ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

ঝলক

প্রকাশিত: ০৬:১২, ২৫ মে ২০১৮

ঝলক

পানি মাপবে নাসার স্যাটেলাইট পৃথিবীতে পানির পরিমাণ হিসাব করতে কক্ষপথে নতুন দুইটি স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে নাসা। স্পেসএক্স-এর ফ্যালকন ৯ রকেটে করে মহাকাশে পাঠানো হয় ‘গ্রেইস-ফো’ নামের স্যাটেলাইট দুটি। নাসার পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে যে, স্যাটেলাইট দুটি এখন ৩০৫ মাইল উচ্চতায় রয়েছে এবং ঘণ্টায় ১৬৮০০ মাইল বেগে আবর্তন করছে। এই বেগে প্রতি ৯০ মিনিটে একবার পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করবে স্যাটেলাইটগুলো। স্যাটেলাইট দুটির উৎক্ষেপণে অংশ নেয়া টমাস জারবুচেন বলেন, ‘আমাদের জটিল গ্রহটি কিভাবে কাজ করে সে বিষয়ে অনন্য তথ্য দেবে গ্রেইস-ফো। এই মিশনের মাধ্যমে পৃথিবীর পানিচক্রের অনেকগুলো মূল দিক পর্যালোচনা করা হবে, মানুষের জীবনযাপন উন্নত করতে বিশ্বজুড়ে গ্রেইস-ফো ডেটা ব্যবহার করা হবে। খরার প্রভাব ধারণা করা থেকে শুরু করে ভূগর্ভের জলস্তর কীভাবে ব্যবস্থাপনা করা হবে তা জানতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেবে এটি।’ পাঁচ বছর ধরে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করবে গ্রেইস-ফো। ভরের পরিবর্তনের কারণে কীভাবে পৃথিবীর মহাকর্ষীয় টান পরিবর্তন হয় তা পরিমাপ করার মাধ্যমে আমাদের গ্রহে ভরের স্থানান্তর পর্যালোচনা করবে এটি। এই স্যাটেলাইটগুলোর মাধ্যমে পাওয়া তথ্য দিয়ে জলবায়ু ব্যবস্থায় পরিবর্তন পরিমাপ করার আশা করছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি। -মিরর দম্পতির মহানুভবতা যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের স্টেটেন আইল্যান্ডে ম্যাথিউ ও মারিয়া দম্পতির বাস। সম্প্রতি বাড়ির পেছনের বাগান পরিষ্কার করতে গিয়ে ডলার, সোনা, ডায়মন্ডে ভরপুর গুপ্তধনের সন্ধান পায় এই দম্পতি। স্টেটেনের আইল্যান্ডে নিজেদের ছোট্ট বাগানবাড়ি রয়েছে ইমানুয়েল দম্পতির। দিন কয়েক আগে বাগানে নতুন গাছ লাগাবেন বলে মাটি খোঁড়াখুঁড়ি করছিলেন তারা। সেই সময় হাতে শক্ত ধাতব কিছু ঠেকলে খানিকটা মাটি সরিয়ে বুঝতে পারেন ধাতব জিনিসটা আসলে একটা বাক্স। মাটি খুঁড়ে দম্পতি দেখেন একটা পুরনো মরচে ধরা বাক্স। ডলার, সোনা, ডায়মন্ডসহ মোট ৫২ হাজার ডলারের সম্পত্তি ছিল ওই বাক্সে। বিপুল এ সম্পদ পেয়ে উচ্ছ্বসিত ম্যাথিউ দম্পতি। ম্যাথিউ জানিয়েছেন, দেখে মনে হয়েছিল তারের কোন বাক্স। সাবধানে বাক্স খুলতেই তার চোখ কপালে ওঠার জোগার। বাক্সের ভেতর উপচেপড়ছে ডলার, সোনা ও ডায়মন্ড। পরে বাক্সের কোন কিছু নিজেদের কাছে না রেখে সবটাই তুলে দিয়েছেন মূল মালিকের কাছে। সম্পত্তি হাতছাড়া করলেন কেন? পাড়া-প্রতিবেশীদের এমন প্রশ্নের উত্তরে ওই দম্পতি বলেন, ‘আমাদের এই ভাল কাজই আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পত্তি।’ সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাতকারে ম্যাথিউ-মারিয়া বলেন, ‘মোট ৫২ হাজার ডলারের সম্পত্তি ছিল বাক্সটির মধ্যে। সম্পত্তি পেয়ে খুশি হয়েছিলাম ঠিকই কিন্তু জানতাম সেটা আমাদের নয়। কী করব ভাবতে গিয়ে বাক্সের মধ্যে একটি চিরকুটে ঠিকানা খুঁজে পাই। সেটা আমাদেরই এক প্রতিবেশীর। ২০১১ সালে ওই প্রতিবেশীর বাড়িতে ডাকাতি হয়ে বিপুল সম্পত্তি লুট হয়, বাক্সটি তারই মধ্যে একটি। পরে বাক্সের একটা কানাকড়িও নিজেদের কাছে না রেখে সবটাই তুলে দিয়েছি ওই প্রতিবেশীর হাতে। হারানো সম্পদ ফিরে পেয়ে বিস্ময়ে হতবাক ওই প্রতিবেশীও।’ - ডেইলি নিউজ
×