ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

হকিতে আজ বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী পাকিস্তান

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ২৮ আগস্ট ২০১৮

হকিতে আজ বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী পাকিস্তান

রুমেল খান ॥ বিশ্ব হকির র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ আছে ৩১তম অবস্থানে। ১৯৭৮ থেকে এ পর্যন্ত এশিয়ান গেমস হকিতে তারা অংশ নিয়েছে মোট ৯ বার। তাদের সেরা সাফল্য হচ্ছে চারবার সপ্তম স্থান অধিকার করা (১৯৮৬, ১৯৯৪, ২০০২, ২০০৬)। এবার তাদের লক্ষ্য একধাপ উপরে ওঠা। মানে ষষ্ঠ স্থান অধিকার করা। সেই লক্ষ্যে তারা এগিয়ে চলেছে বেশ ভালভাবেই। এখন পর্যন্ত তারা আছে পঞ্চম স্থানে। আজ মঙ্গলবার ইন্দোনেশিয়ার গেলোরা বাং কারনো স্পোর্টস কমপ্লেক্সে বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠেয় ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ টার্ফে নামবে। প্রতিপক্ষ শক্তিশালী পাকিস্তান। বিশ্ব হকিতে তারা অবশ্য এখন আর শক্তিধর কোন দেশ নয়। তাদের র‌্যাঙ্কিং এখন ১৩। তবে এশিয়ান হকিতে এখনও তারা যথেষ্ট শক্তিশালী। এশিয়ান গেমসের হকির প্রতিটি আসরেই (১৫ বার) অংশ নেয়া দলটি ফাইনাল খেলেছে ১১ বারই। আর স্বর্ণপদক জিতেছে সর্বাধিক ৮ বার, যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দক্ষিণ কোরিয়ার চেয়েও চারবার বেশি! কাজেই পরিসংখ্যানেই বোঝা যাচ্ছে এশিয়ান গেমস হকিতে পাকিস্তান কী ‘চিজ’! এই আসরে মুখোমুখি লড়াইয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে এ পর্যন্ত চারটি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। ১৯৭৮ সালে ব্যাঙ্কক আসরে ০-১৭ গোলে শোচনীয়ভাবে হারে লাল-সবুজরা। যে কোন দলের কাছে সবচেয়ে বেশি গোল খাওয়ার এটিই তাদের নজির। দ্বিতীয় সাক্ষাত ১৯৮৬ সালে সিউলে অনুষ্ঠিত আসরে। সেবার হারের ব্যবধানটা ছিল বেশ কম, মাত্র ০-৭ গোলে হার! কিন্তু ২০০২ সালে বুসানে অনুষ্ঠিত আসরে দুই গোল বেশি খেয়ে আবারও অবনমন ঘটে (০-৯ গোলে হার)। সর্বশেষ ২০১০ সালে গুয়াংজুতে অনুষ্ঠিত আসরে কিঞ্চিৎ উন্নতি ঘটে। এবার একটি গোলও করতে সক্ষম হয় (১-৬)। বাস্তবতা হচ্ছেÑ পাকিস্তানের বিপক্ষে জেতাটা অসম্ভব। বাস্তবতাটা মাথায় রেখে তাই পাকিদের বিপক্ষে কম গোল হজমের লক্ষ্য স্থির করেছে টিম বাংলাদেশ। আর আজ সেই লক্ষ্যেই টার্ফে নামবে তারা। পাকিস্তানের কাছে হেরে গেলে অবশ্য বাংলাদেশকে একধাপ নিচে নেমে যেতে হবে। তখন খেলতে হবে ষষ্ঠ হওয়ার জন্য। অবশ্য আসর শুরুর আগে বাংলাদেশ দল ষষ্ঠ স্থান অধিকারের কথাই ব্যক্ত করেছিল। এবার ষষ্ঠ হতে পারলে চার বছর পরের এশিয়ান গেমসে সরাসরি খেলার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ। চলমান এশিয়ান গেমসে ‘বি’ গ্রুপে পয়েন্ট টেবিলে বাংলাদেশ আছে ছয় দলের মধ্যে তৃতীয় স্থানে। ৪ খেলার ৩টিতে জয় এবং ১টি হারে ৯ পয়েন্ট তাদের। পক্ষান্তরে সমান খেলায় সবকটিতেই জিতে পূর্ণ ১২ নিয়ে পাকিস্তান আছে শীর্ষ অবস্থানে। বাংলাদেশ হারিয়েছে ২-১ গোলে ওমানকে, ৬-১ গোলে কাজাখস্তানকে এবং ৩-১ গোলে থাইল্যান্ডকে। আর হেরেছে ০-৭ গোলে মালয়েশিয়ার কাছে। পক্ষান্তরে পাকিস্তানের জয়গুলো এসেছে ১০-০ গোলে থাইল্যান্ড, ১০-০ গোলে ওমান, ১৬-০ গোলে কাজাখস্তান এবং ৪-১ গোলে মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে। এ আসরে তাদের গোল দ্বিতীয় সর্বাধিক ৪০টি (৫৬ গোল নিয়ে শীর্ষে ‘এ’ গ্রুপে ভারত)। তবে দুই গ্রুপ মিলিয়ে সবচেয়ে কম গোল (১টি) হজম করেছে তারাই। এদিকে বাংলাদেশের গোল ১১, খেয়েছে ১০টি। এখন দেখার বিষয়, আজ শক্তিশালী প্রতিপক্ষ বাংলাদেশের বিপক্ষে কেমন করে বাংলাদেশ।
×