাম কমলেও বেড়েছে চালের দাম

প্রকাশিত: ১৭:০৯, ২ ডিসেম্বর ২০২২; আপডেট: ১৭:১১, ২ ডিসেম্বর ২০২২

সবজি-মুরগির দাম কমলেও বেড়েছে চালের দাম

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য

বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়ায় স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতাদের মাঝে। এছাড়া সপ্তাহ শেষে বাজারে কমেছে মুরগির দাম।

শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে। 

প্রকারভেদে ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে মুরগির। অন্যদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। মাছের বাজারও আছে আগের দামেই।

এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন করে বেড়েছে মোটা চালসহ প্রায় সব ধরনের চালের দাম। মোটা চাল ন্যূনতম কেজিপ্রতি বেড়েছে ২ টাকা। আর মাঝারি ও চিকন চালের দাম বেড়েছে ২-৫ টাকা পর্যন্ত।

রাজধানীর রায়ের বাজারের চাল বিক্রেতা ফারুক মিয়া বলেন, মৌসুম শেষ হওয়ায় বৃদ্ধি পেয়েছে চালের দাম। 

তিনি জানান, কিছুদিনের মধ্যে আমনের চাল বাজারে আসবে। তখন চালের দাম আবারও কমতে পারে।

দাম সম্পর্কে তিনি আরও জানান, বাজারে মোটা পাইজাম চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৬-৬০ টাকা। মাঝারি মানের মিনিকেট ৭০-৭২ টাকা ও সরু নাজির চাল ৭৫-৮৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এরমধ্যে পাইজাম চালের দাম বেড়েছে ২ টাকা, মিনিকেট ২ টাকা ও ভালো মানের নাজিরশাইল চালের দাম বেড়েছে ৫ টাকা। চিকন চালের দাম কেজিতে ৩ টাকা বেড়ে ৬৮ টাকা, মাঝারি বা পাইজাম চাল ২ টাকা বেড়ে ৬০ টাকা এবং মোটা চাল কেজিতে ২ টাকা বেড়ে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি পুরোনো আলু ২৮ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, পটল, ৫০, শসা ৮০-১০০ টাকা, শিম ৫০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, ধনিয়াপাতা ১২০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, করলা ৫০-৬০ টাকা, উচ্ছে ৮০ টাকা, মূলা ৩০-৪০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, টমেটো ১০০-১২০ টাকা, ব্রকলি ৮০-১০০ টাকা ও পেঁয়াজ পাতা ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া প্রতি পিস লাউ ৬০ টাকা, ফুলকপি ৩০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা করে এবং লালশাক প্রতি আঁটি ১০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

শুক্রাবাদ বাজারের বিক্রেতা রহমত মিয়া জানান, পাইকারি বাজারের দামের ওপর নির্ভর করতে হয়। পাইকারি বাজারে কম দাম থাকলে তারা কমেই বিক্রি করেন সবজি। বর্তমানে বাজারে সবজির সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকায় দাম কিছুটা কমেছে।

তবে ক্রেতারা জানান, কিছুটা স্বস্তি মিললেও সবজির দাম আরও কমা উচিত। 

বাজার ঘুরে দেখা যায়, গরুর মাংস ৬৮০-৭০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৯০০-৯৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহেও একই দামে বিক্রি হয়েছে।

অন্যদিকে ব্রয়লার মুরগি ১৪০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ২৫০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৩০ টাকা, কক মুরগি ১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে এসব মুরগির দাম ২০-৩০ টাকা কেজি প্রতি বেশি ছিল।

হাতিরপুল বাজারের মুরগি বিক্রেতা রাসেল মিয়া জানান, ঠান্ডার জন্য এ সপ্তাহে দাম কমেছে। সামনে বাড়তে বা কমতেও পারে। সেটা এখন বলা যাচ্ছে না।

এদিকে, মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে পুঁটি মাছ ২৫০ টাকা, বড় রুই মাছ ৪৫০ টাকা, কাতল মাছ ৪০০ টাকা, শিং মাছ ৫০০ টাকা, টাকি মাছ ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৬০০ টাকা, রূপচাঁদা ৭০০-৮০০ টাকা, বোয়াল ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ ১১০০ টাকা এবং এক কেজির কম ওজনের ইলিশ ৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এমএম

সম্পর্কিত বিষয়:

×