ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

সব শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

প্রকাশিত: ২১:৫৬, ৫ অক্টোবর ২০২০

সব শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ছয় মাসের বেশি ও পাঁচ বছরের কম বয়সের সব শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, আজকের প্রতিটি সুস্থ শিশুই আগামী দিনের উজ্জ্বল বাংলাদেশের কান্ডারি হবে। আজকের শিশুকে টিকা দিলে সেই সন্তান ভবিষ্যতের সুস্থ ও মেধাবী সন্তান হবে। এ সন্তান ভবিষ্যত বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে। একইভাবে এই টিকা না দেয়া হলে সন্তান নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারে। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বাংলাদেশের সফলতার দিকসমূহ তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে সফলতা পেয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার বিশ্বের সবচেয়ে কম দেশের কাতারেই রয়েছে। কোভিডে বাংলাদেশ এখন অনেকটাই নিরাপদ। প্রধানমন্ত্রীর সঠিক দিকনির্দেশনা ও দেশের স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরলস প্রচেষ্টার ফলেই এসব সম্ভব হয়েছে। সপ্তাহভিত্তিক বিশ্লেষণে গত ৩৯তম সপ্তাহের তুলনায় ৪০তম সপ্তাহে নমুনা পরীক্ষা, রোগী শনাক্ত, সুস্থতা এবং মৃত্যুর হার কমেছে। রবিবার রাজধানীর ঢাকা শিশু হাসপাতালে ‘জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেন-২০২০’এর উদ্বোধনের সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ মোহাম্মদ সহিদুল্লা, লাইন ডিরেক্টর মুস্তাফিজুর রহমান, ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ সৈয়দ সফি আহমেদসহ অন্য উর্ধতন কর্মকর্তারা বক্তব্য দেন। জাহিদ মালেক বলেন, এবার দু’ সপ্তাহ ধরে চলবে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেন। দেশে ৪ থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত এই ক্যাম্পেন চলবে। ছয় মাসের বেশি ও পাঁচ বছরের কম বয়সের প্রায় দুই কোটি ২০ লাখ শিশুকে এ সময় ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। প্রতিদিন সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ক্যাপসুল খাওয়ানোর কাজ চলবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, এ প্লাস ক্যাম্পেনের জন্য ৪ থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত দুই সপ্তাহব্যাপী এই ক্যাম্পেনে দুই কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এর মধ্যে ছয় থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা প্রায় ২৭ লাখ। আর ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা এক কোটি ৯৩ লাখ। ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য সর্বমোট কেন্দ্র এক লাখ ২০ হাজার, স্বাস্থ্যসেবী প্রায় দুই লাখ ৪০ হাজার এবং স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার।
×